ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকা লেনদেন

প্রকাশিত: ০৬:৪৮, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে প্রায় সাড়ে ৭শ’ কোটি টাকা লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী ছয় মাসের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাওয়ার আগের দিনই যেন লেনদেনের পালে নতুন হাওয়া লেগেছে। গত দুই দিন কার্যদিবস ৫০০ কোটি টাকার ঘরে লেনদেন হওয়ার পর বুধবার তা ৭০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৭৪৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এটি গত পাঁচ মাসের মধ্যে ডিএসইর সর্বোচ্চ লেনদেন। মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৭৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এ হিসাবে বুধবার লেনদেন বেড়েছে ১৭০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। লেনদেন বাড়ার এ হার ২৯.৭৬ শতাংশ। দেশের অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনশেষে স্টক এক্সচেঞ্জেটিতে লেনদেন হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। ডিএসইর বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে দরবৃদ্ধির প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৪৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। যা মঙ্গলবারের তুলনায় ১৭০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বা ২৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বেশি। আগের দিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৫৭৩ কোটি টাকার শেয়ার। এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৮টির, কমেছে ৯২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টির শেয়ার দর। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পরে ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৬৮৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১২২ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৬০ পয়েন্টে। পুঁজিবাজারে চাঙ্গা অবস্থার দিনে খাতভিত্তিক লেনদেনের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা গেছে, দিনটিতে লেনদেনে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে প্রকৌশল খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৮ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৯৪ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের প্রায় ১৫ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮৭ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ২১ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বিডি থাই, সিটি ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ, বেক্সিমকো, এমারেল্ড অয়েল, আইটিসি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আইটিসি, ইউনাইটেড এয়ার, মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, বিডি কম, ম্যাকসন্স স্পিনিং, ঢাকা ডাইং ও ফার ইস্ট ফাইনান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাভার রিফ্যাক্টরিজ, কাসেম ড্রাইসেল, এ্যাপেক্স স্পিনিং, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, মুন্নু স্টাফলারস, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, কেডিএস এক্সেসরিজ, এমআই সিমেন্ট, প্রগেসিভ লাইফ ও ইবনে সিনা। এদিকে ঢাকার বাজারে লেনদেন ও সূচক বৃদ্ধির দিনে একই ধারাবাহিকতা দেখা গেছে অপর বাজারেও। সেখানেও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার পাশাপাশি শেয়ার কেনা-বেচাও বাড়িয়েছেন। সকালে সূচকের ওঠানামা শেষে সিএসই সার্বিক সূচক ৮৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৭টির, কমেছে ৫৫টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড এয়ার, আইটিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার, রিজেন্ট টেক্সটাইল, ফার কেমিক্যাল, বেক্সিমকো, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, সিটি ব্যাংক, এ্যাপোলো ইস্পাত ও কেয়া কসমেটিকস।
×