ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জ্বালাও পোড়াওয়ের জবাব পেয়েছে বিএনপি॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

জ্বালাও পোড়াওয়ের জবাব পেয়েছে বিএনপি॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, দেশে জ্বালাও পোড়াও করার জবাব পেয়েছে বিএনপি। পৌর নির্বাচনে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ। আগামী ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনেও দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকেই ভোট দিবে। দেশের মানুষ উন্নয়ন চায়। তাই মানুষের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ব্যাচের প্রথম বর্ষের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি উন্নয়ন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ইন্টার পার্লামেন্টারিয়ান ইউনিয়নের (আইপিইউ) চেয়ারম্যান সাবের হোসেন চৌধুরী, এমপি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক, মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ সানিয়া তাহমিনা ও উপাধ্যক্ষ ডাঃ শাহ গোলাম নবী তুহিন। বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় জীবনের এ স্মরণীয় দিনে মুগদা মেডিক্যাল কলেজের প্রথম ব্যাচের প্রথম বর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিয়ে কথা রাখেন। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী তিনি মুগদা হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করার পর তা কলেজে রূপান্তর করেছেন। শুধু তাই নয়, এখানে আন্তর্জাতিক মানের নার্সিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করার চিন্তা-ভাবনাও করছে সরকার। একাগ্রচিত্তে লেখাপড়ায় মনোযোগ রাখার পরামর্শ দিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা একটি মহান পেশা। মেধাবীরাই চিকিৎসাশাস্ত্রে লেখাপড়া করার সুযোগ পেয়ে থাকে। তাদের কাছে পরিবার ও দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা। ক্লাস শুরু করার আগে নেয়া শপথ রক্ষা করলে দক্ষ ও ভালমানের চিকিৎসক হওয়া কঠিন হবে না। অভিভাবকদের ত্যাগের কথাও মনে রাখলে ভবিষ্যতে সুচিকিৎসক হওয়া সম্ভব। সুচিকিৎসক হতে গেলে ধূমপানসহ যে কোনো মাদক থেকে দূরে থাকতে নতুন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী বছর থেকে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তির ক্ষেত্রে ধূমপান করে না এ মর্মে প্রত্যয়নপত্র জমা দেয়ার আইন প্রণয়ন করা হবে। তিনি এ সময় কর্মরত চিকিৎসক ও শিক্ষকদেরও ধূমপান থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, দরিদ্র মানুষের সেবা দিতে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করার পর গ্রামে ন্যূনতম তিন বছর অবস্থান করার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে। কারণ দরিদ্রদের জন্য সরকারী হাসপাতাল ছাড়া বিকল্প নেই। হাসপাতালে আগত রোগীদের মায়ের মমতা, বাবার ¯েœহ দিয়ে সেবা দেয়ার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শ দেন মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য সেক্টরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্য সেক্টরের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। নতুন নতুন হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজসহ স্বাস্থ্য সেক্টরের অবকাঠামো বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে জনবল। মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। স্বাস্থ্য সেক্টরের উন্নয়ন আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত। কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা। নার্সের মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই নিয়োগ দেয়া হবে দশ হাজার নার্স। স্বাস্থ্য সেক্টরের বহুমুখী উন্নয়ন কর্মকা- অব্যাহত রয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মুগদা ও নিকটবর্তী এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। নামমাত্র ফি দিয়ে উন্নতমানের সরকারী চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় হাসপাতাল ও কলেজ পেয়েছে মুগদাবাসী। দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ দীন মোঃ নূরুল হক বলেন, স্বাস্থ্য সেক্টরে নীরব বিপ্লব ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের তত্ত্বাবধানে দেশের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি অব্যাহত থাকবেই বলে জানান মহাপরিচালক।
×