ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রতিপক্ষই বল নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে (৫২ শতাংশ)। আক্রমণ বেশি করেছে তারাই। যদিও ম্যাচ শেষ হয়েছে গোলশূন্য ড্রতে। তারপরও এসব নিয়ে কোন মাথাব্যথা নেই বাংলাদেশ দলের। কারণ তারা হয়েছে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাও আবার অপরাজিত। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ গোলশূন্য ড্র করে নেপালের সঙ্গে। ফলে ৩ খেলায় ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হলো তারা। সমান খেলায় সমান পয়েন্ট নেপালেরও। তারা হয়েছে অপরাজিত গ্রুপ রানার্সআপ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী ১৮ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায় টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ কে সেটা জানা যাবে আজকের ‘বি’ গ্রুপের দুটি ম্যাচ শেষ হবার পর। শুক্রবার এই ম্যাচের আগে ‘এ’ গ্রুপের ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ২-১ গোলে হারায় এ আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া একাদশকে। মালয়েশিয়ার এই হারে একসঙ্গে লাভবান হয় বাংলাদেশ এবং নেপাল। এক ম্যাচ হাতে রেখে দুটি দলই নিশ্চিত করে সেমিফাইনাল খেলা। মুখোমুখি মোকাবেলায় এগিয়ে আছে ১৭৯ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী বাংলাদেশই। ২১ ম্যাচের মধ্যে ১২ বারই জয়ের হাসি হেসেছে বাংলাদেশ। ৬ বার জিতেছে ১৯৬ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী নেপাল। বাকি ৩ ম্যাচে কেউ জেতেনি। বাংলাদেশের ২৬ গোলের বিপরীতে ১৪ গোল করেছে নেপাল। শুক্রবারের বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচে ১২ মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার পাসে বল পেয়ে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেপালের বক্সে ঢুকে পড়েন সাখাওয়াত রনি। শট নেন। কিন্তু বল গোলরক্ষকের গায়ে লেগে দিক পরিবর্তিত হয়ে যায়। ২২ মিনিটে হেমন্ত বল নিয়ে ডিফেন্ডারদের কাটিয়ে শট নেন। কিন্তু বল চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। ২৬ মিনিটে বক্সের কাছেই ডিফেন্ডার অদিত্যের ফ্রি কিক ছিল নিশ্চিত গোল। ঝাঁপিয়ে পড়ে বল গ্রিপে নিয়ে গোল হজমের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা। ৫৭ মিনিটে একক প্রচেষ্টায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে বক্সে পাঠান হেমন্ত। বক্সে বল পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড রনি। ৮৭ মিনিটে রায়হানের থ্রো থেকে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন মিডফিল্ডার সোহেল রানা। কিন্তু বল গ্রিপে নেন নেপাল গোলরক্ষক। দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ধরা দেয়নি গোল। তাতে অবশ্য আনন্দের ঘাটতি হয়নি। কেননা দল সেমিতে এবং অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন তো হয়েছে। ম্যাচসেরা হন বাংলাদেশের মিডফিল্ডার মোনায়েম খান রাজু। এই ম্যাচে ‘বেঙ্গল টাইগার’রা জিতলে তো কোন কথাই নেই, চোখ বুঝে চলে যাবে কাক্সিক্ষত শেষ চারÑ অর্থাৎ সেমিফাইনালে। ড্র করলেও চলবে। আর হারলে পত্রপাঠ বিদায়। এমন জটিল সমীকরণকে সামনে রেখে নেপালের মুখোমুখি হয় মারুফুল হকের শিষ্যরা। শেষ পর্যন্ত না জিতেও লক্ষ্য পূরণ হয় তাদের। এখন দেখার বিষয় সেমির ম্যাচে জিতে গত আসরের মতো আবারও ফাইনালে নাম লেখাতে পারে কি না তারা।
×