ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হরিপুরে এমপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

হরিপুরে এমপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৬ জানুয়ারি ॥ জেলার হরিপুরে আ’লীগ কার্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে স্থানীয় এমপি দবিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল বের করে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা এমপি দবিরুল ইসলামের ব্যানার ফেস্টুন ভাংচুর করে। সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করেছিল প্রশাসন। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে থেকে সরিয়ে দিলে এমপির বিরুদ্ধে নানা রকম সেøাগান দিয়ে অস্ত্র নিয়ে শহরে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা। এ সময় উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদকের দোকান ভাংচুর করে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, উপজেলা আ’লীগ কার্যালয়ে কৃষক লীগ ও যুবলীগ সভা আহ্বান করায় ভারপ্রাপ্ত ইউএনও আব্দুল মান্নান শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। জানা যায়, আ’লীগ কার্যালয়ে শনিবার সকাল ১০টায় একই সময়ে জেলা কৃষক লীগ পরিচিতি সভা ও উপজেলা যুবলীগ বর্ধিত সভা আহ্বান করে। এ অবস্থায় সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হাসান মুকুল জানান, শনিবার কৃষকলীগ উপজেলা কার্যালয়ে পরিচিতি সভার আয়োজন করে। পরিচিতি সভা ভঙ্গ করতে একই স্থানে যুবলীগ বর্ধিত সভা ডাক দেয়। পরিচিতি সভার ভঙ্গ করার জন্য স্থানীয় এমপি প্রশাসনের মাধ্যমে আ’লীগ কার্যালয় ও তার আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের জানান, আমরা আগে কার্যালয়ে বর্ধিত সভার আয়োজন করেছি। কিন্তু উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বর্ধিত সভা করতে দিতে চায় না। ফুলছড়িতে স্কুল ভবন অভাবে পাঠদান ব্যাহত নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১৬ জানুয়ারি ॥ ফুলছড়ি উপজেলার আঙ্গারীদহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার দু’বছর পরও নতুন ভবন নির্মাণ না করায় এখন খোলা আকাশের নিচে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এতে বিঘিœত হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। ২০১৪ সালে অব্যাহত নদী ভাঙ্গনে যমুনা গর্ভে বিলীন হয়ে যায় ওই বিদ্যালয়ের ভবনটি। এরপর খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলতে থাকে। সম্প্রতি এলাকাবাসীর সহযোগিতায় বিদ্যালয়ের জন্য একটি অস্থায়ী ছাপরা সেড নির্মাণ করা হলেও শিক্ষার্থীদের স্থানাভাবের কারণে তাদের একটি বড় অংশ খোলা আকাশের নিচে লেখাপড়া করতে বাধ্য হয়। ওই ছাপরা সেডেরও কোন বেড়া নেই। ফলে শীতের সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, খোলা জায়গায় শিক্ষাদান করতে সব মৌসুমেই অসুবিধা হয়। শীতে ঠাণ্ডা বাতাস, গরমে খাঁ খাঁ রোদ। আর বর্ষায় বিদ্যালয়টি ছুটি দিতে হয়। এতে পড়াশোনায় ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী শেফালী খাতুন বলে, সারা বছর রোদে পুড়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করতে হয়। আমাদের খুব কষ্ট। আকাশে মেঘ হলে স্কুল ছুটি হয়ে যায়।
×