ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নৌকা ও ধানের শীষ নিয়ে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি

ইউপি নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৭ জানুয়ারি ২০১৬

ইউপি নির্বাচন ঘিরে জমে উঠেছে তৃণমূলের রাজনীতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ পৌর নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। ফের জমে উঠছে তৃণমূলের রাজনীতি। নৌকা ও ধানের শীষ নিয়ে ইউপি নির্বাচনে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বলে খ্যাত বিএনপি। দুই শিবিরেই চলছে জোর প্রস্তুতি। দলীয় একক চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ে ইতোমধ্যে মাঠ জরিপ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে, ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়ে তৃণমূলে প্রার্থী বাছাইয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন পাঠিয়েছে বিএনপি। দেশের প্রধান এই দুই রাজনৈতিক দলের বাইরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলেও দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতিপর্ব চলছে। পৌর নির্বাচনের মতো এবারই প্রথম দলীয়ভাবে হতে যাওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। পৌর নির্বাচনের মতো ইউপিতেও জয়ের ধারা ধরে রাখতে আগে থেকেই জোর প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। পৌরসভায় সাফল্য পাওয়ার পর উজ্জীবিত তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করেই একক প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। অন্যদিকে বসে নেই বিএনপিও। পৌর নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুললেও ভেঙ্গে পড়া সাংগঠনিক শক্তিকে উজ্জীবিত ও সক্রিয় রাখতেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। বর্তমানে নড়বড়ে সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে পৌর নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচনেও আশানুরূপ সাফল্য আসার সম্ভাবনা না দেখলেও বিএনপি চাইছে তৃণমূলের এই বৃহৎ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেতাকর্মীদের রাজনীতির মাঠে সক্রিয় করে তোলা। আগামী মার্চ মাসে প্রথম ধাপে সারাদেশের প্রায় ৬শ’টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ফলে এ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলের রাজনীতি জমে উঠেছে। শো-ডাউনসহ বিভিন্নভাবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ দিতে বড় দুই দলের সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। দলীয় সমর্থন পেতে ধর্না দিচ্ছেন দল দুটির শীর্ষ নেতাদের দ্বারে দ্বারে। তবে পৌর নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচনেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে শঙ্কায় উভয় দলই। দল দুটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা অপকটেই স্বীকার করছেন, এত ইউনিয়ন পরিষদে দলের একক প্রার্থী বাছাই করা বেশ কঠিনই হবে। তবে বিদ্রোহী প্রার্থী ঠেকাতে তাঁদের চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না। ইউপি নির্বাচনকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে আওয়ামী লীগ ॥ পৌরসভা নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে স্থানীয় সরকারের এই বৃহৎ নির্বাচনকেও চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে তারা। পৌর নির্বাচনের সাফল্য ইউপিতেও ধরে রাখা যায়, সেজন্য জোর প্রস্তুতি চলছে দলটিতে। ইতোমধ্যে সারাদেশে চেয়ারম্যান পদে যোগ্য একক প্রার্থী বাছাই করতে গোপনে মাঠ জরিপও শুরু করে দিয়েছে দলটির হাইকমান্ড। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় এ নির্বাচনে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সাত বিভাগের জন্য আলাদা আলাদা কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছে আওয়ামী লীগ। বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রধান করে সৎ, যোগ্য, মেধাবী, জনপ্রিয় ও দলের জন্য নিবেদিত ক্লিন ইমেজের একক চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বাছাই করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নির্দেশ অনুযায়ী দলীয় প্রতীকে পৌরসভায় সাফল্য পাওয়ার পর উজ্জীবিত তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে সারাদেশেই প্রার্থী বাছাইয়ের তোড়জোড় শুরু হয়েছে দলটিতে। পৌর নির্বাচনের মতো ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও গোপন জরিপ এবং তৃণমূল নেতাদের সুপারিশ সমন্বয় করেই দলের একক প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার প্রার্থী মনোনয়ন বোর্ড। আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সদ্য শেষ হওয়া পৌর নির্বাচনের অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বাছাই করা যে দুষ্কর, তা এখন ভালভাবেই টের পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। অব্যাহত চাপ, আল্টিমেটাম এবং সবশেষ দল থেকে বহিষ্কারের পরও ২৩৪টি পৌরসভার মধ্যে প্রায় ৭২টি পৌরসভায় বিদ্রোহী প্রার্থীকে দমাতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে দুই ডজনেরও বেশি পৌরসভায় দলীয় প্রার্থীর বিজয় হাত ছাড়া হয়েছে আওয়ামী লীগের। আগামী মার্চ মাসে প্রথম দফায় প্রায় ৬শ’ ইউপিতে নির্বাচন হবে। এত ইউনিয়ন পরিষদে একক প্রার্থী বাছাই এবং বিদ্রোহী প্রার্থী দমন যে অনেকটাই অসম্ভব, তা স্বীকারও করেছেন অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। তাঁরা বলছেন, সব ইউপিতেই দলের একক প্রার্থী বাছাইয়ে শেষ পর্যন্ত তাঁরা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর নির্বাচনের আমেজ কাটতে না কাটতেই দেশজুড়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার, শো-ডাউনসহ বিভিন্নভাবে নিজের যোগ্যতা প্রমাণে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পেতে ধর্না দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাসহ জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে। নিজেদের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা প্রমাণে জেলার পাশাপাশি উপজেলা-থানার নেতাদেরও হাতে রাখার চেষ্টা করছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। প্রথম দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে হবে কিনা, তা নিয়ে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভ্রান্তিতে ছিল। কিন্তু সেই বিভ্রান্তি দূর করে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দেখভালের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, জাতীয় সংসদে পাসকৃত আইনের অধীনেই দলীয় প্রতীকে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়ে সরকার বিকল্প কিছু ভাবছে না। আর যেহেতু দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে, তাই ইউপি নির্বাচনও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। দলীয় সূত্র জানায়, মাসাধিককাল ধরেই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন দলীয়ভাবে হওয়া নিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত বেশ পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলে। পৌর নির্বাচন দলীয়ভাবে হলেও ইউপি নির্বাচন একেবারেই তৃণমূল পর্যায়ের বলে অন্তত এই নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে করার পক্ষে মত দেন অনেক তৃণমূল নেতা। তাদের আশঙ্কা, দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন হলে তৃণমূলে ‘চেইন অব কমান্ড’ ঠিক থাকবে না। একক প্রার্থী ঠিক করতেও হিমশিম খেতে হবে দলকে। তাছাড়া নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সংঘাত ঠেকানোও কঠিন হবে। দলটির এমপিও মনে করেন, যেহেতু তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঘিরে তাঁদের রাজনীতি, সেহেতু ইউপি নির্বাচনে একজনকে মনোনয়ন দিলে অন্য জন নাখোশ হবেন। এ নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বাড়বে। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এমপিদের দূরত্ব বাড়বে। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় কয়েক প্রভাবশালী নেতাকে স্থানীয় এমপি ও জেলা-উপজেলার দায়িত্বশীল নেতারা তাঁদের আপত্তি জানিয়েছেন। তবে সাধারণ সম্পাদক তাঁদের কথাবার্তা শুনলেও দলীয় প্রতীকেই ইউপি নির্বাচন হবে বলে সাফ জানিয়ে দেন। সবশেষ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দলীয়ভাবে ইউপি নির্বাচনের পক্ষেই মত দেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। বিএনপিতেও চলছে ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি ॥ পৌর নির্বাচনে ভরাডুবি ঘটলেও মাঠ ছাড়বে না বিএনপি। পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ নিয়ে নানা অভিযোগ তুললেও বিএনপি ইউপি নির্বাচনেও যে অংশ নেবে তা নিশ্চিত করেছে দলটির হাইকমান্ড। ইতোমধ্যেই চেয়ারম্যান প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গাইডলাইন প্রণয়ন করেছে বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। সেই গাইডলাইন ধরেই দলটির বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকরা দলের একক প্রার্থী বাছাইয়ে প্রস্তুতিও শুরু করেছে। প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বিএনপির জেলা-উপজেলার নেতাদেরও। দলটির একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছর অক্টোবর মাস থেকে শুরু হওয়া তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠনকালেই বিএনপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকার খসড়া প্রস্তুত করে। সে তালিকা পর্যালোচনা করে কেন্দ্র থেকে একটি সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকাও করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি এলাকা থেকে জেলা-উপজেলা কমিটির সমন্বয়ে আসা দলের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের তালিকা অনুযায়ীই নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে বিএনপিতে। খুব শীঘ্রই দলটির নীতিনির্ধারকরা বৈঠক করে তৃণমূলের সুপারিশ ও কেন্দ্রীয়ভাবে করা জরিপের ভিত্তিতে ইউপি নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান করে একটি পর্যবেক্ষক কমিটিও গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে রয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম মহাসচিব মোহাম্মদ শাহজাহান, রুহুল কবির রিজভী ও বিভাগীয় সকল সাংগঠিক সম্পাদকগণ। এ কমিটি ইতোমধ্যেই জেলা-উপজেলা কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তবে পৌর নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ থাকায় এবার দলীয় হাইকমান্ড থেকে ইউপি নির্বাচনে অধিকতর যাচাই-বাছাই করে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করতে বলা হয়েছে। ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। প্রথম দফায় যে ৬শ’ ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে, আমরা স্থানীয় পর্যায় থেকে প্রার্থী ঠিক করার চেষ্টা করছি। কেন্দ্র থেকেও সিনিয়র নেতারা দলীয় প্রার্থী ঠিক করাসহ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি। তাই ইউপি নির্বাচনসহ সব স্থানীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। সেভাবেই দলীয় প্রস্তুতি চলছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পৌর নির্বাচনের মতো ইউপি নির্বাচনেও অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলেও বিএনপিতেও প্রধান মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্রোহী প্রার্থিতা। বিশেষ করে বিএনপির দুর্গ বলে খ্যাত এলাকাগুলোর ইউনিয়ন পরিষদে ডজন ডজন সম্ভাব্য প্রার্থীরা মাঠে থাকায় তাদের মধ্যে থেকে একক দলীয় প্রার্থী বাছাই যে খুবই কঠিন হবে, তা অকপটে স্বীকার করেছেন দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তাঁদের মতে, সব ইউপিতে একক প্রার্থী নির্বাচন করা কঠিন হলেও তারা শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। কোন ইউপিতে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেউ বিদ্রোহী প্রার্থী হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। শুধু আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপিই নয়, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তারাও সারাদেশে একক চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। দুই জোটের ব্যানারে নির্বাচনের সম্ভাবনা না থাকায় প্রধান দুই জোটে থাকা শরীক দলগুলোও এককভাবে ইউপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।
×