ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নতুন নির্দেশনা ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করলে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:২০, ১২ জানুয়ারি ২০১৬

নতুন নির্দেশনা  ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করলে  অর্থদণ্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ধাতব মুদ্রাসহ কম মূল্যমানের নোট গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মানছে না দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। ফলে ব্যাংকগুলোর প্রতি ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবার নতুন নির্দেশনা জারি করে বলেছে, ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব গ্রাহকদের নিকট থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করলে এবং এ সংক্রান্ত অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যাংক কোম্পানি আইনে অর্থদ- করা হবে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে এই সার্কুলার জারি করা হয়, যা দেশের সব তফসিলী ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে ধাতব মুদ্রাসহ কম মূল্যমানের নোট না নেয়ার অভিযোগ অনেক পুরনো। তবে গত কয়েক মাসে এ ধরনের অভিযোগ অনেক বেড়েছে। এর প্রেক্ষিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে গত বছরের ১২ জানুয়ারি বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ঐ নির্দেশনায় তফসিলী ব্যাংকগুলোকে তাদের গ্রাহকদের নিকট হতে ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ও কাগুজে নোট গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়। তারপরও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে আবারও নিজস্ব গ্রাহক থেকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ না করা অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত ও ফোনে অভিযোগ করছেন অনেকেই। পত্র পত্রিকায়ও এ ধরনের প্রতিবেদন আসছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন সার্কুলারে বলা হয়, তফসিলী ব্যাংকের শাখাগুলো কর্তৃক অনেক ক্ষেত্রে তাদের গ্রাহকদের নিকট হতে ধাতম মুদ্রা যথাযথভাবে গ্রহণ করা হচ্ছে না। ফলে ধাতব মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে জনসাধারণ বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন। যা তাদের স্বাভাবিক অর্থনৈতিক লেনদেনে বিঘœ সৃষ্টি করছে। এমতাবস্থায় জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে সকল তফসিলী ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের নিকচ হতে মূল্যমান নির্বিশেষে সকল প্রকার ধাতব মুদ্রা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে এবং এ বিষয়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণ হলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা লঙ্ঘনের দায়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনের আওতায় অর্থদ- করা হবে। এদিকে গেল ১২ জানুয়ারি নির্দেশনায় তফসিল ব্যাংকে ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করার পাশাপাশি জনসাধারণের লেনদেনের স্বার্থে প্রতিটি ব্যাংকের শাখায় ১, ২ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ন্যূনতম ১০ হাজার পিস ধাতব মুদ্রা সংরক্ষণের কথা বলা হয়। আর স্থানীয় কার্যালয়সহ অন্যান্য বড় শাখায় ৩০ হাজার পিস সংরক্ষণের সীমা বেঁধে দেয়া হয়। এই নির্ধারিত পরিমাণের বেশি ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেয়ারও সুযোগ রাখা হয়। এর আগে গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ছেঁড়া নোট ও ধাতব মুদ্রার পাশাপাশি ছোটবড় সব ধরনের নোট নিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ঐ সার্কুলারে বলা হয়েছিল, জনসাধারণের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু লেনদেন অব্যাহত রাখার স্বার্থে তাদের ছেঁড়াফাটা ও ময়লাযুক্ত নোটের বিনিময় মূল্য প্রদান ছাড়াও মূল্যমান নির্বিশেষে সকল প্রকার নোট ও ধাতব মুদ্রা গ্রহণ ও বিতরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। এ নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে বিধি মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×