ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে চোট-শঙ্কায় তারকারা

সেরেনার সামনে রেকর্ডের হাতছানি

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬

সেরেনার সামনে রেকর্ডের হাতছানি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বয়সে চৌত্রিশকেও ছাড়িয়ে গেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। কিন্তু তারপরও প্রতিপক্ষের হুমকি হয়ে টেনিস কোর্টে এককভাবেই রাজত্ব করছেন তিনি। গত মৌসুমে চার গ্র্যান্ডস্লামের তিনটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের নাম্বার ওয়ান তারকা। দ্বিতীয়বারের মতো ‘সেরেনা সøাম’ জয়ের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি। দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছিলেন প্রথমবারের মতো ক্যালেন্ডার সøাম জয়েরও। কিন্তু মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনে রবার্টা ভিঞ্চির কাছে হেরে যান তিনি। গত বছর সেই ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালই ছিল তার শেষ কোন প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টের পারফর্মেন্স। এরপর ক্লান্তির কারণে আর কোন টুর্নামেন্টেই খেলতে অংশগ্রহণ করেননি আমেরিকান টেনিসের এই জীবন্ত কিংবদন্তি। কথা ছিল হপম্যান কাপ দিয়ে নতুন মৌসুম শুরুর। কিন্তু চোট-দুর্ভাগ্যে পার্থেও খেলা হয়নি তার। যে কারণে টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকা সেরেনার প্রথম পরীক্ষা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা নিজের করে রাখতে পারলে নতুন এক মাইলফলকও স্পর্শ করবেন সেরেনা। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে সর্বোচ্চ ২২ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী স্টেফিগ্রাফের রেকর্ডেও ভাগ বসাবেন তিনি। এরপর তার উপরে থাকবেন কেবল টেনিস ইতিহাসের সর্বোচ্চ ২৪ গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী মার্গারেট কোর্ট। তবে ভক্ত-অনুরাগীদের প্রশ্ন- দীর্ঘদিন কোর্টে না থাকার প্রভাব কী পড়বে না সেরেনার পারফর্মেন্সে? তবে এর জবাবে পড়বে না বলেই সুস্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ২১টি গ্র্যান্ডস্লামের মালিক। বরং বলেছেন মেজর টুর্নামেন্ট যে কিভাবে জিততে হয় সেই কৌশল তার ভাল করেই জানা, ‘কোর্টের বাইরে থাকলেও বড় টুর্নামেন্ট যে কিভাবে জিততে হয় তা আমার ভাল করেই জানা। এই মুহূর্তে আমার শরীরের অবস্থা খুবই ভাল।’ তবে এটা আসলে সেরেনার মনের জোর। শারীরিকভাবে এখনও যে তিনি অসুস্থ অনুভব করছেন সেটাও জানা গেল তার কথায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগের যে সময়টা এখনও পাবেন তাতেই নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ করে ফেলবেন বলে মনে করছেন সেরেনা, ‘পার্থে যে চোট পেয়েছিলাম। তার প্রভাব এখনও রয়েছে। আমি মনে করি এ থেকে সুস্থ হওয়ার জন্য আরও কিছু সময়ের প্রয়োজন, সেইসঙ্গে বিশ্রামও দরকার। তাছাড়া সঠিকভাবে চিকিৎসা পেলে দ্রুতই সেরে উঠতে পারবো আমি।’ ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম শিরোপা জিতেছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। গত মৌসুমে এখানেই ষষ্ঠ শিরোপা জিতেন তিনি। এবার তার সামনে সপ্তম স্বর্গে ভাসার সুবর্ণ সুযোগ। পারবেন কি আমেরিকান কৃঞ্চকলি? ভক্ত-অনুরাগীদের সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। শুধু আমেরিকান তারকা সেরেনা উইলিয়ামসই নন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের আগে ফেবারিট অথচ চোট-সংশয়ে ভুগছেন এবার এমন তারকার তালিকাটাই বেশ দীর্ঘ। তারা হলেন বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের দুই নাম্বারে থাকা রোমানিয়ার সিমোনা হ্যালেপ, স্পেনের গার্বিন মুগুরুজা, দুর্দান্ত ফর্মে থাকা পোল্যান্ডের এ্যাগ্নিয়েস্কা রাদওয়ানস্কা, চেকপ্রজাতন্ত্রের পেত্রা কেভিতোভা এমনকি রুশ সুন্দরী মারিয়া শারাপোভাও। তবে সবারই প্রত্যাশা চোট-শঙ্কা দূরে ঠেলে ফেবারিটের তকমাটা গায়ে মেখেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোর্টে নামবেন তারা।
×