ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এক বছরে নানা অপরাধের ৩০ হাজার অভিযোগ ॥ ১০ হাজার পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

পুলিশের একের পর এক বেপরোয়া আচরণ, জনমনে শঙ্কা

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

পুলিশের একের পর এক বেপরোয়া আচরণ, জনমনে শঙ্কা

শংকর কুমার দে ॥ সাদা পোশাকের পুলিশ দলকে সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী দল মনে করেছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস। অপরদিকে বিকাশ চন্দ্র দাসকে ছিনতাইকারী দলের সদস্য মনে করেছিল সাদা পোশাকের পুলিশ দল। দু’পক্ষই অপর পক্ষকে ছিনতাইকারী মনে করার এক পর্যায়ে সাদা পোশাকের পুলিশ দল পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাসকে অমানুষিক নির্যাতন করেছে। পুলিশের তদন্ত কমিটির জিজ্ঞাসাবাদে ভুল বোঝাবুঝির এই ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। এই ঘটনার মাত্র পাঁচ দিন আগে গত ৯ জানুয়ারি রাজধানী রাস্তায় কর্তব্যরত এক দল পুলিশ নির্দয় নির্মম নির্যাতন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে। এ দু’টি ঘটনায় পুলিশ যেই ধরনের নির্যাতন চালিয়েছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। পুলিশের বেপরোয়া আচরণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে পুলিশ প্রশাসন। সারাদেশে গত এক বছরে পুলিশের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধের ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে শাস্তি দেয়া হয়েছে ১০ হাজার পুলিশ সদস্যকে। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাকে নির্যাতনের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এসআই মাসুদকে। পুলিশী নির্যাতন প্রতিরোধে পুলিশের মধ্যে কাউন্সেলিং করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ডিএসসিসি পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাসকে নির্যাতনের বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করা হচ্ছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্রে এ খবর জানা গেছে। ছিনতাইপ্রবণ এলাকা রাজধানীর মির হাজিরবাগ। শুক্রবার ভোর তখন প্রায় পাঁচটা। সাদা পোশাকে সিভিল টিমের পুলিশ টিম ডিউটি করছে। এই রাস্তা ধরে মোটরসাইকেলযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিভাগের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ দেখতে যাচ্ছিলেন পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাস। সাদা পোশাকের পুলিশ দল বিকাশ চন্দ্রের মোটরসাইকেল থামানোর সঙ্কেত দেয়। ছিনতাইকারী দল ভেবে দ্রুত চলে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিকাশ। অপরদিকে পুলিশ তাকে ছিনতাইকারী ভেবে ধাওয়া দেয়। মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান বিকাশ। তারপর কয়েকজন পুলিশ মিলে তাকে ধরে নিয়ে বন্দুকের বাট ও বুট দিয়ে বেধড়ক অমানুষিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতন করার পর তাকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় পুলিশ ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পথচারীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পুলিশ ভ্যান ঘেরাও করার পর পুলিশ দল তাকে নামিয়ে দিয়ে যায়। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ দলটি এমনই নির্যাতন চালিয়েছে, হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে বিকাশ চন্দ্র দাশ। এই ঘটনাটির তদন্তের জন্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (আইসিটি) হারুন-অর রশীদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসআই মাসুদ সাময়িকভাবে বরখাস্ত ॥ রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনের ঘটনায় এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে তাকে ক্লোজড করা হয়। গত ৯ জানুয়ারি শনিবার রাত ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরে তাঁর খালার বাসা থেকে কল্যাণপুরে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বি। রাস্তায় হঠাৎ পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তাঁর শার্টের কলার ধরে বলেন, তোর কাছে ইয়াবা আছে। তিনি অস্বীকার করেন। এক পুলিশ তাঁকে ধরে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের কাছে নিয়ে যায়। এসআই মাসুদও তাঁকে বলেন, তোর (রাব্বী) কাছে ইয়াবা আছে। তিনি আবারও অস্বীকার করেন। এসআই মাসুদসহ পুলিশ সদস্যরা মিলে টানাহেঁচড়া শুরু করেন ব্যাংক কর্মকর্তাকে। ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের চেষ্টা করে পুলিশ দল। একপর্যায়ে তাঁকে জোর করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তাকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশ দল। এতই নির্যাতন চালানো হয় যে, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাঝে মধ্যেই পুলিশের ভয়ে আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। পুলিশী নির্যাতানের এই চিত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গত ১১ জানুয়ারি এসআই মাসুদ শিকদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়। শনিবার এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এসআই মাসুদের সঙ্গে ওই রাতে যেসব পুলিশ সদস্য ছিলেন তাদের ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা এমন কোন তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ। পুলিশের কাউন্সেলিং শুরু ॥ ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদস্যদের কাউন্সেলিং দেয়া হচ্ছে। কর্তব্যরত পুলিশ দলের হাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ীর মীর হাজিরবাগে ডিএসসিসি পরিচ্ছন কর্মকর্তাকে অমানুষিক নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। শনিবার ডিএমপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, সম্প্রতি দু’টি ঘটনা আলোচনায় এসেছে। এ ধরনের পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয়, সেজন্য পুলিশের কাউন্সেলিং চলছে। ব্যাংক কর্মকর্তাকে হয়রানির বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ পাওয়ায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অপর ঘটনাটিরও তদন্ত চলছে। দু’টি ঘটনায়ই পৃথক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। একটি ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ সদরদফতর। আরেকটি করছে ডিএমপি। তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ, এতে পক্ষপাতিত্বের সুযোগ আছে কিনাÑ এমন এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল বলেন, পুলিশের তদন্তের ভিত্তিতে কারও কারও ফাঁসিও হয়েছে, আরও অনেকের শাস্তি হয়েছে। কোন ধরনের পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সাদা পোশাকে অভিযানে যেতে হলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কোন পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত বিচ্যুতির দায় বিভাগ (ডিপার্টমেন্ট) নেবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম। একই দিনে পুলিশের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ ॥ রাজধানীর পুরান ঢাকায় অজয় শীল (২৭) নামে এক যুবকের পায়ে পুলিশ অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ৩৫ নম্বর পাতলা খান লেনে একটি বাড়ির নিচতলায় এ ঘটন ঘটে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহত যুবকের দাবি, সে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। তাকে পরিকল্পিতভাবে পুলিশ পায়ে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পঙ্গু করে দিয়েছে। পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য অজয়রা বৈঠক করছিল। এ সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার উদ্ধার করার দাবি করেছে পুলিশ। এক বছরে ১০ হাজার পুলিশের শাস্তি ॥ দেশে ২০১৫ সালে, গত এক বছরে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে ১০ হাজার পুলিশ সদস্যকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেয়া হয়েছে। শাস্তির মধ্যে রয়েছে জেল-জরিমানা, চাকরিচ্যুতি, বাধ্যতামূলক অবসর, পদাবনত ও ব্যক্তিগত সার্ভিস প্রোফাইলে বিরূপ মন্তব্য করা। পুলিশ সদর দফতরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড এন্ড ডিসিপ্লিন (পিএসডি) শাখা সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। পুলিশ সদর দফতরের পিএসডি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি অভিযোগ পুলিশ সদর দফতর আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশ অথবা মেট্রোপলিটন পুলিশে বিভাগে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে ফৌজদারি মামলায় গ্রেফতারও দেখানো হয়। গত ৩০ নবেম্বর কাফরুলের ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন কামাল হত্যা মামলার আসামি এসআই রেজাউল করিম আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে পালিয়ে যান। দুই দিন পর রেজাউল করিমকে পুলিশ গ্রেফতার করে। গত বছরের ১৪ জুন খিলগাঁও থানা পুলিশের এএসআই মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে তার সাবেক স্ত্রীকে আটক করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ এএসআই মোশারফকে গ্রেফতার করে। গত ৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে ভাটারা থানা এলাকার নুরেরচালা বাজারের খান রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মাসুদ খানকে ভাটারা থানার ওসি ও পরিদর্শক (তদন্ত) আটক করে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে মাসুদ খানকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পুলিশ সদস্যরা দু’টি কারণে শাস্তিযোগ্য বিবেচিত হন। একটি হলো ফৌজদারি অপরাধ ও অপরটি কর্তব্যকাজে অবহেলা। কোন পুলিশ সদস্য ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয় বলে জানা গেছে। মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ ॥ শনিবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পরিচ্ছন্নতা বিভাগের পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দাসকে (৪০) রাজধানীর ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে দেখতে গিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে এক ধরনের দায়মুক্তির ভাব গ্রাস করছে। তাদের কোন কিছু হবে না, কোন কিছু স্পর্শ করবে না এই ধরনের ভাবনায় তাদের পেয়ে বসেছে। শুক্রবার ভোরে পুলিশী নির্যাতনে গুরুতর আহত ল্যাব এইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন বিকাশ চন্দ্র দাসকে দেখতে গিয়ে ?মিজানুর রহমান বলেন, বিকাশ চন্দ্র দাসকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে তা দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদ-, সাংবিধানিক অধিকার এবং নির্যাতন বিরোধী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বিকাশ চন্দ্র দাসকে হাসপাতালের আইসিইউতে দেখে আসার পর পুলিশের পক্ষ থেকে ‘মাছের রাজা ইলিশ দেশের রাজা পুলিশ’ বলে যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ উক্তি করা হয়েছে তা একটি ভয়ানক উক্তি বলে মন্তব্য করেন কমিশন চেয়ারম্যান। দেশে যে অবস্থা চলছে তা এখনই রুদ্ধ করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, যার পরিণতি ভাল হবে না। ডিএমপি কমিশনার সবাইকে আশ্বস্ত করেছেন। আমরাও তাঁর কথায় আস্থা রাখতে চাই, বিশ্বাস রাখতে চাই বলে মন্তব্য করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মিজানুর রহমান বলেন, বিকাশ চন্দ্র দাস এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী এই দুজনের বেলায় অন্ততপক্ষে দৃষ্টান্ত রাখুন, প্রমাণ করুন আইন সবার জন্য প্রযোজ্য। পুলিশের কেউ অপরাধ করলেও রাষ্ট্র তা সহ্য করবে না, আমরা তা দেখতে চাই। বিকাশ চন্দ্র দাসের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বলেন, প্রচ- আঘাত পেয়েছেন, কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, কথাও অস্পষ্ট। তার ঘাড়ে, মাথার পেছনে, হাঁটুতে চরম আঘাত। দুটো পা নাকি মাঝে মাঝে তাঁর অবশ মনে হচ্ছে। তীব্র যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। তাঁর কিডনি বা লিভারে প্রভাব ফেলবে কি না তা চিকিৎসকরা পরে বলতে পারবেন। মিজানুর রহমান পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার ভিকটিমদের ক্ষতিপূরণ ও চিকিৎসা ব্যয়ভার রাষ্ট্রের বহন করা উচিত উল্লেখ করে বলেন, মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকেও যথাযথ জায়গায় আবেদন, সুপারিশ করা হবে।
×