ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাসায়নিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক ধারা

প্রকাশিত: ০৪:০১, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

রাসায়নিক পণ্য রফতানিতে ইতিবাচক ধারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বরে রাসায়নিক পণ্য রফতনিতে ইতিবাচক ধারা দেখা গেছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এবার রাসায়নিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে। রফতানি লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়েছে এই সময়ে। বাংলাদেশ রফতনি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যানুযায়ী, রাসায়নিক পণ্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এ খাতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এবার রাসায়নিক পণ্যের রফতানি আয় ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাসায়নিক পণ্য রফতানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৬৯ লাখ মার্কিন ডলার। এর মধ্যে জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে রাসায়নিক পণ্য রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৬ কোটি ১ লাখ মার্কিন ডলার। এই সময়ের মধ্যে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। রাসায়নিক পণ্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে আয় হয়েছে ৬ কোটি ৪৯ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে এই খাতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসের তুলনায় এবার রাসায়নিক পণ্য রফতানি আয় ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। রাসায়নিক পণ্যের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস বা ওষুধ জাতীয় দ্রব্য রফতানিতে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে এই খাতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৩০ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় তা ১৭ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। আলোচ্য সময়ে রাসায়নিক সার রফতানিতে আয় হয়েছে ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। এছাড়া প্রসাধনী দ্রব্য রফতানি করে আলোচ্য সময়ে আয় হয়েছে ৪ লাখ ৮০ হজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও ৫২ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্য রফতানি খাতে আয় হয়েছে ২ কোটি ১২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এই খাতে।
×