ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফখরুলের প্রশ্ন

কয়টা ফ্লাইওভার করলেই কি উন্নয়ন হয়ে যায়

প্রকাশিত: ০৭:৫৭, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

কয়টা ফ্লাইওভার করলেই কি উন্নয়ন হয়ে  যায়

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশকে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এদেশে এখন অনুমতি নিয়ে গণতন্ত্র চালাতে হয়। সব ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে অস্থির পরিবেশ। সরকার ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্রের কথা বলছে। গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে ফ্যাসিবাদী সরকারকে বাধ্য করতে হবে উল্লেখ করেন। সোমবার বিকেলে রাজধানীর ভাসানী মিলনায়তনে “কলঙ্কিত ১/১১ সংবিধান ও গণতন্ত্রের দুঃসময়ের কাল” শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, অনুমতি নিয়ে গণতন্ত্র চালাতে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতেও অনুমতি নিতে হয়। ফ্যাসবাদী সরকারকে বাধ্য করতে হবে গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে। ফ্যাসীবাদী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করাটা কঠিন। তারপরেও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত এ আলোচনা সভায় তিনি বলেন, রাজনীতির শত্রু ও দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা ওয়ান-ইলেভেনের অবৈধ সরকারের জন্ম দিয়েছে। এদিনটি ছিল সাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশকে বিরাজনীতিকরণের দিন। অথচ ১/১১ এর কথা আজকে কোন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না। ভয়াবহ দিনটির কথা মনে করি না। এরশাদই এক এগারোর জন্য দায়ী- হান্নান শাহ ॥ এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আসম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার ওয়ান ইলেভেনের কুশিলবদের বিচার না করে পুরস্কৃৃত করেছে। এক এগারোর ষড়যন্ত্র এখনও চলছে। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক এগারোর ষড়যন্ত্র ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এরশাদকে দায়ী করে বলেন, এক এগারো শুরুর আগে এরশাদের বাসায় কয়েকটি মিটিং হয়েছে। তিনিই এক এগারোর জন্য দায়ী। যারা এক-এগারো সংঘটিত করেছে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাদের বিচার করতে হবে। স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত আলোচনায় হান্নান শাহ আরও বলেন, এক-এগারোর ষড়যন্ত্র ছিল, যাতে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন না হয়। তিনি বলেন, এক-এগারোর প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে সাবেক সামরিক শাসক ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ ও তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী তৎপর ছিলেন। আওয়ামী লীগের সমর্থিত উপদেষ্টারা সবুজ সংকেত পেয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। তারপরও বিএনপি বুঝে নাই ষড়যন্ত্র বা দুর্যোগ আসছে। কিন্তু আমি বুঝেছিলাম। তিনি বলেন, ওই সময় ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল সড়কে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সস্ত্রীক সাক্ষাত করতে গেলে খালেদা জিয়া এক পর্যায়ে বললেন, আমাকে না কি লোকজন চায় না, দল চায় না। ডিজিএফআইয়ের লোকজন এসে বলেছে, ম্যাডাম আপনাকে লোকজন চায় না, আপনি বরং বাইরে চলে যান। সেই অনুযায়ী বেগম খালেদা জিয়া প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। এক পাশে স্যুটকেসগুলো রাখা। খুব খারাপ লাগলো দৃশ্যটি দেখে। শেষে আমি তাকে বললাল, আপনি কী ঠিক করেছেন চলে যাওয়ার। উনি বললেন, ৪৫ বছরের সংসার, এটা ছেড়ে কে যেতে চায়। আমি তো ক্লু পেয়ে গেলাম। ম্যাডামকে বললাম, আপনার মনে অবস্থা বুঝি। আপনার মনের কথাটা আমি দলের নেতা-কর্মীদের তথা দেশের মানুষকে জানিয়ে দিই। ফোরামের সভাপতি আবু নাসের রহমত উল্লাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
×