ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম ওয়ানডে আজ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

অস্ট্রেলিয়া-ভারত প্রথম ওয়ানডে আজ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল, দুইয়ে ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজটা তাই সেরা দুইয়ের লড়াই। কাগজ-কলমের হিসাব এটাই বলে, কিন্তু বাস্তবতা? ‘বিশ্বচ্যাম্পিয়ন’ অসিরা খেলবে ঘরের মাটিতে। যেখানে উপমহাদেশের দলগুলোর অবস্থা ‘বাঘের মাসি বিড়ালের’ মতো! পরিসংখ্যান, নিকট ও দূর অতীত সেই সাক্ষীই দেয়। টি২০ বিশ্বকাপ সামনে রেখে মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের জন্য এটি তাই ‘অগ্নিপরীক্ষার’ এক সিরিজ। র‌্যাঙ্কিং পয়েন্টের মতো (অস্ট্রেলিয়া ১২৭, ভারত ১১৪) শক্তিমত্তায়ও অনেক এগিয়ে স্টিভেন স্মিথের অস্ট্রেলিয়া। স্বাগতিকদের একমাত্র দুশ্চিন্তায় পেস আক্রমণ। মিচেল জনসন ও মিচেল স্টার্কের পরিবর্তে আজ প্রথম ম্যাচে অভিষেক হচ্ছে দুই তরুণ স্কট বোল্যান্ড ও জোয়েল প্যারিসের। ক্রিকেটে মাঠ ও মাঠের বাইরে পেশাদারিত্বের অপর নাম অস্ট্রেলিয়া। তাই তো একদিন আগেই নবীন দুই পেসারের থাকার বিষয়টা নিশ্চিত করেছেন অধিনায়ক স্মিথ,‘গত দুই বছর ম্যাটাডোর কাপ ও বিগ ব্যাশে বাঁ-হাতি প্যারিস দারুণ পারফর্ম করেছে। পার্থ বিশ্বের সেরা মাঠগুলোর একটি, যেখানে ফাস্ট বোলাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে। ঘরের মাঠে প্যারির জন্য এটা বড় সুযোগ।’ ২৬ বছরের বোল্যান্ডের মূল অস্ত্র ইয়র্কার, স্মিথ বলেন, ‘ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করতে ইয়র্কই বোল্যান্ডের সেরা অস্ত্র। আশা করছি ভারতের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে সেটি ও ঠিক ঠিক প্রয়োগ করবে।’ তবে ভারতীয় ব্যাটিংকে সমীহ করছেন অসি সেনাপতি, ‘ফাস্ট বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতের বেশ কয়েকজন ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছে। গত বছর আমরা সেটা দেখেছি। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, অজিঙ্কা রাহানেরা আমাদের চিন্তায় রাখবে।’ গত বছরের শুরুতে বিশ্বকাপে ঠিক আগে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল ভারত। সেবার দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে মাঠের মধ্যেই নানা উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছিল। আম্পায়ারদের মেটাতে হয়েছে বিবাদ। তবে আসল ব্যাপার, খেলায় রোমাঞ্চ ছিল। অসি কোচ লেহম্যান আশা করছেন, এবারও আগের সিরিজের মতোই হবে ‘ওরা ভাল ওয়ানডে দল। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলেছে। উঁচুমানের খেলোয়াড় আছে। তাদের বিপক্ষে শুরুটা অবশ্যই ভাল করতে হবে। কারণ ভাল শুরু সিরিজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব রাখবে।’ আর অতিথি অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির মতে, তরুণদের জন্য দ্বার উন্মুক্ত হওয়ার সিরিজ এটি। তিনি বলেন,‘আমাদের দলে স্রান-গুরকিরাতের মতো দারুণ সব প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছে। এটা ওদের জন্য সুযোগ। টি২০ বিশ্বকাপে আগে এই সিরিজটায় খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণ করতে পারবে। আমি আশাবাদী।’ পাশাপাশি অবস্থান হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। তাই পাঁচ ওয়ানডের সবগুলোতে হারলেও শীর্ষে থাকবে স্মিথের দল। ভারতের ক্ষেত্রে হিসেবটা ভিন্ন। ৫-০ তে সিরিজ হারলে দুই থেকে তিনে নেমে যাবে ধোনির দল। তবে অন্তত একটি ম্যাচ জিতলেও অবস্থান ধরে রাখতে পারবে অতিথিরা। তৃতীয় স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার পয়েন্ট ১১২। আশার কথা র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের তিন ব্যাটসম্যানকে পাচ্ছে সফরকরীরা। কোহলি দ্বিতীয়, ধোনি ষষ্ঠ ও শিখর ধাওয়ান আছেন সপ্তম স্থানে। বিরুদ্ধ কন্ডিশনেও ভারতীয় বোলিংয়ের মূল ভরসা রবিচন্দ্রন আশ্বিন, র‌্যাঙ্কিংয়ে এই স্পিনার আছেন সেরা দশে। ইনজুরিতে পড়ে শেষ মুহূর্তে ছিটকে গেছেন মোহাম্মদ শামি। তার পরিবর্তে ভূবনেশ্বর কুমারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইশান্ত শর্মা-উমেষ যাদবের সঙ্গে তরুণ বারিন্দর স্রানকে নিয়ে নিজেদের পেস আক্রমণ সমৃদ্ধ বলে দাবি ভারত বোলিং কোচ ভরত অরুণের। তবে মূল লড়াইটা হবে দু-দলের ব্যাটিংয়েই, যেখানে কোহলি-রাহানেদের বিপরীতে স্টিভেন স্মিথ, এ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জর্জ বেইলি, ম্যাথু ওয়েডরা কোন অংশে কম নয়। ১৯৮০-২০১৫ পর্যন্ত মোট ১১৮ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৬৮টিতে, ভারত ৪০। সর্বশেষ দু-দলের দেখা হয়েছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। সিডনির সেই ম্যাচে ৯৫ রানের বড় হারে বিদায় নিয়েছিল ধোনির ভারত।
×