ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু

তুরাগ তীরে মানুষের ঢল, জুমার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি

প্রকাশিত: ০৫:০৮, ১৬ জানুয়ারি ২০১৬

তুরাগ তীরে মানুষের ঢল, জুমার জামাতে লাখ লাখ মুসল্লি

ফিরোজ মান্না/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থেকে ॥ টঙ্গীর তুরাগ তীরে চার দিন বিরতি দিয়ে শুক্রবার আবার দ্বিতীয় পর্বের তিন দিনব্যাপী বিশ্ব এজতেমা শুরু হয়েছে। পথে পথে নানা ভোগান্তি উপেক্ষা করে এবার দেশের ১৬ জেলা থেকে মুসল্লিরা অংশ নিয়েছেন। এজতেমাস্থলে মুসল্লিদের এবাদত-বন্দেগিতে কেটে যাচ্ছে সময়। চলছে হেদায়েতী বয়ান। দ্বিতীয় পর্বের এজতেমা শুক্রবার শুরু হওয়ায় লাখ লাখ মানুষ জুমার নামাজে অংশ নেন। আসছেন বিদেশী মুসল্লিরাও। বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বে পুরো ময়দানকে ২৯ খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। এতে ঢাকার একাংশসহ দেশের ১৬ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন। প্রথম পর্বের মতোই এবারও নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে পুরো বিশ্ব এজতেমা ময়দান। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যাতে টঙ্গীর বিশ্ব এজতেমাস্তলে স্বাচ্ছন্দ্যে এবং নিরাপদে পৌঁছতে পারেন সেজন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গাজীপুরে র‌্যাব ও পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার বাদ ফজর তবলীগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরব্বি ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমানের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম। মূলমঞ্চ থেকে উর্দু ভাষায় দেয়া তার এ বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও বাংলার পাশাপাশি একই সঙ্গে বয়ান বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ (তরজমা) করে প্রচার করা হয়। শুক্রবার দুপুরে বৃহত্তম জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের কারী মোঃ জোবায়ের জুমার নামাজে ইমামতি করেন। এতে লাখ লাখ মুসল্লি অংশ নেন। এদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত এজতেমায় আগত এক মুসল্লি মারা গেছেন। এর আগে এবারের প্রথম পর্বে আগত অপর ৯ মুসল্লি মারা যান। রবিবার (১৭ জানুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব এজতেমা। মোনাজাতের আগ পর্যন্ত তবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরব্বিরা পর্যায়ক্রমে আখলাক, ঈমান ও আমলের ওপর বয়ান পেশ করবেন। বিশ্ব এজতেমার অন্যতম আকর্ষণ যৌতুকবিহীন বিয়ে এপর্বের দ্বিতীয় দিনেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। বৃহত্তম জুমার জামাত ॥ বিশ্ব এজতেমা শুরুর দিন জুমা বার হওয়ায় এজতেমা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহত্তম জুমার জামাত। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে জুমার জামাত শুরু হয়। এর আগে দুপুর দেড়টায় ওই নামাজের খুতবা পাঠ করা হয়। জুমার নামাজে ইমামতি করেন (কাকরাইল মসজিদের ইমাম) হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের। এজতেমায় যোগদানকারী মুসল্লি ছাড়াও জুমার নামাজে অংশ নিতে ঢাকা-গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকার লাখ লাখ মুসল্লি এজতেমাস্থলে হাজির হন। ভোর থেকেই রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা থেকে এজতেমা মাঠের দিকে মানুষের ঢল নামে। জুমার নামাজ আদায় করতে রাজধানীর আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিপুলসংখ্যক মুসল্লি ছুটে আসেন। এজতেমার মাঠ উপচে জামাত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের পাশ ঘেঁষে এজতেমা মাঠের উত্তর দিকের রাস্তায়ও জামাত দাঁড়ায়। মূল প্যান্ডেলে জায়গা না পেয়ে অগণিত মুসল্লিকে রাস্তায় কিংবা মহাসড়ক ও খোলা জায়গার ওপর খবরের কাগজ, জায়নামাজ, পলিথিন ও হোগলা বিছিয়ে নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে। তবে এবছর থেকে দেশের ৬৪ জেলার এজতেমা চার পর্বে অনুষ্ঠিত হওয়ায় এবারের এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের জুমায় তুলনামূলক কমসংখ্যক মুসল্লি শরিক হয়েছেন। বাদ ফজর হতে মাগরিব পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমগণ ঈমান, আমল ও দাওয়াতের মেহনত সম্পর্কে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ সারগর্ভ বয়ান করেন। জুমার নামাজে অংশ নেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ, গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ। প্রথম দিনের বয়ানে যা বলা হয় ॥ বয়ানে বলা হয়, জুমার দিন একটি পবিত্র দিন, সপ্তাহের সেরা দিন। সবচেয়ে উত্তম দিন হলো জুমার দিন। এটি হলো সবচেয়ে বড় ও সম্মানী দিন। এটি দুই ঈদের চেয়েও ফজিলতপূর্ণ। এদিন হযরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়। এদিনই দুনিয়া ধ্বংস হবে। এদিনে আল্লাহ্র কাছে যে যা চাইবে, আল্লাহ তা তাকে দেবেন। জুমার নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে গোসল-ওজু করে মসজিদের উদ্দেশে রওনা হওয়ার পর থেকে তার নেকি লেখা হয়। আমরা যা করব আল্লাহকে রাজি করার জন্য করব। আল্লাহপাকের হুকুমমতো আমরা যেন সারাজীবন চলতে পারি সে চেষ্টা করতে হবে। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশে ও সারা দুনিয়ায় মানুষের মাঝে দীন কায়েম করার জন্য ছড়িয়ে পড়তে হবে। বিভিন্ন ভাষায় বয়ানের তাৎক্ষণিক অনুবাদ ॥ বিশ্ব এজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের তবলীগ মারকাজের ১৫-২০ জন শূরা সদস্য ও বুজুর্গ পর্যায়ক্রমে বয়ান পেশ করেন। মূল বয়ান উর্দুতে হলেও বাংলা, ইংরেজী, আরবি, তামিল, মালয়, তুর্কি ও ফরাসী ভাষায় তাৎক্ষণিক অনুবাদ হচ্ছে। এজতেমা এলাকা এক ঘণ্টা বিদ্যুতহীন ॥ শুক্রবার সকালে বিশ্ব এজতেমা এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা বিদ্যুত ছিল না। এতে ওই এলাকায় নিরাপত্তা মনিটরিং কাজ বিঘিœত হয়। টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, সকাল সোয়া ৮টা থেকে সকাল ৯টা ১০ মিনিট পর্যন্ত এজতেমা এলাকায় বিদ্যুত ছিল না। এতে সিসিটিভিসহ বিদ্যুতচালিত মনিটরিং কাজ ও পানি উত্তোলন সাময়িক বিঘিœত হয়। তবে বিশ্ব এজতেমা পরিচালনা কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, এজতেমা ময়দানের ভেতরে বিশেষ ব্যবস্থায় বিদ্যুত সচল ছিল। সেখানে তেমন সমস্যা হয়নি। এজতেমাস্থলে বিদ্যুত বিভাগের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে বিদ্যুতহীনতার কারণ জানতে চাইলে তিনি কোন জবাব না দিয়ে মোবাইল ফোন কেটে দেন। গাজীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, সিসি টিভি পরিচালনা সাময়িক বিঘিœত হলেও নিরাপত্তার কাজে বড় ধরনের কোন সমস্যা হয়নি। কারণ প্রত্যেকটি জায়গায় পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে আমাদের পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে। মুসল্লির মৃত্যু ॥ বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বে যোগ দিতে আসা এক মুসল্লি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মারা গেছেন। তার নাম আব্দুর রহমান (৬০)। তিনি বগুড়ার গাবতলী থানার মাঝবাড়ি এলাকার মৃত কছিমউদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। বিশ্ব এজতেমার মাসলেহাল (লাশের) জামাতের জিম্মাদার মোঃ আদম আলী জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আব্দুর রহমান নিজ খিত্তায় মারা যান। এজতেমা মাঠে বাদ জুমা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে এবারের এজতেমার প্রথম পর্বে মোট ৯ মুসল্লি মারা গেছেন। নিরাপত্তা নিয়ে র‌্যাবের ব্রিফিং ॥ এজতেমা ময়দানে শুক্রবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সবাইকে নিরাপত্তাকর্মী হতে হবে, তবেই ১৬ কোটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। সম্ভাব্য সব ধরনের হুমকির বিষয় বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য অন্য সকল গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গেও আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। মুসল্লিদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ॥ গাজীপুরের সিভিল সার্জন জানান, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ মেডিক্যাল অফিসারদের তালিকা ও ডিউটি রোস্টার করা হয়েছে। মুসল্লিদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে মন্নু গেট, এটলাস গেট, বাটা কারখানার গেট ও টঙ্গী হাসপাতাল মাঠসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে বেড বাড়ানো হয়েছে। এখানে হৃদরোগ, এ্যাজমা, ট্রমা, বার্ন, চক্ষু এবং ওআরটি কর্নারসহ কয়েকটি ইউনিটে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ চিকিৎসা দিচ্ছেন। এছাড়া মুসল্লিরা যাতে আশপাশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থাসহ সব চিকিৎসাসেবা পান, তার জন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালেও চিঠি দেয়া হয়েছে। অসুস্থ মুসল্লিদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য সর্বক্ষণিক এ্যাম্বুলেন্স মোতায়েন রয়েছে। গাজীপুর সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে মন্নুনগর, বাটা গেট ও এটলাস হোন্ডা গেট এলাকায় চারটি ফ্রি-মেডিক্যাল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তবে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে সেবার মান আরও উন্নত করা প্রয়োজন বলে একাধিক মুসল্লি অভিযোগ করে জানিয়েছেন। এজতেমা উপলক্ষে চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল ॥ এজতেমার মুসল্লিদের সর্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা দিতে এবারও সরকারী ও বেসরকারীভাবে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ঢাকা বিভাগের প্রায় সব জেলা থেকে শতাধিক চিকিৎসক এখানে আনা হয়েছে। এসব চিকিৎসক আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দৈনিক তিন শিফটে (পালায়) এজতেমাস্থলে ডিউটি করবেন। সাড়ে ৬ হাজার বিদেশী মুসল্লির অংশগ্রহণ ॥ বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় পর্বের প্রথম দিন আমেরিকা, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, তুরস্ক, লেবানন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান, আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিশ্বের ৯৬টি দেশের ৬ হাজার ৩১৮ জন বিদেশী মুসল্লি এজতেমায় অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন ভাষা-ভাষী ও মহাদেশ অনুসারে এজতেমা ময়দানে বিদেশী মেহমানদের জন্য তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। হকার আটক ॥ বিশ^ এজতেমা ময়দানের আশপাশ থেকে ৫০ হকারকে আটক করা হয়েছে। বিশ^ এজতেমার পুলিশ কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, বিশ^ এজতেমা ময়দানের আশপাশে বসে পসরা সাজিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিভিন্ন পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী বিক্রির অভিযোগে ৫০ হকারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তুরাগ তীরে তিন মুসল্লির মৃত্যু ॥ বিশ্ব এজতেমার দ্বিতীয় দফায় যোগ দিতে আসা এক মালয়েশীয় নাগরিকসহ তিন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন মালয়েশিয়ার শাহিদান ইব্রাহিম (৪৮), জামালপুর সদরের কাচারিপাড়ার আবুল কাশেম (৬৫) ও বগুড়ার গাবতলির মাঝবাড়ি এলাকার আব্দুর রহমান (৬০)। এজতেমা মাঠের পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মোমিন মিয়া জানান, সকালে শাহিদান ইব্রাহিম অসুস্থ বোধ করলে তাকে প্রথমে টঙ্গী হাসপাতালে নেয়া হয় সেখানে অবস্থার অবনিত হলে ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেয়ার পথে দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ মালয়েশীয় দূতাবাসের মাধ্যমে দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি। টঙ্গী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোঃ পারভেজ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ খিত্তায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন আবুল কাশেম সেখান থেকে টঙ্গী সরকারী হাসপাতালে নেয়া পথে তার মৃত্যু হয়। এ আগে বৃহস্পতিবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আব্দুর রহমান। আবুল কাশেম ও আব্দুর রহমানের লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়েছে বলে জানান বিশ্ব এজতেমার মাসলেহাল জামাতের জিম্মাদার আদম আলী।
×