ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্মৃতিচারণ ও স্মারক বিনিময়ে কলকতায় শেষ হলো দুই বাংলার মিলনোৎসব

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

স্মৃতিচারণ ও স্মারক  বিনিময়ে কলকতায় শেষ  হলো দুই বাংলার  মিলনোৎসব

মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, কলকাতা থেকে ॥ দুই বাংলার বিক্রমপুরবাসীর দুই দিনব্যাপী মিলনোৎসব রবিবার রাতে শেষ হয়েছে। কলকাতার কালীঘাটের যোগেশ মাইম একাডেমি হলে বসেছিল উৎসবের সমাপনী আয়োজন। শেষদিনের আলোচনায় অংশ নেন বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সভাপতি বিশিষ্ট রবীন্দ্র গবেষক অধ্যাপক ড. বারিদবরণ ঘোষ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বিক্রপুরের কৃতী সন্তান ড. সঞ্জীব সরকার, মুন্সীগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কুতুবউদ্দিন আহম্মেদ, সিরাজদিখান উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আবুল কাসেম, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাস্টার। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুই বাংলার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। কাব্যনৃত্য, সঙ্গীত, আবৃত্তি, কৌতুক, স্মৃতিচারণ, স্মারক বিনিময় এবং সংবর্ধনা ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। আর বিক্রমপুরের ঐতিহ্যে ওপর প্রদর্শিত একটি প্রামাণ্যচিত্র আয়োজনটিতে বারতি মাত্রা যুক্ত করে। কাব্যনৃত্য ছিল আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ। এতে নৃত্য পরিবেশন করেন সোমা বণিক ও বৈশালী সমাদ্দার। সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনিন্দিতা ঘোষ। কাব্যনৃত্য পরিচালনা করেন শ্রেয়সী দাস ও সুকন্যা ভৌমিক। জগদীশ মুখার্জীর ভিন্ন ধরনের আবৃত্তি আনন্দ দেয়। দুই বাংলার পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রবীণ লোকসঙ্গীত মালবিকা দাস, খ্যাতনামা শিল্পী দীপক মিত্র, অনিন্দিতা ঘোষ ও পাপড়ি মুখার্জীর সঙ্গীত দর্শক হৃদয় জয় করে। বিক্রমপুর নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করেন হোসনে আরা ঝুমুর। কৌতুক পরিবেশন করেন দিলীপ দাস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রমেন বিশ্বাস। ভারত-বিক্রমপুর ফেন্ডশিপ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশের বিক্রমপুর তথা মুন্সীগঞ্জ থেকে ৫০ সদস্যের একটি দল অংশ নেয়। ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশের বিক্রমপুরের সন্তানদের আতিথেয়তায় বাংলাদেশের অতিথিদের মুগ্ধ করে। দু’বাংলার এই উৎসবে উঠে আসে বাঙালী জাতির অগ্রগতির সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও কৃষ্টি সংরক্ষণসহ দেশজ সংস্কৃতিকে লালনের ওপর গুরুত্বারোপ। সিরাজদিখান উপজেলার চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহম্মেদ বাঙালীর সম্ভবনার দুয়ার খোলার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ জন্য প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধভাবে সৃজনশীলতাকে লালন করে এগিয়ে যাওয়া।
×