ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করতে ব্যস্ত ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করতে ব্যস্ত ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ পৌর নির্বাচনে আবারও কারচুপি ও ভোট ডাকাতির আশঙ্কা প্রকাশ করে রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নির্বাচন কমিশন শাসক দলকে খুশি করার জন্য কাজ করছে। শাসক দলের কাছে তাদের ঋণ করতে করতে দেউলিয়া অবস্থা। এ অবস্থা চলতে থাকলে সেদিন আর বেশি দূরে নয় জনগণের ধাওয়া থেকে নির্বাচন কমিশন রক্ষা পাবে না। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অধিকাংশ পৌরসভা কেড়ে নিয়েছে সরকারি দল। ঐ দিন স্থগিত হওয়া পৌরসভাগুলোর নির্বাচন ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী অভিযোগ করেন, ওই পৌরসভাগুলোতে বিএনপির প্রার্থী ও সমর্থকদের হয়রানি করা হচ্ছে। গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের ভাইকে বিজয়ী করতে নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌরসভায় বিএনপি মনোনীত প্রার্থীকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তাঁকে গণসংযোগ করতে ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না। সরকার ব্যাপক তা-ব চালাচ্ছে। ফলে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই। সেখানে বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করতে যা যা করার দরকার, তা-ই করছে সরকার। অথচ সেখানে বিএনপির প্রার্থীই এগিয়ে আছেন। একই অবস্থা কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর পৌর নির্বাচনে ও নরসিংদীর মাধবপুর পৌরসভায়। এখানেও বিপুল ভোটে এগিয়ে আছেন বিএনপির প্রার্থী। কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি নেতা ও সাবেক মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, মোস্তাফিজার রহমান, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু, এ্যাডভোকেট রেহানা খানম বিউটি, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব প্রমুখ। রিজভী বলেন, এই নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় জেনেও শুধু গণতন্ত্রের সামান্যতম পরিসরে প্রবেশ করতে পৌর নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বিএনপি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার গণবিচ্ছিন্ন। এই সরকার দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে বিচ্ছিন্ন করেছে। প্রাধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে নাশকতার মামলায় ফাঁসাতে চায়। কারণ আইন, বিচার বিভাগ সবই তার ভ্যানিটি ব্যাগে। একইভাবে শিক্ষকদের আন্দোলনকে তোয়াক্কা না করে উল্টো প্রধানমন্ত্রী তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করছেন। যা গ্রহণযোগ্য নয়। এভাবে বাংলার মানুষকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। একদিন সব শৃঙ্খল ভেঙ্গে মানুষ বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে তাদের চাকরির মেয়াদ শুধু দীর্ঘায়িত করছে। তিনি বলেন, নির্বাচনকেন্দ্রিক যেসব সন্ত্রাস চলছে, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে স্থগিত হওয়া ভোটকেন্দ্রগুলোতেও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
×