ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তৌফিক অপু

বিয়ে এবং দায়িত্ববোধ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

বিয়ে এবং দায়িত্ববোধ

একটি কালচারাল প্রোগ্রামে পরিচয় দীপা ও সত্যজিতের। সেই থেকে দু’জনের কথা এগিয়ে যাওয়া। চিনে নেয় একে অপরকে। সৃষ্টি হয় ভালবাসার সম্পর্ক। সেই পরিচয়ের ইতি টানতেই সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের। কিছুদিন আগেই বিয়ে করেছেন ভালবেসে দীপা ও সত্যজিত। নিজেদের মধ্যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং ভালই। অনেক স্বপ্ন নিয়েই ঘর বেঁধেছেন দু’জন। কিন্তু এক ধরনের ভয় বা ইতস্ততা কাজ করছে দীপার ভেতর। নতুন সংসার, নতুন পরিবেশ, নতুন মানুষজন মানিয়ে নিতে পারবে কি না? তবে নিজের আস্থার ওপর ভর করেই দীপা নতুন জীবনকে সামলিয়ে নেবার শপথ নেয়। শুধু দীপার ক্ষেত্রেই নয় এ ধরনের শঙ্কা এদেশের প্রায় প্রতিটি মেয়ের মধ্যেই কাজ করে। কেউ মানিয়ে নিতে পারে কেউ বা খেই হারিয়ে ফেলে। সত্যিকার অর্থেই এটা তেমন কঠিন কোন কাজ নয়। শুধু নিজের শিক্ষার ওপর আস্থা রেখে পরিচয় দিতে হবে বিচক্ষণতার। পরিবেশ একটু অচেনা মনে হলেও নিজের মতো করে সাজিয়ে নিতে হবে সংসারকে। সবার আগে নিজের মেধা দিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে। একেক জনের রুচি ও চাহিদা একেক রকম। প্রথমেই নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়া যাবে না। বরং অন্যের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই সামলাতে হবে সংসার। হঠাৎ করেই সংসার নিজের মতো করে গুছিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এর জন্য শ্বশুর-শাশুড়ি কিংবা পরিবারের অন্যদের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে। পজেটিভ এ্যাপ্রোচে সু-সম্পর্ক গড়ে তুলুন। দেখবেন সবাই এগিয়ে আসবে আপনাকে সহযোগিতা করতে। ভালবাসা দিয়ে যতটুকু কাজ আদায় করে নিতে পারবেন জেদের বশে সে কাজ করানো কখনই সম্ভব নয়। আর একটুতেই পরিবারের সদস্যদের উপর মনোক্ষুণœ হওয়া যাবে না। কোন অঘটন যদি ঘটেই যায় মাথা গরম না করে আগে ভাবতে কার কতটুকু ভুল। এবং কিভাবে সমস্যাটি দ্রুত সমাধান করে ফেলা যায়। এক্ষেত্রে কম্প্রমাইজ ইজ দ্য বেস্ট সল্যুউশন। এতে সম্পর্কের ভীত দৃঢ় হবে। বিয়ের পরও নিজের ক্যারিয়ার চালিয়ে যান অনেকেই। এ দৃশ্য এখন কমন। তবে জয়ী সেই ব্যক্তিই যিনি ক্যারিয়ার এবং সংসার সমানতালে সামলাতে পারেন। এ কারণেই হয়ত কথায় আছে যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। স্বামীর সহযোগিতায় নিজের সংসার সামলিয়ে উভয়ের ক্যায়িরারের লক্ষ্যে পৌঁছানোই উত্তম কাজ। সে ক্ষেত্রে সকালের নাশতা থেকে শুরু করে দুপুরের লাঞ্চ মেনেজমেন্ট সবকিছুই আগের রাতেই প্ল্যান করে রাখতে হবে। সারা দিনের কাজের রুটিন বাড়ির কর্তাব্যক্তি কিংবা কাজের লোককে ভালমতো বুঝিয়ে দিয়ে বের হতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রহরের কাজ চলবে ছক অনুযায়ী। তাহলেই সামলে ওঠা যাবে। না হলে লেজেগোবরে অবস্থার সৃষ্টি হবে। বিঘœ ঘটবে কাজের। গ্লোবালাইজেশনের যুগে নিজেকে তাল মেলাতে হলে আপডেট থাকবে হবে। মডেল : মানিক ও ফারহানা
×