ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কচুরিপানায় স্বাবলম্বী দুই হাজার নারী

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

কচুরিপানায় স্বাবলম্বী দুই হাজার নারী

কচুুরিপানাও ফেলনা নয়। তা দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে কাগজ। আর সে কাগজ দিয়ে তৈরি খেলনা, পাখা, শণ-সুতা বিদেশে পাঠিয়ে আসছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা। শুধু কচুরিপানার কাগজ নয়, পুরনো খবরের কাগজও শিল্পীর নিপুন হাতে উঠে তৈরি হচ্ছে সাড়ে চার হাজার ধরণের পণ্য সামগ্রী। তাও যাচ্ছে বিদেশে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার হাজার নারী আজ এ কাজে জড়িয়ে নিজেদের করেছে স্বাবলম্বী। সংসারে এনেছে স্বাচ্ছন্দ্য। সঠিক পারিশ্রমিক, সঠিক ব্যবসা- এ মূল সুরকে ধারণ করে দুস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা অসহায় নারী আজ আত্মনির্ভরশীল। এদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে একটি বে-সরকারি সংস্থা। চারটি প্রকল্পের অধীনে দুই হাজার নারী একদিকে নিজেদের করেছে আত্মনির্ভরশীল, অন্যদিকে সংসারে এনেছে সমৃদ্ধি। প্রকল্পগুলো হলো- বাগধা, জোবারপাড়, কেয়া পাম হ্যান্ডিক্রাফ্টস ও বিবর্তন। প্রত্যন্ত বাগধা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত প্রকল্পের প্রধান কাঁচামাল শণ-সুতা। উৎপাদিত সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে সুতলির ব্যাগ, পার্স ও সাইড ব্যাগসহ তিনশ’ ৭১ রকমের সৌখিন সামগ্রী। এসব পণ্যের বেশির ভাগই রফতানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। এখানে কাজ করে দারিদ্র জয় করে ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন বাগধা গ্রামের শেফালী হালদার। এককালে যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরিয়েছে সেই শেফালী হালদারের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের ফসল তিনি ঘরে তুলেছেন। তাঁর বড় ছেলে বর্তমানে ঢাকার বারডেম হাসপাতালে শিশু মেডিসিন বিশেষষ্ণ ডা. অমৃতলাল হালদার। জোবারপাড় প্রকল্পের মেয়েরা পরিত্যক্ত ডোবা, মজা পুকুর থেকে কচুরিপানা সংগ্রহ করে প্রথমে মণ্ড ও পরে তা থেকে উন্নতমানের কাগজ তৈরি করে। সে কাগজ দিয়ে তৈরি হয় সৌখিন পুতুল, পুতুল বক্স, ঈদ কার্ড, গিফট বক্সসহ নানা খেলনা সামগ্রী। -খোকন আহম্মেদ হীরা বরিশাল থেকে
×