ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মাটির চাড়ির বহুমুখী ব্যবহার

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

মাটির চাড়ির বহুমুখী ব্যবহার

সমুদ্র হক ॥ গ্রামীণ জীবনের ঘর গৃহস্থালির মাটির চাড়ির এখন বহুমুখী ব্যবহার, যা শহরেও এসে ঠেকেছে। বিশেষ করে ছোট ও মাঝারি মাছ বটিতে কোটার পর পানিতে ধুয়ে চাড়িতে না ঘষলে মাছের আঁশ ও বাড়তি ছাল ওঠে না। এজন্য চাড়ি এখন শহুরে জীবনের বাসাবাড়িতে ঢুকে পড়েছে। কুমোর বাড়িতে মাটির হাঁড়ি পাতিল দইয়ের ডুঙ্গি সরা খুঁটি বানানোর প্রক্রিয়ার সঙ্গে চাড়ি বানানোর মিল নেই। চাড়ি বানাতে হয় কিছুটা ভিন্নভাবে। চাড়ির ভিতরের অংশে মাটির প্রলেপ দেয়ার সময় অনেকটা খাঁজকাটা করে রাখা হয়। যাতে মাছের আঁশ ও ছাল ঠিকভাবে ওঠে এবং পরিষ্কার হয়। এই চাড়ি গ্রামীণ জীবনে এতটাই প্রয়োজন যে চাড়ি ছাড়া ঘরগৃহস্থালি অচল। মাড়াই কাটাই মৌসুমে ধান সেদ্ধ করার আগে চাড়ির ভিতরেই অনেকটা সময় ধরে (কখনও সারা রাত) ভিজিয়ে রাখতে হয়। এজন্য অবশ্য বড় চাড়ির দরকার। চাড়ি থেকে ভিজানো ধান তুলে কড়াইয়ে চাপিয়ে সেদ্ধ করার পর রোদে শুকাতে হয়। কুমোর বাড়ির কারিগররা বড় ছোট মাঝারি নানা মাপের চাড়ি বানায়। মান ও মাপ ভেদে দাম নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে শহরাঞ্চলে (এবং গ্রামেও) টবের পাশাপাশি মাটির চাড়িতে গাছ লাগানো হচ্ছে। যে গাছগুলো দ্রুত বেশি বেড়ে ওঠে সেই গাছ সাধারণত টবে হয় না। এ জন্য টবের গাছপ্রেমীরা চাড়ির ব্যবহার শুরু করেছে। আবার চাড়িতে পানি ধরে রাখাও হয়। গ্রামে টিউবওয়েলের পাড়ে (গ্রামের কথায় বলা হয় কলের পাড়, একদা পাত পুয়া ও ইঁদারার স্থানকে বলা হতো কুয়ার পাড়) বড় চাড়িতে করে পানি রাখা হয় গোসল ও কাপড় কাচার জন্য। বগুড়ার গোলাবাড়ি গ্রামের পালপাড়ার কুমোররা বললেন, হাঁড়ি পাতিলের পাশাপাশি এখন চাড়ি বিক্রিও বেড়েছে। ছোট ও মাঝারি চাড়ি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। শহরের হাটেও এখন চাড়ি বিক্রি হয়। পালপাড়ার কুমোরবাড়িতে মাটির হাঁড়ি পাতিল ও চাড়ি বানানোর কাজ নারীরাই বেশি করে। জ্যোৎ¯œা রানী বললেন নারী এখন আর বসে থাকে না। কুমোরবাড়ির রোজগার বাড়াতে তারাও মাঠে নেমেছে। তালা ভূমি অফিসে দফায় দফায় সংঘর্ষ স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ তালা উপজেলা ভূমি অফিস বারান্দা ও চত্বরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় দালালির অভিযোগে সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোসলেম উদ্দীন মোড়লকে পিটিয়েছে স্থানীয় জনতা। এ ঘটনায় প্রায় এক ঘণ্টা ভূমি অফিসের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিস চত্বরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিকে গণপিটুনির পর ওই নেতা মোবাইলে বাড়ি থেকে তার লোকজন ডেকে নিয়ে আসে। এরপর আরেক দফায় সংঘর্ষ বাধে। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও উত্তেজনা কমাতে অফিসে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আলাদীপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মোড়ল জানান, ‘মোসলেম উদ্দিন সেটেলমেন্ট অফিসের একজন চিহ্নিত দালাল। এলাকায় দালালী, দখলবাজিসহ নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মনিরুজ্জামানের কাছ থেকে দলিল ছিনিয়ে নেয়ার প্রতিবাদ করায় মোসলেম মনিরুজ্জামানের ওপর হামলা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।
×