ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোস্তাফা জব্বার

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

একুশ শতক ॥ ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বরের পর থেকেই আমাদের কাছে দেশটির ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়টি আমরা জাতীয়ভাবে অনুভব করতে থাকি। এরপর ২০১৬ সাল অবধি সাত বছরের সরকার পরিচালনায় আমাদের সরকার ও জীবনধারা ব্যাপকভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়েছে। একই সঙ্গে এটিও অনুভব করা গেছে, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল অপরাধ করার প্রবণতাও বেড়েছে। আমরা এই কলামে এর আগে ডিজিটাল অপরাধের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আলোচনাটি অব্যাহত রয়েছে এবং এই কিস্তিতে আমরা আরও কিছু ডিজিটাল অপরাধের বিবরণ তুলে ধরছি। আলোচনাটি অব্যাহত থাকবে। ॥ সাত ॥ ৪. পাইরেসি: আমাদের ডিজিটাল জগত কেবল যে ইভ টিজিং, হ্যাকিং, ডিফেমেশন, আক্রমণাত্মক মন্তব্য, পর্নোগ্রাফি ইত্যাদি দিয়ে ভরপুর তা-ই নয়, এটি এখন পাইরেসির বড় মাধ্যম। বাস্তবে মোবাইল ও ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে সবচেয়ে কপি-শেয়ারের বড় মাধ্যম। এমনিতেই বাংলাদেশ পাইরেসির স্বর্গরাজ্য, তার ওপরে প্রযুক্তির সহায়তা পুরো কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে। পশ্চিমা দুনিয়াতে ওয়ারেজ বা ফাইল শেয়ার করার যেসব সাইট আছে তাতে পাইরেটেড সফটওয়্যার, গেমস, মুভি, মিউজিক আদান-প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। আইনের ফাঁক গলিয়ে এগুলো পাইরেসি হয়ে থাকে। সেই প্রবণতা এখন বাংলাদেশী সাইটগুলোতে রয়েছে। ওখানে দেশীয় সফটওয়্যার, মিউজিক, ফিল্ম, নাটক বা টিভি অনুষ্ঠান পাইরেসি করা হয়। কোন কোন ওয়েবসাইটে এসব বস্তু হোস্ট করে ফেসবুক বা গুগল প্লাসে কিংবা টুইটারে এর খবর প্রকাশ করা হয়। ডাউনলোড করার ব্যবস্থাও হয়ে আছে নানাভাবে। এছাড়া আছে পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ড, সিডি-ডিভিডি ইত্যাদির মাধ্যমে পাইরেসি করা। একজনের সফটওয়্যার নকল করে বিতরণ করা হয় বিনামূল্যে। নকলের প্রতিবাদ করলে করা হয় গালিগালাজ। নকলকারী হুমকি এবং গালি দেয় আসল মেধাস্বত্বের মালিককে। কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, ডিজাইন ও প্যাটেন্ট আইন লঙ্ঘন প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। অনেকেই আইনের ধার ধারে না- নিজের যা খুশি তাই করে বেড়ায়। এই গোষ্ঠীটি আইনের প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলতে চায় না। এসব বিষয়ে কোন কোন মিডিয়া যখন প্রতিবেদন প্রকাশ করে তখনও চিলে কান নিয়ে গেছে এমন গুজব প্রকাশ করে। মোবাইলে ডাউনলোড ছাড়াও কোন কোন মোবাইল অপারেটর রিং টোনের নামে পাইরেসিতে লিপ্ত বলে অভিযোগ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান কপিরাইট আইনটিতে এসব বিষয় সম্পর্কে তেমন প্রয়োজনীয় বিধি বিধান নেই। ৫. পর্নোগ্রাফি, যৌন হয়রানি, ইভ টিজিং ইত্যাদি : মোবাইল ও ইন্টারনেটে বাংলাদেশের পর্নোগ্রাফি এখন সর্বকালের সবচেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় আছে। সেলিব্রিটি বা পেশাদারিদের যৌন চিত্র, ভিডিও ছাড়াও রয়েছে অপেশাদার বা হয়রানিমূলক চিত্র ও ভিডিও। মোবাইলে বা সিডি-ডিভিডিতেও ব্যাপকভাবে প্রসারিত হচ্ছে নগ্নতা। প্রভা নামক একজন অভিনেত্রীকে নিয়ে ইন্টারনেটে যা করা হয়েছে তার ফলাফল হলো তাদের নব বিবাহিত জীবনের সমাপ্তি। হতে পারে যে, প্রকাশিত ভিডিওটি সত্য। সেটি দেখে অনেকের ইন্দ্রিয়সুখ বেশ ভালভাবেই হয়েছে। কিন্তু একটি পরিবার যে ধ্বংস হয়েছে সেটি কয়জনে উপলব্ধি করেছেন। এরপর একজন তরুণী মডেলের ভিডিও চিত্র বলে প্রচার করার পর জানা গেল যে, সেটি ঐ মডেলের নয়। কিন্তু ইন্টারনেটের সেই প্রচারণায় সেই মেয়েটির যে সর্বনাশ হলো সেটি প্রচারকারী ইন্টারনেট মাধ্যম বা কাগজের মাধ্যম বিবেচনা করেনি। পত্রিকার পাতায় ফলাও করে সেই খবরটি ছাপা হয়ে গেল। পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ইন্টারনেট যৌন হয়রানির একটি বড় ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এমনকি শিশুরা পর্যন্ত এই অপরাধ থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ইভ টিজিং নামক যে ব্যাধির বিষয়ে এখন বেশি প্রচারণা হচ্ছে ডিজিটাল অপরাধ যে তার চাইতে অনেকগুণ গুরুতর ও ক্ষতিকারক সেটি আমাদের বোধগম্য হচ্ছে না। আমরা এসব প্রতিরোধ করতে জানিনা-আমরা এর বিচারের উপায়ও বের করিনি। ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে ইভ টিজিং-এর বিচার করা যাচ্ছে কিন্তু মোবাইলে বা ইন্টারনেটে যখন অপরাধ হচ্ছে তার জন্য রাষ্ট্র কোন ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। রাষ্ট্র যেন বুঝতেই পারছে না যে ডিজিটাল যুগের আগে এসব অপরাধ ছিল না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের কাছে যেন এসব নতুন ধরনের অপরাধ প্রতিরোধের বা বিচারের কোন টুলসই হাতে নেই। ৬. ব্যক্তিগত আক্রমণ ও স্প্যামিং : একেবারে ব্যক্তিগত একটি দৃষ্টান্ত দিয়েই অবস্থাটির বিবরণ দেয়া যায়। আমার পরিচিত কোন এক বন্ধু তার নাতনির একটি মেইল আমার কাছে ফরোয়ার্ড করেছে। তার কাছে চাওয়া সমাধানটির জবাব তিনি আমার কাছে চেয়েছেন। এই মেইলটিই বাংলাদেশের তরুণীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার একটি চিত্র তুলে ধরে। ক. “আসসালামু আলাইকুম নানা, আমি আনিকা। আশা করি ভাল আছেন। আমি আপনার কাছে একটি সমাধান চাই। কেউ একজন আমার ছবি আর বিবরণ দিয়ে ফেসবুকে একটি এ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেখান থেকে লোকটা যাকে খুশি তাকে বন্ধুর রিকোয়েস্ট পাঠায়, বাজে পেজ লাইক করে এবং আজেবাজে মন্তব্য করে। আমার দেয়ালে নোংরা পোস্ট দেয় ও নোংরা ছবি পেস্ট করে। আমার এই ফেক আইডির দেয়ালে এমনসব ভিডিও আছে যা কোন সভ্য মানুষ দেখতে পারে না। একই সঙ্গে সে আমাকে নাস্কি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আমি এখন কি করব? আমার কি অপরাধ যে আমি একটি মেয়ে এবং এজন্য আমি নিজের সম্মান রক্ষা করতে পারব না। দেশে কি কোন সরকার নেই, কোন কর্তৃপক্ষ নেই যে আমি অভিযোগ করতে পারি বা সহায়তা পেতে পারি। আমার মোবাইলে যেসব সমস্যা হয় সেগুলোর কথা না-ই বললাম। আশা করি এই নাতনিকে সহায়তা করবেন।” খ. আমি একজন অধ্যাপিকাকে জানি যাকে তার এক ছাত্র পরীক্ষায় নকল ধরার দায়ে ফেসবুকে তাকে পতিতা বানিয়ে ছেড়েছে। নগ্নবক্ষা একটি ছবিতে তার মাথা জুড়ে দেয়া হয়েছে। নারীর প্রতি অনলাইনে সহিংসতার মাত্রা এত বেশি যে এটি পুরো সভ্যতার জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয় যে, আমাদের দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসানের নামে ফেসবুকে একটি হিসাব খুলে তার মাধ্যমে যারা অভিনয় করতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। জাহিদ হাসান বিষয়টি জানার পরে সেই লোকগুলোর সঙ্গে ফোনে কথা বলে নিশ্চিত হন যে, এভাবে তারা টাকা উপার্জন করছে এবং মানুষ প্রকৃত জাহিদ হাসান বিবেচনা করে প্রতারিত হচ্ছে। এরপর তিনি জনগণকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু জাহিদ হাসান সতর্ক করে দিলেই কতজন তার সেই সতর্ক বার্তা পেয়েছে কে জানে। এছাড়া তিনি সতর্ক করে দেয়ার আগেই কিছু প্রতারণার ঘটনা ঘটে গেছে। কুসুম শিকদার অভিযোগ করেছেন যে ফেসবুকে তার নামে হিসাব খুলে যা খুশি অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। গ. ২০১৩ সালে একটি পত্রিকায় দুটি খবর প্রকাশিত হয়। একটি খবর হলো; কোন এক শিক্ষক তার ছাত্রীর অশ্লীল ছবি বানিয়েছে এবং সেটি পোস্টার বানিয়ে দেয়ালে লাগিয়েছে। অন্যটিও একই প্রকারের। কোন এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মুখটার সঙ্গে একটি নগ্ন মেয়ের ছবি যুক্ত করে সেটির পোস্টার দেয়ালে লাগানো হয়েছে। এই দুটি অপরাধ করা যেত না যদি কম্পিউটারে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ছবি সম্পাদনার সুযোগ না থাকত। এই দুটিই সাইবার ক্রাইম। আমরা ইন্টারনেটে প্রায়ই দেখি যে কারও কারও ছবি বিকৃত করা হচ্ছে। কাউকে জুতার মালা, কাউকে অপমানকর বক্তব্য এবং কাউকে কাউকে বাক্যবাণে হেয় করার প্রচেষ্টা চলছে। ঘ. কদিন আগে জনৈক রোমেল আহমেদ নিজেকে ইউএসএ-র ঘোষণা করে ইচ্ছামতো গালিগালাজ করা শুরু করে। ঐ প্রাণীটির কোন হদিস কোন কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। শুধুমাত্র একটি মেইল ঠিকানা দেয়ার কথা আছে মন্তব্য করার আগে। সেটিও যাচাই করার কোন বিষয় নেই। লোকটির নাম রোমেল কিনা সেটিও যাচাই করার কোন সুযোগ নেই। এমন মন্তব্য সকল পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে করা যায়। প্রতিদিন এমনটি করাও হচ্ছে। ঙ. আপনি একদিন দেখবেন, আপনার কোন এক পরিচিত বন্ধুর নামে আপনার কাছে একটি মেইল এসেছে যে, তিনি বিদেশের কোন একটি শহরে বিপন্ন অবস্থায় আছেন। তিনি হয় মানিব্যাগ, না হয় ব্যাগ বা পাসপোর্ট হারিয়েছেন এবং তাকে সহায়তা করা দরকার। তিনি বলবেন, দেশে ফিরে আপনাকে টাকা পাঠিয়ে দেবেন, আপাতত তাকে সহায়তা করুন। বস্তুত এটি একটি প্রতারণার ফাঁদ। আপনার বন্ধুর মেইলটিকে হ্যাক করে এ ধরনের প্রতারণামূলক মেইল পাঠানো হয়। কেউ কেউ এমন বিপদের সময় ডলার পাঠিয়ে ফাঁদে পড়েন। আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একজন সাবেক উপদেষ্টার নামে মেইল পেয়েছি। একজন নামকরা অর্থনীতিবিদের নামে মেইল পেয়েছি। কার্যত প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এ রকম দু’চারজনের নামে মেইল পাই। চ. আপনি প্রায় প্রতিদিন অসংখ্য লটারির মেইল পেতে পারেন। যে কোন প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নামে এসব মেইল এসে থাকে। এতে আপনি পুরস্কৃত হয়েছেন বা লটারি পেয়েছেন বলে প্রলোভন দেয়া থাকবে। এসব সাধারণ মেইলের বাইরে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে হেয় করার বা আপনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করার জন্য মেইল পাঠানো হতে পারে। এমনকি ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভুয়া ছবি-ভিডিও তৈরি করে আপনাকেই মেইলে পাঠানো হতে পারে। আপনার মেইল এ্যাকাউন্ট হ্যাক করে আপনার নামে আপনার জন্য ক্ষতিকর মেইল অন্যের কাছে পাঠানো হতে পারে। ইন্টারনেটে ইউটিউব হচ্ছে ভিডিও সন্ত্রাসের জায়গা। সেখানে কেবল যে পর্নো ছবি প্রচার করা হয় তা-ই নয়, ব্যক্তিভাবে আক্রমণ করার জন্য ব্যাপকভাবে ইউটিউবকে ব্যবহার করা হয়। এটি রাজনৈতিক অপপ্রচারেরও হাতিয়ার। ব্লগে মিথ্যাচার, বাজে মন্তব্য ও অন্যকে আক্রমণ করা একটি সাধারণ বিষয়। ছ. আমি একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে চিনি, যিনি তার এক ছাত্রকে বাজে কাজ করার জন্য বকা দেয়ায় শিক্ষিকার ছবি ব্যবহার করে হাই-৫ নেটওয়ার্কে একটি হিসাব খুলে যা খুশি তাই লেখা হয় এবং তাকে যতভাবে অপমান করা সম্ভব তা করা হয়েছে। সমাজে ইভ টিজিং যেমন করে মেয়েদেরকে বিপর্যস্ত করছে ইন্টারনেটেও প্রধানত তারাই অধিকতর নির্যাতিত হচ্ছে। যেহেতু ইন্টারনেট একটি গণমাধ্যম সেহেতু এখানে যে অপকর্মগুলো করা হয় তা যেমন করে পাবলিক হয়ে যায় তেমনি এর বিস্তারও ঘটে দ্রুত। একটি মেয়ে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাবার সময় যদি একটি বখাটে বাজে মন্তব্য করে তবে তা হয়ত দু’ চারটি লোকের চোখে দেখা পড়ে। কিন্তু যখন কেউ ইন্টারনেটে সেই কাজটি করে তখন লক্ষ কোটি মানুষের সামনে সেটি পৌঁছে যায়। ফলে সাধারণভাবে যদি কোন অপরাধ ঘটে তবে তার যা ক্ষতি এর চাইতে বহুগুণ ক্ষতি হয় ইন্টারনেটে। কয়েক মাস আগে এক পত্রিকার সাংবাদিক ড. জাফর ইকবালের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের হ্যাকাররা সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করছে। তিনি সেই ঘটনাটিকে কিভাবে দেখেন। তিনি মন্তব্য করেছিলেন, হ্যাকিং কখনও ভাল কাজ নয়। যে কাজটি প্রকাশ্যে করা যায় না সেটি গোপনেও করা উচিত নয়। ড. জাফর ইকবালের এই মন্তব্যের পর আমার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে কেউ একজন একটি মন্তব্য করল দেশের এই প্রথিতযশা শিক্ষক সম্পর্কে। সঙ্গে একটি লিঙ্ক দেয়া হলো। আমি লিঙ্কটিতে গেলাম। আমার জন্য যেটি ভয়ঙ্কর ছিল সেটি হচ্ছে যে, সেখানে একজন তরুণ-নিজেকে ছাত্র দাবি করল এবং একটি ছাত্র সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যেভাবে সম্ভব চরিত্র হনন করার চেষ্টা করল। তিনি যে উপাচার্য হবার জন্য কোন একটি বিষয়ে নীরব, সেটি তো বললই তার সঙ্গে তার আপোসকামিতা, স্বার্থপরতা, বিশেষ একটি দলের দালাল, বিশেষ একটি দেশের দালাল; সবই আলোচনায় নিয়ে এলো। একই অবস্থা হয়েছিল মুন্নি সাহা ও আমাকে নিয়ে। ঢাকা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৫ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ [email protected] www.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×