ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অতিকায় কুমিরের জীবাশ্ম

প্রকাশিত: ০৬:০১, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬

অতিকায় কুমিরের জীবাশ্ম

কুমির যে এত বড় হতে পারে, বৈজ্ঞানিকদের সে ধারণাই ছিল না। তিউনিশিয়ার সাহারা মরুভূমিতে গবেষণার সময় ইতালির বলগনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেদেরিকো ফান্তি এক দৈত্যাকৃতি সামুদ্রিক কুমিরের জীবাশ্ম খুঁজে পেয়েছেন। সদ্য আবিষ্কৃত কুমিরটি লম্বায় অন্তত ৩২ ফুট, ওজন তিন টনের মতো। ফান্ত বলছেন, কুমিরটি শুধু বড়ই নয়, দৈত্যাকৃতির। এর মাথার খুলিই পাঁচ ফুটের বেশি লম্বা। কুমিরটিকে ‘ম্যাচিমোসারাস’ শ্রেণীর প্রাণীর তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকদের অনুমান, তৎকালীন খাদ্য শৃঙ্খলের একেবারে উপরে অবস্থান করত প্রাণীটি। মাছসহ সামুদ্রিক প্রাণীদের মেরে তাদের মাংস খেত ওই কুমির। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটি কমিটি ফর রিসার্চ এ্যান্ড এক্সপ্লোরেশন টিমটির সঙ্গে সাহারা মরুভূমিতে নয়া প্রাণীর খোঁজ চালান ফান্তি। তিনি জানতেন, ওই অঞ্চলে জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ওই প্রজাতির কুমির সমুদ্রের বড় কচ্ছপ ও মাছ খেত। এগুলো এত বড় ও শক্তিশালী ছিল যে স্বাভাবিকভাবে তারা খাদ্য-শৃঙ্খলের উপরে ছিল। ১২ থেকে ১৩ কোটি বছর আগে পৃথিবীতে বাস ছিল ওই প্রজাতির কুমিরের। গবেষকরা বলেছেন, যে প্রাণীটির জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া গেছে সেটি উচ্চশ্রেণীর। তার ছোট অথচ ধারালো দাঁতের কামড়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত সামুদ্রিক প্রাণীরা। সমুদ্রের ত্রাস ছিল ওই কুমির। সম্ভবত বড়সড় এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়েই ‘ম্যাচিমোসারাস’ শ্রেণীর কুমিরটি জীবজগৎ থেকে মুছে যায় বলে বৈজ্ঞানিকদের অনুমান।- ফক্স নিউজ
×