ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আল্লাহুম্মা আমিন ছুম্মা আমিন ধ্বনিতে মুখরিত তুরাগ তীর

আখেরি মোনাজাতে উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি কামনা

প্রকাশিত: ০৫:২১, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

আখেরি মোনাজাতে উম্মাহর শান্তি  সমৃদ্ধি কামনা

ফিরোজ মান্না/মোস্তাফিজুর রহমান টিটু/নুরুল ইসলাম, টঙ্গী থেকে ॥ আল্লাহুম্মা আমিন ছুম্মা আমিন ধ্বনিতে টঙ্গীর তুরাগ তীর মোহনীয় হয়ে উঠে। এ সময় আল্লাহর দিদার লাভের জন্য লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মানুষ চোখের পানি ফেলে কায়মনে দুই হাত তোলেন। তাদের কণ্ঠের আমিন আমিন ধ্বনিতে তুরাগ তীরের আকাশ বাতাসে সুরের মুর্ছনা তৈরি হয়। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত। মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহলৌকিক ও পারলৌকিক মুক্তি এবং দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার তৌফিক কামনা করা হয়। জীবনের সব পাপ-তাপ থেকে মুক্তির জন্য, পরম দয়াময় আল্লাহর দরবারে অনুনয়-বিনয় করে জীবনের গুনা খাতার মাপ চাওয়া হয়েছে। ক্ষমা লাভের আশায় লাখ মানুষের সঙ্গে একসঙ্গে হাত তুলতে দূর-দূরান্তের মানুষেরও ঢল নেমেছিল ভোর থেকেই। বিশ্ব তবলীগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি ভারতের মাওলানা সা’দ আহমেদ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন। তিনি বেলা ১১টা ৭ মিনিটে মোনাজাত শুরু করেন ও তা চলে ২৫ মিনিট পর্যন্ত। বেলা ১১টা ৩২ মিনিট পর্যন্ত মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত শুরু হতেই পুরো এলাকাজুড়ে নেমে আসে পিন পতন নীরবতা। খানিক পর পর শুধু ভেসে আসে আমিন, ছুম্মা আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন। অনুতপ্ত মানুষের কান্নার আওয়াজে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশ নেন। বিশ্ব এজতেমা প্রথম পর্ব শুরু হয় গত শুক্রবার আর রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার ভোর রাত থেকেই টঙ্গীর এজতেমা অভিমুখে শুরু হয় মানুষের ঢল। টঙ্গীর পথে শনিবার মধ্যরাত থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোটর গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মোনাজাতে অংশ নিতে চার দিক থেকে লাখ লাখ মুসল্লি পায়ে হেঁটেই এজতেমাস্থলে পৌঁছেন। সকাল ৮টার আগেই এজতেমা মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হলে মুসল্লিরা মাঠের আশপাশের রাস্তা,অলি-গলিতে অবস্থান নেন। এজতেমাস্থলে পৌঁছুতে না পেরে কয়েক লাখ মানুষ কামারপাড়া সড়ক ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মোনাজাতের জন্য পুরনো খবরের কাগজ, পাটি, সিমেন্টের বস্তা ও পলিথিন সিট বিছিয়ে বসে পড়েন। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি-কলকারখানা-অফিস-দোকানের ছাদে, যানবাহনের ছাদে ও তুরাগ নদীতে নৌকায় মুসল্লিরা অবস্থান নেন। যে দিকেই চোখ যায় সেদিকেই দেখা যায় শুধু টুপি-পাঞ্জাবি পরা মানুষ আর মানুষ। সবাই অপেক্ষায় আছেন কখন শুরু হবে সেই কাক্সিক্ষত আখেরি মোনাজাত। এজতেমাস্থলের চার পাশের ৩-৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আখেরি মোনাজাতের জন্য রবিবার আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কলকারখানাসহ বিভিন্ন অফিস-আদালতে ছিল ছুটি। কোন কোন প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা না করলেও কর্মকর্তাদের মোনাজাতে অংশ নিতে বাধা ছিল না। নানা বয়সী ও পেশার মানুষ এমনকি মহিলারাও ভিড় ঠেলে মোনাজাতে অংশ নিতে রবিবার সকালেই টঙ্গী এলাকায় পৌঁছেন। আখেরি মোনাজাতের দিন বাদ ফজর থেকে খাস বয়ান করেন বাংলাদেশ তবলীগের মজলিসে শূরার সদস্য মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম। এরপর থেকে মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ভারতের মাওলানা সা’দ আহমেদ তবলীগের গুরুত্ব তুলে ধরে মুসল্লিদের উদ্দেশে হেদায়েতি বয়ান করেন। তা বাংলায় তরজমা করেন তবলীগের মুরুব্বি ও কাকরাইল মসজিদের ঈমাম হাফেজ মাওলানা জোবায়ের। এ সময় এজতেমাস্থলে আগতরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে সেসব বয়ান শুনেন। হেদায়েতী বয়ানে যা বলা হযেছে, হেদায়েতী বয়ানে ভারতের মাওলানা সা’দ বলেন, ইসলামে নামাজের স্থান মানুষের দেহের মাথার মতো। নামাজ হলো আল্লাহর হুকুম। আল্লাহর হুকুম পুরা হলে তার ওয়াদা পূরণ হয়ে যায়। যার দীলে আল্লাহর এক্কিন পয়দা হবে, সে আল্লাহর হুকুমকে অগ্রাধিকার দেবে। নামাজের ফজিলত বান্দা তখনই পাবে, যখন কেউ রাসুল (সা)-এর মতো করে নামাজ পড়ে। ভাল মউত তাদেরই হবে, যারা আল্লাহর হুকুম ও রাসুল (সা)-এর হুকুম মতো চলে। দ্বীনের ঘরে বসে ইবাদতের চেয়ে বাইরে মেহনত করে ইবাদত বন্দিগী করা অনেক ফজিলত। আল্লাহ তার বান্দাদের দ্বীনের কাজে রাস্তায় বের হতে হুকুম দিয়েছেন। সকলকে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেয়ার কথা বলেছেন। আর এ দাওয়াতের জন্য তালিম নিতে হবে। মহল্লায় মহল্লায় মসজিদে বসে দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে পরামর্শ করতে হবে। এতে শত্রুও বন্ধু হয়ে যেতে পারে। যিনি এখলাছের সঙ্গে দ্বীনের কাজ করবেন তিনিই কামিয়াব হবেন। আল্লাহকে খুশি করার জন্য কাজ করলে জীবনে সফলতা আসে। সবচে বড় আমল হলো দ্বীনের কাজে আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া। দুনিয়ার মাল সম্পদ আল্লাহর কাছে মূল্যহীন। দুনিয়া দুনিয়ার জায়গায় থাকবে। আখিরাতে দুনিয়ার কোন সম্পদ কাজে লাগবে না। শুধু দ্বীন ও আমলই কাজে লাগবে। আল্লাহর কাছে কান্না-কাটি করে নিজের কৃতকর্মের অনুসূচনার মাধ্যমে তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। চোখের পানি ফেলে মোনাজাত করতে হবে। মোনাজাত কবুল হলেই আমরা পাপমুক্ত হব। দুনিয়া ও আখেরাতে ফিরে আসবে শান্তি। আখেরি মোনাজাতের ২৫ মিনিটব্যাপী মোনাজাতের শুরুতে প্রায় ১০ মিনিট আরবিতে দোয়া-দরুদ পাঠ করা হয়। আখেরি মোনাজাতে সেসব দোয়া উল্লেখ করে আল্লাহতায়ালার দরবারে মানুষের হেদায়েত কামনা করা হয়। দুনিয়ার মানুষের সুখ, শান্তি, উন্নতি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়। এরপর বাকি সময় মোনাজাত করা হয় উর্দু ভাষায়। বলা হয়, হে আল্লাহ! আমরা নিজেদের প্রতি অনেক অবিচার-অত্যাচার করেছি। হাজারো হুকুম অমান্য করেছি। তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও। তুমি মাফ না করলে আমাদের কোন উপায় নেই, আমরা ধ্বংস হয়ে যাব। তুমি আমাদের উপর রহমতের চাদর বিছিয়ে দাও। তুমি আমাদের প্রত্যেকের গোনাহ মাফ করো। ঈমানকে মজবুত করে দাও। তোমার প্রিয় বান্দা হিসেবে কবুল করে নাও। আমাদের হেদায়েত দাও। আমাদের পিতামাতাদের হেদায়েত করো। সমস্ত বিশ্ববাসীকে হেদায়েত করো। যারা জীবিত আছে তাদের ক্ষমা করো। যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদেরও ক্ষমা করো। ইসলামের জন্য আমাদের কবুল করে নাও। ইসলামের ওপর আমাদের অবস্থানকে দৃঢ় করো, আমাদের ঈমান মজবুত করে দাও। হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রব, তুমি আমাদের প্রভু। আমরা তোমার রহমতপ্রত্যাশী। বিদেশী মেহমান ॥ ইরাক, ইরান, আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, জর্ডান, তুরস্ক, লেবানন, ইন্দোনেশিয়াসহ অন্তত ৯৫টি দেশের তবলীগ জামাতের প্রায় ১০ হাজার বিদেশী মেহমান এজতেমায় অংশগ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশী মেহমান আগমন করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তবলীগের কাজে বের হওয়ার জন্য এবার এজতেমা স্থলে প্রথম পর্বে প্রায় ৬ হাজার জামাত তৈরি হয়েছে বলে এজতেমার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যে এসব জামাত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়বে বলে জানিয়েছে তবলীগ সূত্র। ভিআইপিদের মোনাজাতে অংশগ্রহণ ॥ বিশ্ব এজতেমার মূল আকর্ষণ হচ্ছে আখেরি মোনাজাত। প্রতিবারের মতো এবারের বিশ্ব এজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিসভার বিভিন্ন সদস্যবর্গ, সাংসদসহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বঙ্গভবনে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গুলশানে নিজের কার্যালয়ে টেলিভিশনের সামনে বসে সরাসরি সম্প্রচার দেখে মোনাজাতে অংশ নেন। এদিকে বিশ্ব এজতেমায় আগত লাখো লাখো মুসল্লির সঙ্গে এজতেমা ময়দানের জেলা পুলিশ প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে বসে আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, অতিরিক্ত ডিআইজি সফিকুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম ও পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান। এছাড়াও আখেরি মোনাজাতে বিভিন্ন মুসলিম রাষ্ট্রের কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবর্গ শরিক হন। এছাড়া পদস্থ সামরিক, বেসামরিক কর্মকর্তাসহ দল-মত, শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মুসলমান আখেরি মোনাজাতে অংশ নেন। টেলিভিশন-মোবাইল ও ওয়্যারলেস সেটে মোনাজাত ॥ এজতেমা মাঠে না এসেও মোনাজাতের সময় হাত তুলেছেন অসংখ্য মানুষ। টঙ্গীর এজতেমাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে কনফারেন্সের মাধ্যমে গত কয়েকবারের মতো এবারও গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদের মাইকে আখেরি মোনাজাত সম্প্রচার করা হয়। এখানে ৫০ হাজারের বেশি নারী-পুরুষ ঈদগাহ মাঠে এবং পার্শ্ববর্তী সড়কে ও ভবনগুলোতে জড়ো হয়ে মোনাজাতে অংশ নেন। এছাড়াও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় টেলিভিশন, ওয়্যারলেস সেট ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোনাজাত প্রচার করা হয়। এজতেমায় বিদেশীসহ আরও চার মুসল্লির মৃত্যু ॥ বিশ^ এজতেমায় আগত এক বিদেশীসহ আরও তিন মুসল্লি ইন্তেকাল করেছেন। এর মধ্যে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠানের পাঁচ মিনিট আগে বেলা ১১টা ২ মিনিটে এজতেমা ময়দানে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার আলীপুর গ্রামের হাফেজ আবু বকর (৬০) নামের জামাতবদ্ধ এক মুসল্লি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ভোর পৌনে পাঁচটায় বার্ধক্যজনিত কারণে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর এলাকার কাসিম উদ্দিনের ছেলে দলিলুর রহমান (৭৫) এবং শ্বাস কষ্টজনিত কারণে শনিবার রাত ১টায় একই জেলার ভেন্নাবাড়ি থানার হরিনারায়নপুর গ্রামের মীর হোসেন আকন্দের ছেলে জয়নাল আবেদীন (৬০) ইন্তেকাল করেন বলে এজতেমা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। অপরদিকে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব এজতেমায় যোগ দিতে আসা ইন্দোনেশিয়ার এক নাগরিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তার নাম পুর্নম সোপান ওরফে সোফা হাজি (৫৬)। তার বাড়ি ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায়। বিশ্ব এজতেমার পরিচালনা কমিটির মুরব্বি প্রকৌশলী মোঃ গিয়াস উদ্দিন জানান, সোফা হাজি শনিবার বিকেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাকে প্রথমে বিদেশী ক্যাম্পে ও পরে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আখেরি মোনাজাত শেষে ভয়াবহ যানজট ॥ মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেয়া মানুষ একযোগে নিজ নিজ গন্তব্যে ফেরার চেষ্টা করেন। এতে টঙ্গীর আশপাশের সড়ক-মহাসড়কগুলোতে সৃষ্টি হয় জনজট ও যানজট। ফলে আবারও হেঁটে রওনা দেয় মুসল্লিরা। আর হাঁটা মুসল্লিদের চাপে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মুসল্লিদের যানবাহন রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থাকে এজতেমা মাঠের আশপাশের এলাকায়। মুসল্লিদের জন্য ফ্রি শাটল বাস ॥ বিশ^ এজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিদের নির্বিঘেœ বাড়ি ফিরতে গাজীপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়। আখেরি মোনাজাত শেষে মুসল্লিরা বিনা ভাড়ায় চান্দনা চৌরাস্তা এবং মিরের বাজার পর্যন্ত এ শাটল বাসে যাতায়াত করেন। র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল ॥ এজতেমা চলাকালে গত কয়েকদিন ধরে র‌্যাবের নদী পথে স্পীডবোট ও আকাশ পথে হেলিকপ্টার সর্বক্ষণিক টহল অব্যাহত ছিল। এছাড়া এবার গাজীপুর জেলা পুলিশ ছাড়াও ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন রেঞ্জ থেকে কর্মকর্তাসহ ফোর্স এবং সারাদেশ থেকে র‌্যাব ইউনিটের কর্মকর্তাসহ ফোর্স এজতেমাস্থলে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় প্রায় ১২ হাজার সদস্য নিয়োজিত ছিল। দেশের মোট ৩২টি জেলা নিয়ে এ বছর এজতেমার দুই পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী বছর বিশ্ব এজতেমার দু’পর্বে বাকি ৩২ জেলার মুসল্লিরা অংশ নিবে। এ বছরের প্রথম পর্বে অংশ নেয় ঢাকার একাংশসহ ১৭টি জেলার তবলীগ অনুসারীরা। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবে ১৫টি জেলাসহ ঢাকার বাকি অংশের তবলীগ অনুসারীরা। তবে বিদেশী মুসল্লিরা প্রতিবছর বিশ্ব এজতেমায় অংশ নিতে পারবে।
×