ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কাল থেকে কার্যকর

ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমল

প্রকাশিত: ০৫:২৩, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

ভোজ্যতেলের দাম লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমল

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রতিলিটার ভোজ্যতেলে ৫ টাকা দাম কমানো হচ্ছে। আগামীকাল শনিবার থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে দাম কমানোর এই ঘোষণা কার্যকর করা হবে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, বর্তমান প্রতিলিটার সয়াবিন লুজ ৮৫-৮৮, বোতল পাঁচ লিটার ৪৫০-৪৮০, বোতল ১ লিটার ৯৫-১০২, পামওয়েল লুজ ৫৮-৬০ এবং পামওয়েল সুপার ৬২-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশ ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী ও বনস্পতি উৎপাদনকারী সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম লিটারে চার টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছি। আগামীকাল শনিবার থেকে বাজারে এটা কার্যকর হবে। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী আরও এক টাকা ছাড় দিতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানালে সমিতির উপস্থিত সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে লিটারপ্রতি মোট পাঁচ টাকা কমানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন ফজলুর রহমান। পরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমেছে, তাই বাংলাদেশের বাজার নিয়েও আমি তাদের অনুরোধ করেছিলাম। সকল প্রকার ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে শনিবার থেকে এটা (পাঁচ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত) কার্যকর হবে। সভায় ভিটামিনের লোগোর লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে তেল সরবরাহে সমস্যার কথা তুলে ধরেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা ভিটামিন নিয়ে কিছু বিব্রতকর অবস্থায় আছি। ভিটামিনের লোগোর লাইসেন্স পেতে ৩-৪ মাস অপেক্ষা করতে হয়। ফি দেয়া, প্রক্রিয়া শেষ করা, সব কিছু করেও আমরা পাচ্ছি না। আমরা বাজারে তেল সরবরাহ করতে পারছি না, যার কারণে বাজারে একটা সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে। এর জন্য আবার মিল রিফাইনারি মালিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়বেন। লোগোর লাইসেন্স না থাকলে মিল মালিকদের জরিমানা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এটা পাওয়ার জন্য তিন মাস আগে আবেদন করেছি, ফি দিয়েছি, স্যাম্পল দিয়েছি। ওদের কবে সভা হবে, সেই সভায় সিদ্ধান্ত হবে, এর জন্য আমাদের জেলে যেতে হবে- এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ, সাবেক সভাপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন ও একে আজাদ ও নিট পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভা ॥ বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটির সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে জঙ্গীগোষ্ঠী আইএসের কোন চিহ্ন নেই। এ প্রসঙ্গে শিল্পপতি ও ব্যবসায়ী নেতা একে আজাদ ও ওম্যান চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি সেলিমা আহমেদ আইএস প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় তাঁরা জানান, বাইরের বায়াররা বাংলাদেশে আইএস আছে বলে নানা আপত্তি তোলেন। তাই এ সমস্যার সমাধান হওয়া দরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে আইএসের কোন চিহ্ন নেই। আপনারা নিজেরা নিশ্চিন্ত থাকুন ও বায়ারদের বলুন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের এনশিওর করছি, ২০১৯ সালে নির্বাচন হবে। আপনারা শান্তিতে ব্যবসা করুন। কোন অসুবিধা হবে না। গত জানুয়ারি ও এ জানুয়ারির তুলনা করে দেখুন। একই দিনে বড় দুই দলের জনসভা হয়েছে। কিন্তু কোথাও কোন সমস্যা হয়নি। ওই বৈঠকে ব্যবসায়ীরা শিগগিরই একটি জ্বালানি নীতিমালা করতে বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি তোলেন তারা। এছাড়া আগামী বাজেটের আগেই কর্পোরেট কর কমানোর ব্যবস্থাসহ অডিটে আপত্তির বিষয়ে আপত্তি রয়েছে ব্যবসায়ীদের। অডিট থেকে পরিত্রাণ পেতে বাণিজ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
×