ভারতে ২০০১ সালের ডিসেম্বরে পার্লামেন্ট ভবনে হামলার অভিযোগে ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে গোপনে ফাঁসি হয় আফজল গুরুর। সে সময় জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বারামুলার সিজাগির সোপোরে তার বাড়িতে কাউকে ঢুকতে দেয়নি নিরাপত্তা রক্ষীরা। তবে রবিবার সেই বাড়িতেই দেখা গেল উপচে পড়া ভিড়। আগত অতিথিদের হাতে নানা রকমের উপহার। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছে সেই আফজাল গুরুর ছেলে গালিব গুরুকে। দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় ৫শ’র মধ্যে ৪শ’ ৭৪ পেয়ে রাজ্যে ১৯তম স্থান অধিকার করেছে সে। রবিবার এই ফল ঘোষণা হয়েছে। তারপর থেকেই এক মুহূর্ত অবসর পাচ্ছেন না আফজালপতœী তাবাসসুম। অতিথিদের তিনি কাশ্মীরি ‘খেওয়া’ আর ‘শিরমল’ খাওয়াতে ব্যস্ত গালিবের গর্বিত মা।
গালিবের সংগ্রামটা সহজ ছিল না। তার পক্ষে ২০০১ সালে পার্লামেন্টে হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী আফজাল গুরুর ছেলের পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকাটা খুব কঠিন ছিল। গালিবের ভাষায়, সবাই জানে আমার বাবার সঙ্গে কী হয়েছে। আমি বাবার নাম উজ্জ্বল করতে চাই। তার জন্য আমাকে এখনও অনেক পরিশ্রম করতে হবে।
তুরস্কের দিয়ারবাকির শহরে গাড়িবোমা হামলায় নিহত ৫
তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিয়ারবাকির প্রদেশের সিনার এলাকায় পুলিশের সদর দফতরে এক গাড়িবোমা হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নারী ও একটি শিশু রয়েছে। হামলায় আরও ৩৬ জন আহত হয়েছে। দেশটির কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন। খবর বিবিসির।
হতাহতদেও খোঁজে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তুর্কি কর্মকর্তারা হামলার জন্য কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) দায়ী করেছে। তবে কোন সংগঠন এখনও পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। পিকেকের তৎপরতা মূলত তুরস্কের কুর্দিপ্রধান দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতেই সীমাবদ্ধ।
পুলিশের সদও দফতরের প্রবেশ পথে বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তুর্কি গণমাধ্যম। বিস্ফোরণে আশপাশের আবাসিক ভবনগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দিয়ারবাকির প্রদেশে পিকেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে তুর্কি সেনাবাহিনীর প্রবল সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছর দিয়ারবাকির শহরসহ দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কেও বেশ কয়েকটি এলাকায় নিরাপত্তা অভিযানের অংশ হিসেবে সান্ধ্যআইন জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তা অভিযানের সময় পূর্বাঞ্চলে এক বোমা বিস্ফোরণে ১৬ সেনা নিহত এবং বিদ্র্রোহীদেও চোরাগোপ্তা হামলায় ১৪ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। জুলাইতে পিকেকের ঘাঁটিতে তুর্কি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলার মধ্য দিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটে। এরপর থেকে তুর্কি যুদ্ধবিমানগুলো উত্তর ইরাকে পিকেকের ঘাঁটিগুলোতে নিয়মিত বোমা হামলা চালাতে শুরু করে। পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনী পিকেকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে স্থল অভিযান শুরু করে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: