ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধংসাত্মক রাজনীতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৭:১৪, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

ধংসাত্মক রাজনীতি জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বিএনপি-জামায়াত জোটের জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতির সমালোচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পৌর নির্বাচনে জনগণ প্রমাণ করেছেন উন্নয়নের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ছাড়া এদেশে উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। বিএনপি নেত্রী বেগম জিয়ার জ্বালাও-পোড়াও খুন এবং ধংসাত্মক ও ভুল রাজনীতি এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। ২০১৯ সালের সংসদ নির্বাচনেও জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে। ধানের শীষ প্রতীককে হারিয়ে নৌকার বিজয় হবে। জনগণ উন্নয়নের পক্ষে ভোট দেবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতি ছাড়া এদেশে নেতিবাচক রাজনীতির কোন স্থান নেই। বুধবার বিকেলে শহরের মুক্তির সোপান পাদদেশে সিরাজগঞ্জে পৌর নির্বাচনে বিজয়ী ৬ মেয়রকে দেয়া এক বিশাল সংবর্ধনা সভায় মোহাম্মদ নাসিম এ কথা বলেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যের প্রতীক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জের ৬ পৌরসভায় মেয়রপদে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৬ প্রার্থী বিজয় লাভ করেন। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মৎস্যমন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাস। এতে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, গাজী ম. ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি, তানভীর ইমাম এমপি, সেলিনা বেগম স্বপ্না এমপি ও সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্য্য। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম নবনির্বাচিত ৬ মেয়রকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বিকেল চারটায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানস্থলে প্রধান অতিথি পৌঁছার আগেই মুক্তির সোপান চত্বর ছাপিয়ে স্টেশন রোড ও আশপাশের এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। ফরিদপুর মেডিক্যালে জরুরী বিভাগ চালু ॥ ইন্টার্নিদের ধর্মঘট চলছে নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর, ১৩ জানুয়ারি ॥ বুধবার দুপুর ১টা পাঁচ মিনিটের দিকে খুলে দেয়া হলো ফরিদপুর মেডিক্যাল হাসপাতালের জরুরী বিভাগ। তবে শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের কর্মবিরতি বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এক ব্যক্তির স্বজনদের হাতে দুই শিক্ষানবিস চিকিৎসক ও এক সেবিকার লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিক উল্লাহ বাদী হয়ে বুধবার ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় এ মামলাটি করেন। শিক্ষানবিস চিকিৎসক ও সেবিকার ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ফরিদপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার বাসিন্দা পলাশ (২৫), জাকির (২০) ও বিপু (২৭)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা মেডিক্যাল হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তি, শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের নিরাপত্তা জোরদার, হাসপাতালে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন এবং আগামীতে এ হামলার ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতির দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের অংশ হিসেবে এ কর্মসূচী পালন করে শিক্ষানবিস চিকিৎসকরা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুর রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান ও ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক গণপতি বিশ্বাস হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে শিক্ষানবিস চিকিৎসকদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।
×