ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বারৈয়ারহাট-খাগড়াছড়ি সড়ক

নড়বড়ে ৩০ সেতু

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

নড়বড়ে ৩০ সেতু

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে খাগড়াছড়িসহ অন্যান্য পার্বত্য জেলায় প্রবেশ করতে হয় মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট হয়ে। কিন্তু পার্বত্য রুটের অধিকাংশ প্রাচীন ব্রেইলি ব্রিজই জরাজীর্ণ হয়ে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিছু ব্রিজ পুনর্নির্মাণ করা হলেও আরও ১০টি ব্রেইলি ও ২০টি ন্যারো ব্রিজের অবস্থা খুবই নাজুক। ঢাকা-খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় এই রুটের যাত্রীসহ গাড়ির চালকরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করেরহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ১০টি বেইলি ব্রিজ ও ২০টি ন্যারো ব্রিজের সংস্কার কাজ দীর্ঘদিন না হওয়ায় লোহার রেলিংগুলো জং ধরে নষ্ট হয়ে গেছে, খসে পড়ছে পলেস্তরা, গর্তের সৃষ্টি হয়েছে ব্রিজের মাঝামাঝি। ব্রিজগুলোর মধ্যে করেরহাটে ২টি, বালুটিলায় ২টি, তুলাতলীতে ১টি, ভাঙ্গা টাওয়ারে ১টি, কয়লা বাজারে ১টি ও বাগান বাজারে ১টি বেইলি ব্রিজের খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়াও অর্ধশত বছর আগে নির্মিত ২০টি ন্যারো ব্রিজের অবস্থাও একই রকম। খাগড়াছড়ির এসব নড়বড়ে ব্রিজ দিয়ে ছোট বড় হাজার হাজার গাড়ি ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন বহন করে নিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকার কাঠ, বাঁশ, বালিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য, যা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ এমনকি বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। এছাড়া ঢাকা-খাগড়াছড়ি সড়কটি ফেনী জেলার সঙ্গেও সহজ যোগাযোগের মাধ্যম। এসব ব্রিজ এতই ঝুঁকিপূর্ণ যে, এর উপর দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতেও আতঙ্কে ভোগেন স্থানীয়রা। সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মফিজুর রহমান জানান, আশা করা হচ্ছে আগামী অর্থবছরেই সকল ব্রিজের কাজ একসঙ্গেই করা হবে। কিন্তু এখনই অনেক ব্রিজের ঝুঁকি লাঘব হচ্ছে কিনা এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, আপাতত আমরা জোড়াতালি দিয়েই চালাচ্ছি। ব্রিজগুলোর ভাঙ্গা জায়গায় ইট, মাটি, বালি, পাথর দিয়ে কোন রকমে বর্তমান অবস্থায় ধরে রেখেছি।
×