ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রমা অবন্তির ওড়িশি নৃত্যে মুগ্ধ আইজিসিসির দর্শক

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

প্রমা অবন্তির ওড়িশি নৃত্যে মুগ্ধ আইজিসিসির দর্শক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নৃত্যামোদী দর্শকের উপস্থিতিতে কানায় কানায় ভর্তি ছিল গুলশানের ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নূপুরের ঝংকার আর ঢোলকের বাদ্য পুরো মিলনায়তনে ভিন্ন এক আবহ তৈরি করেছিল শনিবার সন্ধ্যায়। শিল্পী প্রমা অবন্তির পরিবেশনায় একের পর এক ওড়িশি নৃত্যে দর্শক মুগ্ধ হয় এদিন। প্রতিটি নৃত্যের শেষে হাততালি দিয়ে শিল্পীকে উৎসাহিত করতে ভোলেননি কেউ। নৃত্যানুষ্ঠানকে আরও বর্ণাঢ্য করে তুলতে শিল্পীর সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন তম্বী দাশ ও জয়িতা দত্ত। শিল্পী প্রমা অবন্তির একক ওড়িশি নৃত্য সন্ধ্যার আয়োজন করে ঢাকার ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ওড়িশি পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যের একটি শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী। এটি ভারতের আটটি ধ্রুপদী নৃত্যশৈলীরও অন্যতম। ভারতীয় নৃত্যের আদিগ্রন্থ নাট্যশাস্ত্র এই নৃত্যশৈলীটিকে ওড্র মাগধী নামে অভিহিত করেছে। ভুবনেশ্বরের নিকটে উদয়গিরি পর্বতে প্রাপ্ত খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে নির্মিত একটি খোদাইচিত্র থেকে এই নৃত্যের প্রাচীনত্ব প্রমাণিত হয়। অনুমিত হয়, ব্রিটিশ আমলে এই নৃত্যশৈলীটি কিছুটা অবদমিত হয়েছিল; কিন্তু স্বাধীনতার পর আবার এর পুনরুজ্জীবন ঘটে। ত্রিভঙ্গি এবং চৌকা এই দুয়ের ওপর অতিরিক্ত গুরুত্বারোপ ওড়িশিকে অন্যান্য শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলী থেকে পৃথক করেছে। শিবের বন্দনা দিয়েই শুরু হয় প্রথম পর্ব। এরপর পরিবেশিত হয় প্রণাম, চৌক, ত্রিভঙ্গি, চারী, ভ্রমরী, দৃষ্টিভেদ, শিরভেদ, গ্রীবা, মার্গম, মঙ্গলাচরণ, বটুকেশ্বর, পল্লবী, অভিনয় ও মোক্ষ। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের ভাঙ্গা গানের সঙ্গেও নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পী প্রমা অবন্তি। শিল্পী প্রমা অবন্তি বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। তিনিই প্রথম এ দেশে প্রাতিষ্ঠানিক ওড়িশি নৃত্য শেখেন। তিনি ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ওড়িশি নৃত্যে এমএ করেন। তাকে ভারতের পৌষালি মুখার্জী ড্যান্স একাডেমি থেকে ২০১১ সালে বেস্ট ড্যান্সার আর্টিস্ট উপাধি দেয়া হয়।
×