ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের সুযোগ নেই ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনের সুযোগ নেই ॥ ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আজ আমাদের সকলের অভিন্ন শত্রু। শুক্রবার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পরিবার দিবসের অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। আগামী মার্চ থেকে বহুল প্রত্যাশিত মেট্রোরেলের মূলকাজ শুরুর কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তনেরও কোন সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই রুট চূড়ান্ত হয়েছে। তাড়াছা এই ট্রেন চলাচলে শব্দ প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সঙ্গত কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমে মেট্রোরেল নেতিবাচক কোন প্রভাব ফেলবে না। শব্দ দূষণ ও নিরাপত্তার প্রশ্নে মেট্রোরেলের রূপ পরিবর্তের দাবি তুলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে নানা কর্মসূচী পালিত হচ্ছে ক্যাম্পাসে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। তবে প্রকৌশলীরা বলছেন, আবার রুট পরিবর্তন করলে পুরো প্রকল্পের কাজ পিছিয়ে যাবে। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ওবায়দুল কাদের। এর আগে তিনি ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি মন্দির প্রাঙ্গণে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে পরিবার দিবসের উদ্বোধন করেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসক্লাব ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় মেট্রোরেলের সাউন্ডপ্রুফ সিস্টেম আছে। তাই সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও পড়ালেখার পরিবেশ বিঘিœত হওয়ারও কোন সুযোগ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই অনুমোদন নিয়ে রুট ঠিক করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্তে টিএসসি পয়েন্টে মেট্রোরেলের একটি স্টেশন করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সাউন্ডপ্রুফ থাকার কারণে কেউ এখানে টেরই পাবেন না অথচ এখন যে যানবাহন সেখানে চলে সেগুলো শব্দদূষণ করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেট্রোরেল হলে সে যানবাহনগুলো আর চলবে না। তিনি বলেন, মেট্রোরেল হবে উড়ালপথে, সমতল দিয়ে নয়। শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে শব্দ প্রতিরোধক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। এর ফলে শব্দ দূষণের ঝুঁকি হ্রাস পাবে। স্বাধীন বাংলাদেশে সকল নাগরিকের সমান অধিকার এ কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এদেশে আবহমান কাল থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যরে মধ্য দিয়ে সকল ধর্মের মানুষ বসবাস করছে। কোন অপশক্তিকে এ সম্প্রীতি বিনষ্টের সুযোগ দেবে না সরকার। মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রদায়িক হানাহানি নয়, সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ আজ আমাদের সকলের অভিন্ন শত্রু। এ শত্রু মোকাবেলায় দল-মত ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। মহানগর সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে কাজল দেবনাথ ও জয়ন্ত কুমার দেব, মহানগর সার্বজনীন পূজা উদ্যাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ সাহা মনি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কে বি রায় চৌধুরী ও জে এল সেনকে মরণোত্তর এবং অনিল চন্দ্র নাথ ও ফণী ভূষণ চৌধুরীকে সম্মাননা দেয়া হয়।
×