ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

গুলশান হোসেনের ক্যানভাসে প্রকৃতি ও জীবনের সম্মিলন

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

গুলশান হোসেনের ক্যানভাসে প্রকৃতি ও জীবনের সম্মিলন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পাহাড়ের শরীর বেয়ে ঝরছে ঝরনাধারা। সেই জলের ধারায় শ্যাওলা জমেছে পর্বতের গায়ে। আর পাহাড়ের নিচে জলাভূমিতে ফুটে আছে নয়নজুড়ানো পদ্মফুল। চিত্রকর্মটির শিরোনাম পদ্ম ও শৈবালের গল্প। আরেকটি ছবিতে দৃশ্যমান নীলাকাশ ও বিস্তীর্ণ চরাচর। বিশাল প্রান্তর দিয়ে হেঁটে চলেছে দুই প্রান্তিক মানুষ। প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের মেলবন্ধন ঘটানো ছবিটির শিরোনাম ওরা ওখানে থাকে। এভাবেই ক্যানভাসে নিসর্গের সঙ্গে জীবনের সম্মিলন ঘটিয়েছেন গুলশান হোসেন। রঙের ওপর রং চাপিয়ে প্রকৃতি ও জীবনের জয়গান গেয়েছেন আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত এই চিত্রশিল্পী। তেমন কিছু ছবি নিয়ে রাজধানীর প্রগতি সরণির এ্যাথেনা গ্যালারিতে শুরু হলো এই শিল্পীর ১৭তম একক প্রদর্শনী। শিরোনাম প্রকৃতি ও জীবনের প্রতিফলন। শনিবার শীতের সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধন হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ. খান। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত শিল্পী অধ্যাপক রফিকুন নবী। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ হেরিটেজ ফাউন্ডেশন ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি চেয়ারম্যান ওয়ালিউর রহমান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন এ্যাথেনা গ্যালারি অব্ ফাইন আর্টসের চেয়ারপার্সন নিলু রওশন মোরশেদ। বিষয়ের সঙ্গে রঙের বৈভবে উজ্জ্বল গুলশানের চিত্রকর্মগুলো। বর্ণ দিয়ে বর্ণনা করেছেন আপন মনোলোকের। আশৈশব প্রকৃতিকে শিল্পী যেভাবে পাঠ নিয়েছেন সেটাকেই মেলে ধরেছেন চিত্রপটে। সেই সূত্রে প্রকৃতির পাশাপাশি উপস্থাপন করেছেন মানবিক জীবন। নিসর্গ ও জীবনের সুন্দরের উল্টোপিঠে থাকা অনাকাক্সক্ষী ও অসুন্দর ঘটনারও বয়ান দিয়েছেন ক্যানভাসে। এসিডে পোড়া নারীর মুখ এঁকে উপস্থাপন করেছেন সভ্যতার ক্ষতচিহ্নকে। উজ্জ্বল রঙের আশ্রয়ে সরু রেখায় বলেছেন আবহমান বাংলা ও প্রকৃতির কথা। তিন সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীতে এ্যাক্রেলিক, তেলরং ও মিশ্রমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে আঁকা ৫৫টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনীটি চলবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বেলা ১০টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ‘শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণের সুবর্ণ পথ’ ॥ প্রকাশিত হলো আবৃত্তিশিল্পী গোলাম সারোয়ার রচিত ‘শুদ্ধ ও প্রমিত উচ্চারণের সুবর্ণ পথ’ শিরোনামের গ্রন্থ। বইটি প্রকাশ করেছে প্রতীক প্রকাশনী। এ উপলক্ষে শনিবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘বাংলা শব্দের উৎস’ শিরোনামের অভিধান রচয়িতা ফরহাদ খান ও অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ। এছাড়াও ছিলেন অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আহ্্কাম উল্লাহ্্, বাচিক শিল্পী মীর বরকত ও প্রতীক প্রকাশনীর প্রকাশক নূর-ই-মোত্তাকিম আলমগীর। কামাল লোহানী বলেন, এ বইটি শুধু বাচিক শিল্পীদের জন্যই শুধু নয় উপস্থাপক ও বাংলা ভাষাভাষীদের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে। নিরঞ্জন অধিকারী বলেন, আমাদের দেশে প্রমিত উচ্চারণ নিয়ে খুব বেশি কাজ হয়নি। এই বইটি প্রমিত উচ্চারণের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও শূন্যস্থান পূরণ করবে। ভাষাতাত্ত্বিক ফরহাদ খান বলেন, আমরা একটু দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে আমাদের প্রমিত বাংলা উচ্চারণের ক্ষেত্রে। বিভিন্ন টিভি ও রেডিওতে যেভাবে বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেখে আমার ভয় হয়। আমরা এ ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারব তো? মাঝে মাঝে মনে এ ভাষাটাকে বাঁচিয়ে রাখতে আরেকটা একুশে ফেব্রুয়ারি প্রয়োজন। গ্রন্থটি সম্পর্কে তিনি বলেন, এই বইটিকে আমি মূল্যবান গ্রন্থ বলব। কারণ উচ্চারণের যে বিশৃঙ্খলা চলছে তা রোধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, যারা আবৃত্তি, নাটক ও উপস্থাপনার কাজ করছেন এবং যারা করতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গোলাম সারোয়ার প্রমিত উচ্চারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে আর সে অভিজ্ঞতার ফসল এ গ্রন্থটি। সঙ্গত কারণেই এই বইটিতে প্রমিত বাংলা শিক্ষণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিষয় সুনিপুণভাবে ওঠে এসেছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ॥ ‘বেটার ফ্লিম, বেটার অডিয়েন্স, বেটার সোসাইটি’ সেøাগানে চলা রেইনবো ফ্লিম সোসাইটি আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ১৪তম আসরের তৃতীয় দিন ছিল শনিবার। এদিন ৫টি ভেন্যুতে ৪১টি চলচ্চিত্র দেখানো হয়। ধানম-ির ইএমকে সেন্টারে ১৪টি চলচ্চিত্র দেখানো হয়। আজ রবিবার উৎসবের চতুর্থ দিন ৫টি ভেন্যুতে দেখানো হবে ৪৬টি চলচ্চিত্র। রাজশাহীতে পুষ্পমেলায় ফুলপ্রেমীদের ভিড় ॥ রাজশাহীর মণিবাজার চত্বরে চলছে পুষ্পমেলা। শনিবার ছিল মেলার দ্বিতীয় দিন। রাজশাহী থেকে জনকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার জানান, এদিন ফুলপ্রেমীদের আগমনে এদিন মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। ফুলের সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি অনেকই ব্যস্ত ছিলেন ফুলের সঙ্গে নিজের ছবি ক্যামেরাবন্দীর প্রতিযোগিতায়।
×