ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নেপাল ১-০ শ্রীলঙ্কা

লঙ্কানদের হারিয়ে সেমির সম্ভাবনা উজ্জ্বল নেপালের

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

লঙ্কানদের হারিয়ে সেমির সম্ভাবনা উজ্জ্বল নেপালের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কষ্টার্জিত জয়। তাতে শেষ চারে যাওয়াটা নিশ্চিত হয়নি। তারপরও সেই লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। বুধবার ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ’ ফুটবলের ‘এ’ গ্রুপের খেলায় মুখোমুখি হয়েছিল সাফ অঞ্চলের দুই দেশ নেপাল বনাম শ্রীলঙ্কা। তাতে ১-০ গোলে জয়ী হয়েছে নেপাল। ২ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্রতে ৪ পয়েন্ট নেপালের। পক্ষান্তরে ২ ম্যাচেই হেরে এখনও পয়েন্টের মুখ দেখেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে তারা ৪-২ গোলে হেরেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশের কাছে। আর নেপাল তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে রুখে দিয়েছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়া একাদশকে। শ্রীলঙ্কার পরের ম্যাচ মালয়েশিয়া একাদশের বিপক্ষে, আগামী শুক্রবার, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে, বিকেল ৩টায়। আর নেপালের পরের ম্যাচ একইদিন, একই ভেন্যুতে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়, স্বাগতিক বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ম্যাচের ৪ মিনিটেই গোল করে লিড নেয় নেপাল। বাঁ প্রান্ত থেকে অঞ্জন বিস্তার ক্রসে প্লেসিং শটে লঙ্কার জালে বল পাঠান বিমল গাত্রি মাগার (১-০)। ২২ মিনিটে সমতা আনার সুযোগ হাতছাড়া করে লঙ্কাশিবির। মিডফিল্ডার সাজিত কুমারার মাইনাস থেকে নারুবানর ব্যাকহিল অল্পের জন্য জালে প্রবেশ করেনি। ২৫ মিনিটে আবারও গোলের সুযোগ নষ্ট করে শ্রীলঙ্কা। নারুবানের পাস থেকে কাভিন্দু ইসানের শট চলে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ৪১ মিনিটে বিশাল রায়ের শট খুব সহজেই নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন লঙ্কান গোলরক্ষক রাওয়ান। ‘গুর্খালিস’ খ্যাত নেপাল দল ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হাতছাড়া করে প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে। নেপালের হিমেন গৌরাঙ্গের কর্নার বক্সে পেয়েও সুযোগটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নেপালের একাধিক ফুটবলার। বল বিপদমুক্ত করেন লঙ্কান ডিফেন্ডাররা। ইনজুরি সময়ে অঞ্জন বিস্টার শট দক্ষতার সঙ্গেই বিপদমুক্ত করে লঙ্কান ডিফেন্স। দ্বিতীয়ার্ধেও উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ করে খেলে। ৫১ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন নেপালের মিডফিল্ডার হিমেল গৌরাঙ্গ। ৫৮ মিনিটে বক্সের কোণা থেকে নেপালের বিক্রম লামার শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬৫ মিনিটে আরও একটা গোল পেতে পেতেও পাননি বিমল গাত্রি। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় তার প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ৭৭ মিনিটে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন বিমল গাত্রি। ৮০ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে শ্রীলঙ্কার বক্সে ঢুকে পড়েন বিমল। কিন্তু বলে শট নেয়ার আগেই বক্সে পড়ে যান তিনি। দুর্ভাগ্য নেপালের। কেননা ফাঁকা পোস্টে বলটা ঠেলে দিতে পারলেই আরেকটি গোল পেতে পারতো তারা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হওয়াতে একমাত্র গোলেই পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্টচিত্তে মাঠ ছাড়ে নেপাল দল। বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতা স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিজয় দিবস টেনিস প্রতিযোগিতায় পুরুষ একক : পুরুষ এককে ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টারের অমল রায় ১-৬, ৬-১, ৬-২ গেমে ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের রঞ্জন রামকে এবং পাবনা টেনিস ক্লাবের আনোয়ার হোসেন ১-৬, ৬-৪, ৬-২ গেমে মাদারীপুর টেনিস ক্লাবের মামুন বেপারীকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়েছেন। মহিলা এককের খেলায় বিকেএসপির শাহ সাফিনা লাক্সমি ৬-২, ৬-১ গেমে নিজ দলের রেবেকা সুলতানাকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়েছেন। বালক একক ১৬ বছর : বিকেএসপির অর্নব সাহা ৬-১, ৭-৫ গেমে একই দলের নাইমুল ইসলামকে এবং বিকেএসপির মো: ইশতিয়াক ৬-১, ৬-৩ গেমে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের স্বাধীন হোসেনকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়। বালিকা একক ১৪ বছর : বিকেএসপির পপি আক্তার ৬-০, ৭-৫ গেমে বিকেএসপির জেরিন সুলতানাকে এবং বিকেএসপির ইতি আক্তার ৬-২, ২-৬, ৬-৩ গেমে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সের ফাবিহা লামিসা সূচনাকে পরাজিত করে ফাইনালে উন্নীত হয়েছে।
×