ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সোমবার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণও কমেছে সেখানে। চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় ধরনের পতন সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতির সব সূচক ইতিবাচক থাকায় বাজারে বড় ধরনের কোন পরিবর্তন আসেনি। তবে দেশের অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে মিশ্র ধারায়। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালে সূচকের চাঙাভাবের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শুরু করলেও বেলা বারোটার পর থেকে বিনিয়োগকারীদের মুনাফা তোলার দিকে নজর দিতে দেখা দেয়। একই সঙ্গে কমতে থাকে শেয়ারের ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা। দিনশেষে ডিএসইতে ৫২৭ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৮০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ১৩ শতাংশ কম। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৬০৮ কোটি টাকার শেয়ার। আইডিএলসির বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি মোট ৪ হাজার ৭ পয়েন্ট পর্যন্ত পৌঁছে আবারও নিচের দিকে চলে যায়। ফলে সকালের প্রথম সেশনের উদ্দীপনাটি আর থাকেনি। সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরু হলেও আগামী ১৪ জানুয়ারির বছরের প্রথমার্ধের ঘোষণা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতিকে ঘিরে কিছুটা সতর্ক অবস্থান নিতে বিনিয়োগকারীদের দেখা দেয়। ফলে দিনশেষে সার্বিক সূচকটি ৪ হাজার ৬৬৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়। আগের চেয়ে ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ লেনদেন কমার দিনে প্রকৌশল ও জ্বালানি এবং শক্তি খাতটি লেনদেনের শীর্ষে ছিল। এছাড়া দিনটিতে টেলিযোগাযোগ খাতের ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতটি দশমিক ৬ শতাংশ দর বেড়েছে। সোমবার ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৭টির, কমেছে ১৭৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৩টির শেয়ার দর। সকালে আগের দিনের তুলনায় সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরুর পর ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৬৬৩ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৬ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১২১ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, সিটি ব্যাংক, এমারেল্ড অয়েল, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মা, আফতাব অটোমোবাইলস, আইপিডিসি, ইফাদ অটোস এবং ওরিয়ন ইনফিউশনস। ডিএসইর দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ঢাকা ডাইং, আইটিসি, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স, সিএমসি কামাল, ওরিয়ন ইনফিউশন, আইপিডিসি, ডিবিএইচ, এ্যাপেক্স ট্যানারি ও ফনিক্স ফাইন্যান্স। এদিকে ঢাকার বাজারে সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতা থাকলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জে সূচকের মিশ্রাবস্থা দেখা গেছে। একই সঙ্গে সেখানে কমেছে লেনদেনের অংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের পরিমাণ। দিনশেষে সিএসইতে ৩৫ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। সিএসই সার্বিক সূচক ৩২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৩৫ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৩টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮১টির, কমেছে ১২৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : আইটিসি, ইউনাইটেড পাওয়ার, বেক্সিমকো, রিজেন্ট টেক্সটাইল, এমারেল্ড ওয়েল, আইপিডিসি, ফার কেমিক্যাল, মবিল যমুনা, এ্যাপোলো ইস্পাত ও সিটি ব্যাংক।
×