ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রতিবাদ জানাতে সড়ক অবরোধ

কক্সবাজারে কুদরত বাহিনীর তাণ্ডব

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

কক্সবাজারে কুদরত বাহিনীর তাণ্ডব

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কুদরত বাহিনীর নেতৃত্বে ছাদরপাড়া খেলার মাঠ জবরদখল করে ঘর নির্মাণ, নিরীহ লোকজনকে ধরে এনে মারধর ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করেছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে দুপুরে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শহরের লিংকরোড এলাকায় দীর্ঘ এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে এ বিক্ষোভ চলে। রাস্তায় নেমে আসা বিক্ষোভকারী সাধারণ ব্যক্তিরা কুদরত বাহিনীর প্রধান কুদরত উল্লাহ সিকদারকে গ্রেফতার ও তার অস্ত্র ভা-ার উদ্ধারের দাবি জানান। ওসময় যান চলাচল বন্ধ থাকায় সড়কের উভয় পাশে ছোট বড় শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে এবং দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। স্থানীয়রা জানায়, তিন মাস আগে আওয়ামী লীগ নেতা কুদরত উল্লাহ সিকদারের নেতৃত্বে স্থানীয় ছাদরপাড়া খেলারমাঠ দখল করে ঘর নির্মাণ করা হয়। স্থানীয়দের দাবির মুখে প্রশাসন গিয়ে অবৈধ স্থাপনাগুলো গুঁড়িয়ে দেয়। এ ঘটনার জের ধরে স্থানীয় লোকজনকে মারধর ও হুমকি ধমকি দিতে থাকে কুদরত বাহিনীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে লিংকরোড এলাকার এক আওয়ামী লীগ কর্মী ও ব্যবসায়ী বলেন, একজন আ’লীগ কর্মীর কারণে দলের দুর্র্নাম হবে-তা মেনে নিতে খুবই কষ্ট হয়। ঐ দুর্নাম ঘুচাতে তিনি দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। কুদরত বাহিনীর লোকজন প্রতিদিন তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে থাকে। চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ীদের ওপর মারধর শুরু করা হয়। বুধবারও শহীদুল্লাহ নামে এক তরকারি বিক্রেতাকে চাঁদার দাবিতে মারধর করা হয়। এর আগে মুহাম্মদ হোসাইন ও নুরুল আলম বাবুল নামে দুই ব্যক্তিকে কুদরত উল্লাহর অফিসে ধরে নিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করেছে লিংকরোড় এলাকার ব্যবসায়ীরা। ঘটনার প্রসঙ্গে অভিযুক্ত কুদরত উল্লাহ সিকদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে কোন ঘটনা হয়নি বলে জানান। রামু থানার ওসি মোহাম্মদ কিসলু জানান, রামু উপজেলার লোকজন লিংরোড হয়ে হাঁটাচলা করতে গেলে তাদের প্রায় সময় নাজেহাল করে কুদরত উল্লাহর লোকজন। সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। শেখ রাসেল সেতু এখন বিনোদন কেন্দ্র নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ১৪ জানুয়ারি ॥ কলাপাড়া-কুয়াকাটা সড়কের মহিপুর-আলীপুরে শিববাড়িয়া নদীর উপরে শেখ রাসেল সেতুটি এখন ভ্রমণ পিয়াসীদের জন্য বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শত শত পর্যটক-দর্শনার্থীর ভিড়ে মুখরিত থাকে সেতু এলাকা। কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটকরা এক মুহূর্তের জন্য হলেও থমকে দাঁড়ায় এ সেতুতে। দিনভর বিরাজ করে মানুষের কোলাহল। বাড়তে থাকে ভিড়। বিকেল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মুখরিত থাকে আগতের পদভারে। তবে সেতুটিতে সৌরবিদ্যুত সররাহ চালু না থাকায় আগতদের মাঝে কিছুটা উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। বিনোদন ও প্রকৃতিপ্রেমী নারী-পুরুষ-শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে দুই পাড়ের মনোরম দৃশ্য ছাড়াও শত শত মাছ ধরার ট্রলারসহ নৌযান দেখেন নয়ন ভরে।
×