ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দুই সন্তান ফেলে পরকীয়ার সংসারে ॥ মামলা দিয়ে হয়রানি

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

দুই সন্তান ফেলে পরকীয়ার সংসারে ॥ মামলা দিয়ে হয়রানি

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ১৪ জানুয়ারি ॥ পরকীয়ার টানে স্বামী ও দুই সন্তান ফেলে প্রেমিককে নিয়ে সংসার বাঁধলেন শাপলা বেগম নামে এক গৃহবধূ। নগদ টাকা, ঘরের মালামাল ও স্বর্ণলঙ্কার নেয়ায় দাবিতে স্বামীর দায়ের করা মামলার পাল্টা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে স্বামী হারুন অর রশিদসহ পরিবারের সদস্যদের। এ মামলা থেকে সন্তানকে বাঁচাতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন হারুনের পিতা মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ ও তার পরিবার। জানা যায়, কালিহাতী উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ তার ছেলে হারুন অর রশিদকে ১৫ বছর পূর্বে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানার শাপলা বেগমের সঙ্গে বিয়ে করান। তাদের ঘরে শাকিব (১৩) ও রায়েজিদ (১০) নামে দুটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। হারুন বিদেশে থাকার সময় শাপলা বেগম একই উপজেলার ফুলতলা গ্রামের জমশের আলীর ছেলে আলতাফ হোসেনের সঙ্গে পরকীয়ায় পড়েন। বিদেশ থেকে আসার পরও শাপলাকে পরকীয়া থেকে সরাতে পারেননি স্বামী হারুন দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব সহ্য করে হারুন গাজীপুরে কোনাবাড়ি একটি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। এরই ফাঁকে স্বামী ও দুই সন্তানকে ছেড়ে শাপলা আলতাফের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে। প্রেমে অন্ধ হয়ে শাপলা গত বছর ২৮ অক্টোবর স্বামী হারুন অর রশিদকে তালাক দিয়ে প্রেমিক আলতাফ হোসেনকে নিয়ে উধাও হয়। পরে হারুন জানতে পারে শাপলা আলতাফ হোসেনের সঙ্গে ঘর সংসার করছে। এদিকে হারুনের বিদেশে থেকে জমানো নগদ ২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও আসবাবপত্র নেয়ার অভিযোগে শাপলা ও তার প্রেমিক আলতাফকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন হারুন। মামলার বিষয়টি দুই গ্রামের লোকজন বসে কয়েকবার মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। শ্বশুরবাড়ি ঢুকতে না পেরে জামাইয়ের আত্মহত্যা নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১৪ ডিসেম্বর ॥ কুষ্টিয়ায় শ্বশুর বাড়িতে ঢুকতে না দেয়ায় এবার অভিমানে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে রিপন শেখ (২৭) নামের এক জামাই। ঘটনাটি ঘটেছে কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘরের দরাজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। সে ওই গ্রামের সমসের শেখের ছেলে। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহতের স্বজন ও প্রতিবেশী সূত্র জানায়, লড়ি চালক রিপন শেখ প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে করে একই গ্রামের আজিজ শেখের মেয়ে তহমিনা খাতুনকে (২৫)। সাম্প্রতি মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে বাগবিত-া হতো। গত এক সপ্তাহ আগে তহমিনা খাতুন বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়। বুধবার রাত ১০টার দিকে রিপন শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে স্ত্রী তহমিনাকে ডাকতে থাকে। কিন্তু তহমিনা ঘরের দরজা খোলেনি। এ সময় শ্বশুর আজিজসহ অন্যরা বেরিয়ে এসে রিপনকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। এরপর রিপন শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে শয়নকক্ষের বাঁশের আড়ার সঙ্গে গলাই ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
×