বিশেষ প্রতিনিধি ॥ পাটপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের তেল জুট বেচিং অয়েলের দাম কমিয়ে আনার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে জুট বেচিং অয়েলের (জেবি) মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয় এক লাফে জেবি অয়েলের দাম ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে। এতে পাট পণ্যের উৎপাদন খরচও ৩২ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। এতে স্থানীয় বাজারে পাট পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে এবং পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন বাস্তবায়নে সরকারের প্রয়াস বাধাগ্রস্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স এ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন বলেন, ‘জেবি অয়েলের মূল্য বদ্ধির পেছনে যে যুক্তি দেয়া হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়, বরং এই মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে ভেজালকারীকে উৎসাহিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোন অসাধু সয়াবিন তেল ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার উদ্দেশ্যে এই কর্মে লিপ্ত হয়ে থাকলে তাদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা উচিত। কোন পাটকল মালিক এ ধরনের হীন কাজে লিপ্ত থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে পাট অধ্যাদেশের আওতায় তার পাট পণ্য উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিল এবং অসাধু ডিপো কর্মকর্তাদেরও আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
জনাব হোসেন বলেন, জেবি অয়েল কেরোসিন তেলের মতো তীব্র গন্ধযুক্ত। ফলে সয়াবিন তেলে মেশানে তা এমনিতেই খাওয়ার অযোগ্য হয়ে পড়বে। কেমিক্যাল মিশিয়ে গন্ধ দূর করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই ধরনের কেমিক্যাল থাকলে সরকার আমাদের দিক, আমরা তা ব্যবহার করে উৎপাদিত পাট পণ্যের গন্ধ দূর করতে পারি। এতে পাট পণ্য রফতানিতে আমাদের আরও সুবিধা হবে।
এ্যাসোসিয়েশনের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি বছর পাট শিল্পে তিন কোটি ৪৭ লাখ লিটার জেবি অয়েলের প্রয়োজন হয়। প্রতি লিটারে ২২ টাকা মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশে পাট পণ্যের উৎপাদন খরচ প্রায় ৭৬ কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে।
বাউফলে ধাতব মুদ্রা নিয়ে বিপাকে মানুষ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল ॥ সরকারের বিভিন্ন ধরনের ধাতব মুদ্রা বা কয়েন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। কোনকিছু ক্রয় করার পর এসব ধাতব মুদ্রা দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা তা গ্রহণ করতে চান না। অপরদিকে ছেঁড়া ও ময়লাযুক্ত টাকা বদল করা যাচ্ছে না। দোকানিরাও তা গ্রহণ করছেন না। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে- এক, দুই ও পাঁচ টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন নেয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকানী জানান, ঝামেলা এড়াতে তারা কয়েন গ্রহণ করছেন না। শুধু তাই নয়, ক্রেতারাও তাদের কাছ থেকে কয়েন নিতে চান না। ফলে যে কোন পণ্যের মূল্যের বিপরীতে তারা টাকা গ্রহণ করেন। ধাতব মুদ্রা আদান-প্রদান নিয়ে এ ঝামেলার কারণে শখের বসে কেউ আর মাটির ব্যাংকে কয়েন জমা করেন না। পৌর শহরের ৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম জানান, তার স্কুল পড়ুয়া মেয়ে প্রায় বছরখানেক ধরে মাটির ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের কয়েন জমা করেন। গত কয়েক দিন আগে খেলনা কেনার জন্য মাটির ব্যাংক ভেঙ্গে কয়েনগুলো বের করেন। ১ হাজার ৬শ’ ২৬ টাকার এই কয়েন বদল করতে তিনি শহরের ২০-২৫টি দোকান ঘুরেছেন।