ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিশ্বনাথে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৯ গ্রামবাসীর যাতায়াত

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

বিশ্বনাথে বাঁশের সাঁকো দিয়ে ৯ গ্রামবাসীর যাতায়াত

স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস ॥ বিশ্বনাথ উপজেলার ৯টি গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পারাপারের এক মাত্র মাধ্যম হচ্ছে বাঁশের তৈরি সাঁকো। গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এককালের অন্যতম একটি খরস্রোতা নদী মাকুন্দা। এখন এটি মৃত প্রায়। রামপাশা ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সংযোগস্থল আশুগঞ্জবাজার এলাকায় প্রায় ১৫০ ফুট প্রস্থের নদীর ওপর সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। সেতু না থাকায় স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ এলাকার ৯টি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয়। এতে প্রতিনিয়তই ঘটে অনেক দুর্ঘটনা। আর সব চেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরাই। সাঁকো পারাপারের ক্ষেত্রে অনেক সময় শিক্ষার্থীর হাত থেকে বই-খাতা নদীর পানিতে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। রোগীদের নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দুই ইউনিয়নের সংযোগ সাঁকোর স্থলে একটি সেতু নির্মিত হলে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন সাধন হবে। কিন্তু এ নিয়ে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের কোন উদ্যোগ নেই বলেও জনমনে ক্ষোভ রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রতি বছর সাঁকোটি নির্মাণ করতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। আর এ জন্য এলাকাবাসী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করতে হয়। সরকারী কোন সহযোগিতা না থাকায় এলাকার গরিব জনসাধারণের জন্য তা কষ্ঠকর বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। আর্থিক সঙ্কটের কারণে তাই সাঁকো নির্মাণ করা হয় সরু বাঁশ দিয়ে। তাতে বাঁশের চাটাই দেয়া সম্ভব হয় না। চাটাই না থাকলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। উপজেলার বিলপার, বাবুনগর, মাওনপুর, তেঘরী, কান্দিগাঁও, জয়নগর, নোয়াপাড়া, ভাটপাড়া, তেলিকোনা গ্রামের জনসাধারণকে খাজাঞ্চী নদীতে থাকা সাঁকো পার হয়ে আসতে হয় আশুগঞ্জ বাজারে, স্কুল-কলেজ-মাদরাসাসহ নিজেদের কর্মস্থলে। প্রতি শনি ও মঙ্গলবার আশুগঞ্জ বাজারে হাট থাকে। তখন একদিনে প্রায় দুই হাজার মানুষকে সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হয়। এছাড়া ওই এলাকার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন বাধ্যতামূলকভাবে সাঁকো ব্যবহার করে আসতে হয় ‘আশুগঞ্জ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, দোহাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হলিচাইল্ড কিন্ডারগার্টেনে। সাঁকো দিয়ে বাচ্চাদের স্কুলে যেতে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে অনেক অভিভাবককে বাচ্চাদের সঙ্গে যেতে হয়।
×