ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ ॥ বোরো আবাদ নিয়ে আশঙ্কা

কেশবপুরে ৬ বিলে জলাবদ্ধতা

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

কেশবপুরে ৬ বিলে জলাবদ্ধতা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ১০ জানুয়ারি ॥ বাগডাঙ্গা বিলের সংযুক্ত শ্রী নদীর খালের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ দিয়ে মাছের ঘের করায় ছয়টি বিলের পানি বেরুতে পারছে না। বিলগুলো জলমগ্ন থাকায় এবার বোরো আবাদ না হওয়ার আশঙ্কা করেছে এলাকার চাষীরা। বাঁধের কারণে এলাকার অনেকের বাড়ি সারাবছর পানি তলিয়ে থাকছে। ভুক্তভোগীরা পানি সরানোর জন্য শ্রী নদীর সংযোগ খালটি অবমুক্ত করে দেয়ার জন্য উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছে। সরেজমিন শনিবার বাগডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আবহমান কাল থেকে বাগডাঙ্গা পশ্চিম বিল, কুশখালী বিল, হরিতলা বিল, আশাননগর বিল, শ্যামনগর বিলসহ ছয়টি বিলের পানি পাঁজিয়া-মনহরনগর সড়কের বিভিন্ন ব্রিজ দিয়ে বের হয়। এ সড়কের পশ্চিম পাশে বিলের ভেতর একটি খাল দিয়েই ওই ছয়টি বিলের পানি শ্রী নদীতে নিষ্কাশিত হয়ে থাকে। বাগডাঙ্গা গ্রামের পরিতোষ রায়, মিহির রায়, মিলন রায়, মুকুল রায়, অসীম রায়, অনাদি সরকারসহ অনেকেই জানান, গ্রামের ললিত মোহন, বৈদ্যনাথ সরকার, মনোরঞ্জন সরকারসহ কিছু জমির মালিক তাদের জমির সীমানায় খালে বাঁধ দিয়ে মাছে ঘের করেছে। সে কারণে কয়েক বছর ধরে বাগডাঙ্গা পশ্চিম বিলসহ ছয়টি বিলের পানি বের হতে পারে না। সারাবছর তাদের বাড়িতে পানি জমে থাকে। বিলে ফসল করতে পারে না ঠিকমতো। পরিতোষ সরকার জানান, ব্রিটিশ আমল থেকে এই খাল দিয়ে পানি বের হয়ে শ্রী নদীতে গিয়ে পড়ে। তিনি নিজ খরচেই খালের জায়গায় ব্রিজ করে দিয়েছেন। কিন্তু অনেকে খালের মাঝামাঝি বাঁধ দিয়ে মাছে ঘের করেছে। অভিযুক্তদের দাবি এখানে যে খাল দিয়ে এতকাল পানি নিষ্কাশন হতো, তা সবার ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি। প্রায় দশ বছর আগে জলাবদ্ধতার কারণে বাঁচার তাগিদে নিজ নিজ জমিতে তারা মাছের ঘের করেছে। বর্তমানে খালের জন্য এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এটাকে বড় সমস্যা বলেও স্বীকার করেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান এইচ এম আমীর হোসেন জানান, এলাকাবাসীর মৌখিক অভিযোগ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, এক সময় জমির তেমন ব্যবহার হতো না। সে কারণে সবার জমির ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে নদীতে যেতে পারত। এখন যে যার মতো জমিতে মাছের ঘের করার ফলে খাল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পানি বেরুতে পারছে না।
×