ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেসিকে সেরা মানছেন শত্রুমিত্র সবাই

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

মেসিকে সেরা মানছেন শত্রুমিত্র সবাই

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র ফুটবলার হিসেবে পাঁচবার ফিফা ব্যালন ডি’অর জয়ের পর প্রশংসার স্রোতে ভাসছেন লিওনেল মেসি। শত্রুমিত্র সবাই বার্সিলোনার আর্জেন্টাইন আধিনায়কের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়েছেন। দুর্দান্ত এই সাফল্যের পর মঙ্গলবার পাঁচটি ব্যালন ডি’অর ট্রফি উন্মোচন করেন মেসি। স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এ্যাডিডাস এ উপলক্ষে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে বার্সা ডায়মন্ডকে বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়। মেসির সাফল্যের পর বার্সিলোনা কোচ লুইস এনরিকে বলেন, এটা সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতি। নেইমারও বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পেতে শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, লিওর খেলাটি বুঝতে পারার সামর্থ্য আছে এবং যে কোন পজিশনেই সে অপরিহার্য। সে সম্পূর্ণ এক খেলোয়াড়। আমার কোন সন্দেহ নেই, সে যে কোন জায়গায়ই ভাল খেলতে পারত। নিজের সেরা কোচের পুরস্কার জয়ের কৃতিত্ব ক্লাবের সবাইকে ভাগ করে দেন জুরিখের অনুষ্ঠানে যেতে না পারা এনরিকে। তিনি বলেন, আমি খুব খুশি। এটা সব খেলোয়াড়, ক্লাব, স্টাফদের পরিশ্রমের পুরস্কার। আমাকে যারা ভোট দিয়েছে, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দুর্ভাগ্যবশত আমি উপস্থিত থাকতে পারিনি। মেসির শ্রেষ্ঠত্বের স্মারককে স্মরণীয় করতে তাকে বিশেষ সম্মাননা দিয়ে বিশেষ বুট উপহার দিয়েছে এ্যাডিডাস। ‘ফিফটিন প্ল্যাটিনাম’ নামের এই জুতো জোড়াটি তৈরি করা হয়েছে মেসির বর্তমান ১৫ নম্বর মডেল অনুযায়ী। তবে সত্যিকারের প্লাটিনামে তৈরি বুটটি এর আগে কখনওই দেখেনি ফুটবল বিশ্ব। জুতোর পেছনে ও বাঁ পায়ের পাতার নিচে পাঁচটি বিন্দুর মধ্যে মাঝখানেরটি প্লাটিনামের। আর বাকি চারটি স্বর্ণের। আর বুটের ডান পায়ের নিচে স্প্যানিশ ভাষায় একটি বাক্য লেখা আছে। যার বাংলা অর্থÑ ‘সর্বকালের সেরা’। জার্মানির ক্রীড়া সামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, মেসিকে দেয়া বিশেষ এই জুতা বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আনার পরিকল্পনা নেই তাদের। ২০১৫ সালে স্প্যানিশ পরাশক্তি বার্সা ও জাতীয় দল আর্জেন্টিনার হয়ে ৫২ গোল করেন মেসি। এ সময় ক্লাবের হয়ে জেতেন পাঁচটি ট্রফি। দেশকে নিয়ে যান কোপা আমেরিকার ফাইনালে। আর এসব অসাধারণ অর্জন মনে রাখতে মূল্যবান জুতো জোড়া উপহার পেয়েছেন তিনি। এখন মেসি আকাশছোঁয়া সাফল্যে ভাসলেও ছোটবেলায় তার জীবন নিয়েই ছিল টানাপোড়েন। সেই ছেলেটিই যে বিশ্বমাত করবেন সেটা ভাবেননি মেসির বাবা জর্জ মেসি। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে বাবার কোচিংয়ে ক্লাব গান্ডোলিতে খেলা শুরু করেন মেসি। তিন বছর পর যোগ দেন রোসারিওর ক্লাব নিউওয়েলস ওল্ড বয়েসে। কিন্তু ১১ বছর বয়সে মেসি আর ফুটবলের মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়ায় শারীরিক সমস্যা। মেসির শরীরে একটি হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। এতে আর্জেন্টিনার খ্যাতনামা ক্লাব রিভারপ্লেট মেসির সঙ্গে চুক্তি করতে গিয়েও পিছিয়ে যায়।
×