আহমেদ হুমায়ুন, চট্টগ্রাম অফিস ॥ দশ দিনের ব্যবধানে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তাসহ ৫ উর্ধতন কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। এক সঙ্গে এত গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি হওয়ায় ঝিমিয়ে পড়ছে কর্পোরেশনের কার্যক্রম। টেবিলে স্তূপাকার ধারণ করেছে শত শত ফাইল। থমকে আছে অসংখ্য প্রকল্প। দুটি পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হলেও কাজে কোন গতি আসছে না। উল্টো নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা। বাকি তিনটি পদে কাউকে অতিরিক্ত দায়িত্বও দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে খুব শীঘ্রই যোগ্য ব্যক্তি দ্বারা পদগুলো পূরণ করা হবে। ইতোমধ্যে তারা প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। প্রধান এই পদগুলো পূরণে বিসিএস কর্মকর্তাদের প্রাধান্য দিচ্ছে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। ডেপুটেশনে বিসিএস কর্মকর্তা চেয়ে তিনি মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এখনও দৃশ্যত কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আগামী ৩ মাসেও পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হবে না। বিসিএস কর্মকর্তা ডেপুটেশনে আনা একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। আগে থেকে প্রস্তুতি না নেয়ায় এ ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে প্রধান ৫ পদে শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে গত ৩০ ডিসেম্বর রাজস্ব কর্মকর্তা শামসুল আলম ও সহকারী প্রকৌশলী বশির আহমেদ, ৩১ ডিসেম্বর প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আহমুদুল হক ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ অবসরে গিয়েছেন। এছাড়া গত সপ্তাহে অবসরে গিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী এয়াকুব নবী। গুরুত্বপূর্ণ এসব পদের মধ্যে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী পদে বিসিএস কর্মকর্তা দেয়ার জন্য ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে চসিকের নিকট বিসিএস ক্যাডারের খালি পদের বিবরণ (শূন্য পদের নাম ও সংখ্যা) চাওয়া হয়। প্রতি উত্তরে চসিকও মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশিত তথ্যগুলো উল্লেখ করে চিঠি দেয়। এতে বাধ্যতামূলক পদগুলোর বর্তমান অবস্থান তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা পদে বিসিএস কর্মকর্তাকে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কাজী মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, শূন্যপদে বিসিএস কর্মকর্তা ডেপুটেশনে নিয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে। খবু শীঘ্রই খালি পদগুলো পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিসিএস কর্মকর্তা নিয়োগের আগ পর্যন্ত পদগুলো অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালানো হবে। ইতোমধ্যে ২টি পদে তিন কর্মকর্তাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।