ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

তিন গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা

প্রকাশিত: ০৮:২৩, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

তিন গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলচ্চিত্র, ফটোগ্রাফী ও সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের জন্য দেশের তিন গুণী শিল্পীকে আজীবন সম্মাননা দিল দ্য ডেইলি স্টার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। চলচ্চিত্রে নায়িকা ফরিদা আক্তার ববিতা, ফটোগ্রাফীতে আফজাল এইচ চৌধুরী এবং সঙ্গীতে আলাউদ্দিন আলিকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। রবিবার রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘সেলিব্রিটিং লাইফ ২০১৫’ শীষর্ক এক অনুষ্ঠানে তাদের এই সম্মাননা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, দেশ নানা সূচকে এগিয়ে গেলেও উদ্বেগের জায়গা হলো সংস্কৃতি। সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে দেশে তেমন কোন অগ্রগতি নেই। এক্ষেত্রে পরিবার বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অনেকেই সংস্কৃতির প্রতি অনীহা প্রদর্শন করেন। আইনস্টাইনের মতো বিজ্ঞানী যদি বেহালা বাজানোর সময় পান, তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন গান ও কবিতা শেখার সময় পাবে না? তিনি আরও বলেন, মুক্তচিন্তার এমন এক উদার সমাজ গড়ে তুলতে হবে যেখানে ধর্মের নামে মানুষ হত্যা হবে না। দ্য ডেইলি স্টার ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের এই উদ্যোগকে তিনি সাধুবাদ জানান। স্বাগত বক্তব্যে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে আমরা খুব আগ্রহী। জাতি গঠনে এর গুরুত্ব অপরিসীম, এর প্রভাব বহুমুখী। দীর্ঘদিন ধরে এমন একটি কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। সম্মাননা পাওয়ার পর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে নায়িকা ববিতা বলেন, প্রথম ছবির পারিশ্রমিক দিয়ে একটি গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু সে গাড়ি মাকে দেখানোর আগেই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। আজকের এই দিনে বিষয়টি খুব মনে পড়ছে। তিনি বলেন, জীবনটা খুব ছোট কিন্তু জার্নিটা অনেক লম্বা। যাদের চেষ্টায়, যাদের সহযোগিতায় আজকের এই ববিতা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সিইও আবরার এ আনোয়ার বলেন, এ অনুষ্ঠানে সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। বাংলাদেশের বৈচিত্র্য তুলে ধরাই ছিল এ আয়োজনের মূল লক্ষ্য। ঐতিহ্যের নিসর্গ তুলে ধরার ক্ষেত্রে আমার হয়ত কিছুটা সফল হয়েছি। এছাড়া ২০১৫ সালের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ও সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদি ও সাবিনা ইয়াসমীন। তাদের সুরেলা গানের সুুরে উপস্থিত দর্শক হারিয়ে যান গানের ভুবনে।
×