ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্থবিরতা উত্তরণে পদক্ষেপ

ভেনিজুয়েলায় অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা জারি

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

ভেনিজুয়েলায় অর্থনৈতিক জরুরী অবস্থা জারি

ভেনিজুয়েলার সরকার শুক্রবার দেশজুড়ে ৬০ দিনের জন্যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশের স্থবির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উত্তরণে সরকার এ পদক্ষেপ নিল। সরকারের অফিসিয়াল গেজেটে এ তথ্য প্রকাশ করে বলা হয়েছে, সারাদেশে ৬০ দিনের জন্যে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির অর্থমন্ত্রী লুইস সালাস বলেন, এ পদক্ষেপের ফলে জনগণ অর্থনৈতিক যুদ্ধ থেকে রক্ষা পাবে এবং অতিদ্রুত তেলের মূল্য কমা রোধ হবে।এ ডিক্রি বলে দেশটির নির্বাহী শাখা বিশেষ কিছু ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে। ফলে তারা জনগণের কাছে পণ্য ও সেবা পৌঁছে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবে। এছাড়া এর আওতায় বিশেষ পদক্ষেপের মাধ্যমে কর ফাঁকি রোধ এবং সরকারী ঠিকাদারি কাজের প্রক্রিয়া সহজ করা হবে। জরুরি অবস্থার এ সময়ে কিছু পদক্ষেপের ফলে পণ্য আমদানি দ্রুত করা সম্ভব হবে। নির্দিষ্ট কিছু সরকারী ও বেসরকারী কোম্পানিকে তাদের পণ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয় জনগণের মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্যে এসব কোম্পানীকে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। এ ডিক্রি বলে প্রেসিডেন্ট মাদুরো ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন। জরুরী অবস্থার বিষয়টি আলোচনার জন্যে দেশটির জাতীয় পরিষদে তোলা হবে এবং আগামী আট দিনের মধ্যে এটির অনুমোদন দেয়া হবে। এএফপি যুক্তরাষ্ট্র-ফিলিপিন্স প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে চীনের উদ্বেগ ২৫ বছর আগে ফিলিপিন্স ছেড়ে চলে গিয়েছিল সর্বশেষ মার্কিন সৈন্যটি। এরপর দেশটিতে কোন মার্কিন সেনাঘাঁটি ছিল না। মার্কিন সেনা উপস্থিতি ফিলিপিনোদের চোখে হয়ে উঠেছিল ঔপনিবেশিকতার প্রতীক। কিন্তু এখন অবস্থা বদলেছে। ফিলিপিনো সরকার যেন মার্কিন বাহিনীকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত। খবর এফপির। চীনের উদ্বেগ জোরালো করে তুলেছে মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের সুপ্রীমকোর্টের দেয়া একটি রায়। তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি সুপ্রীমকোর্টের রায় অনুমোদন। এর ফলে সারাদেশে সব সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশাধিকার পেতে চলেছে মার্কিন সৈন্যরা। এই রায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রশাসনের জন্য একটি বড় সাফল্য। চীনের শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠার বিপরীতে এশিয়ায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরির ক্ষেত্রে ওবামা প্রশাসন সফল হয়েছে বলা চলে। দক্ষিণ-পূর্ব চীন সাগরের চীনের প্রভাব বিস্তারের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির দ্বন্দ্ব বেড়ে চলেছিল। ফলে ফিলিপিন্সের মতো চীনের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে দেখতে চাইছে। ম্যানিলা ও ওয়াশিংটনের নেতৃবৃন্দ আশা করছে প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি পূর্ব চীন সাগরে বেজিংয়ের সঙ্গে জলসীমা নিয়ে বিরোধের বিষয়ে ভারসাম্য এনে দিতে পারে। এক্ষেত্রে চীন নয়, ফিলিপিন্স সুবিধাজনক অবস্থানে থাকবে। কারণ চীন দক্ষিণ-পূর্ব চীন সাগরে নিজের জলসীমা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর চাপ দিচ্ছে তারা যেন চীনের দাবি মেনে নেয়। ২০১৪ সালে ওবামার ফিলিপিন্স সফরের আগে চুক্তিটি সই হয়। সর্বশেষ বিষয়টি নিয়ে আইনী বাধা পেরোতে কয়েক মাস সময় লেগে যায়। মঙ্গলবার সুপ্রীমকোর্টের রায়ে উল্লেখ করা হয়, চুক্তিটি বাস্তবায়নের জন্য সিনেটের অনুমোদন প্রয়োজন নেই, প্রেসিডেন্ট বেনিগনো একুইনো নির্বাহী ক্ষমতাবলে এটি করতে পারেন।
×