ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

প্রকাশিত: ০৩:৩৯, ১১ জানুয়ারি ২০১৬

ডিজিটাল রূপান্তর ও ডিজিটাল অপরাধ

॥ ছয় ॥ ডিজিটাল পদ্ধতিতে রাজনৈতিক অপরাধ ॥ বাংলাদেশে সাম্প্রতিককালে রাজনৈতিক কারণে যেসব ডিজিটাল অপরাধ ঘটেছে তার চরিত্র ভয়াবহ ও আতঙ্কজনক। রাজনীতিতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব ২০০৮ সালের নির্বাচন থেকে স্পষ্টভাবেই অনুভূত হতে থাকে। তবে দেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ বা ধর্মান্ধতা নতুন না হলেও ডিজিটাল প্রযুক্তি এসব অপরাধের জন্য এত ব্যাপকভাবে ব্যবহারের আগে আর কখনই হয়নি। আমি বিশেষ করে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠার প্রেক্ষিতে যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলো এখানে অতি সংক্ষেপে উল্লেখ করতে পারি। ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠার পর থেকেই দেশে ব্লগার ও অনলাইন একটিভিজম সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ, মিডিয়া এমনকি ওলেমা মাশায়েখদের নজরে পড়ে। আন্দোলনটিই যেহেতু অনলাইন থেকে শুরু হয় সেহেতু সেটি নিয়ে অনেকের নানা কৌতূহল ছিল। তবে আন্দোলনকে রুখে দাঁড়ানোর কৌশল হিসেবে যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সমর্থকরা ধর্মকে বেছে নেয় এবং অনলাইন মিডিয়া সেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে স্থান পায়। বিশেষ করে আন্দোলনের উদ্যোক্তাদের মধ্য থেকে কোন কোন ব্লগার নাস্তিক্য প্রচার করছে এমন অভিযোগ তোলা হয়। জামায়াত-শিবির অনলাইন মিডিয়ায় সেই অপপ্রচারটি অত্যন্ত জোরালোভাবে করে। কিছু কাগজে ছাপা পত্রিকায় সেটি মূল উপজীব্য বিষয় হয়ে যায়। এর সঙ্গে যুক্ত হয় রাজনৈতিক সমর্থন। প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শাহবাগের আন্দোলনকারীদের নষ্ট ও নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি এদের বিপরীতে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতে ইসলামকে পূর্ণ সমর্থন প্রদান করেন। সাবেক স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও হেফাজতের পক্ষাবলম্বন করেন ও শাহবাগের আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। ফলে দেশজুড়ে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যার পরিণামে শত শত কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ও জনগণের সম্পদ নষ্ট হয়, শত শত জীবনহানি হয়, শত শত মন্দির ভাঙ্গা হয় ও হাজার হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব অপরাধের পেছনে ডিজিটাল পদ্ধতি ও প্রযুক্তির ব্যবহার ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। শাহবাগের এই কথিত ‘নষ্ট ও নাস্তিকদের’ প্রতিরোধ করার জন্য ‘হেফাজতে ইসলাম’সহ নতুন নতুন সংগঠনের জন্মও নতুন মাত্রা যোগ করেছে। চ্যালেঞ্জ ছোড়াছুড়ি হয়েছে। ১৪৪ ধারা বলবৎ করা হয়েছে। সমাবেশ-অবস্থান ও অবরোধ হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের লোকেরা শাহবাগের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তরুণ নেতাদের তালিকা তৈরি করেছে। বুদ্ধিজীবীসহ অন্যদের নিয়ে জামায়াত শিবিরের হিট লিস্ট তৈরি হয়েছে। ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন হামলার শিকার হয়েছেন। ধর্মান্ধতাকেই এই আক্রমণের হেতু বলা হলেও ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করেছে। আসিফের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারও করা হয়েছে। তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্লগার রাজিব খুন হয়েছে। তার খুনীদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মিরপুরের আরও একজন ব্লগারের ওপর হামলা করা হয়েছে। সেই খুন অব্যাহতই আছে। সিলেটে ও ঢাকায় চাপাতির কোপ চলছেই। এদের সকলকে এবং ইমরানসহ জীবিত সংগঠকদের নাস্তিক বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনটিও বলা হয়েছে যে, নাস্তিক বা মুরতাদ বলেই তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তারা ইন্টারনেটে এসব কাজ করেছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে। অনেক ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে তাই খুনের অপরাধকে মহিমা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। যারা এসব অপরাধ করেছে তারাও মনে করেছে, ইসলামের নামে তারা একটি মহৎ কাজ করেছে। চরমোনাই পীর এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনও নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তি দাবি করেছে। এই সূত্র ধরে কমপক্ষে ৪ জন ব্লগার গ্রেফতার হয়েছে। এদের মাঝে এই প্রতিবেদন আপডেট করার সময় পর্যন্ত ২ জন জামিন পেয়েছেন। এই সূত্রে ডিজিটাল অপরাধের চূড়ান্ত প্রদর্শন করেছে দৈনিক আমার দেশ। এই পত্রিকাটি ইন্টারনেটের ভুয়া তথ্য, ছবি ও নানা উপাত্ত মুদ্রিত আকারে ছেপে দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। অবশেষে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক গ্রেফতার হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার ডিজিটাল অপরাধ নিশ্চিত হওয়ার পরও কিছু কিছু সম্পাদক তার মুক্তি দাবি করেছেন। ৬ এপ্রিল ২০১৩ হেফাজতে ইসলাম শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে এবং ৫ মে ২০১৩ হেফাজতে ইসলাম ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী পালন করে। ঐদিন বিকেলে তারা শাপলা চত্ব¡রে সমাবেশও করে। ঐ রাতে আইনশৃক্সক্ষলা বাহিনী শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতীদের তাড়িয়ে দেয়। ঐ ঘটনায় ৩ হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রচার চালানো হয়। বেগম জিয়া, তার দল, ১৮ দলীয় জোট ও হেফাজতে ইসলাম এবং তার সমর্থকরা ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে এই বিষয়ে অপপ্রচার চালায়। বস্তুত ডিজিটাল প্রযুক্তিকে এই অপপ্রচারে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধাপরাধী সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়া থেকে শুরু করে পবিত্র কাবা শরীফের ইমামকে নিয়ে অপপ্রচার চালানো পর্যন্ত হেন কাজ নেই যা ইন্টারনেটে করা হয়নি। এক ঘটনার ছবিকে অন্য ঘটনার সঙ্গে যুক্ত করা বা সম্পাদনা করে এর চরিত্র বদলে দেয়া ও কিছু বাক্যজুড়ে দিয়ে মানুষের ধর্মপ্রাণতা ও আবেগকে ব্যবহার করার ঘটনা অবিরাম চলছে। আমরা যদি দেশের ডিজিটাল অপরাধের জগতের এর আগের একটি বড় ঘটনার কথা স্মরণ করতে চাই সেটি হবে বাংলাদেশের হ্যাকারদের হাতে ভারতীয়-মিয়ানমারের ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া। সীমান্ত হত্যার অজুহাতে ভারতের বিরুদ্ধে ও রোহিঙ্গা হত্যার প্রতিবাদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এসব ডিজিটাল অপরাধ সংগঠিত করা হয়েছিল। সেই সময়ে বাংলাদেশের কিছু ওয়েবসাইটে প্রকাশ্যে শেখানো হতো কেমন করে ওয়েবসাইট হ্যাক করতে হয়। তখন হ্যাকিং ভাল কাজ নয় একথা যারা বলেছেন তাদেরও চরিত্র হনন করা হয়েছে। এরপর নিয়মিত দেশী, সরকারী- বেসরকারী ওয়েবসাইট হ্যাক হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। এমনকি সেদিনও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। এসবকে মহিমান্বিত করার চেষ্টাও হচ্ছে। রাজিবের ব্লগ সম্পর্কে বলা হয় যে, এগুলো দুই বছর যাবত লেখা হয়েছে- প্রকাশিত হয়েছে। যদি নুরানি চাপা সমগ্র সত্যি সত্যি রাজিবেরও হয় তবে দুই বছর ধরে কাগজের মিডিয়া, ধর্মান্ধ ও সরকার কি ঘুমিয়ে ছিল? তখন কেন সেগুলো প্রকাশিত হয়নি বা সেসবের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার কোন জবাব পাওয়া যায় না। যেসব সাইটে রাজিবের ব্লগ প্রকাশিত হয়েছিল তারা কি করেছিল তারও কোন বিবরণ নেই। মডারেশন বলে কোন কিছু তারা করেছে কি- এই প্রশ্নের জবাব নেই। সকলের প্রশ্ন হলো; তাদের কি কোন দায়িত্ব নেই যে ক্ষতিকর কোন উপাদান প্রকাশ করার আগে সেটি যাচাই বাছাই করতে হবে। পরিচয় গোপন করে কেউ যা খুশি তাই লেখবে আর তা কোন ধরনের সম্পাদনা না করেই প্রকাশ করা হবে এমন উলঙ্গ স্বাধীনতা কোন সভ্য সমাজে চলতে পারে না। এমনভাবে যারা ব্লগ প্রকাশ করছে সরকার তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নিয়েছিল? এর চাইতেও ভয়ঙ্কর অবস্থা হচ্ছে যে, সরকার অনলাইনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যেমন নিতে পারেনি তেমনি প্রচলিত মিডিয়ার অপকর্মের বিরুদ্ধেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অনলাইনের বিষয়বস্তুর বরাত দিয়ে ইসলামের নামে কাগজের পত্রিকাগুলো যখন ইসলামবিদ্বেষী খবরগুলো প্রকাশ করে সরকার তার প্রচারণা বন্ধ করতে পারেনি, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি বা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারেনি। বেশ কটি পত্রিকা দিনের পর দিন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করার মতো মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করেছে- কিন্তু সরকার নীরব থেকেছে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে আইন না থাকার কারণে এসব পত্রিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যায়নি, তবু আমরা কিছু আইনের প্রতি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। আমরা মনে করি সরকার বিশেষ ক্ষমতা আইন, প্রেস এ্যান্ড পাবলিকেশন আইন, সিআরপিসি ও সংবিধানের ধারা অনুসারে এসব কর্মকা-ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারত। কিন্তু সরকারের আইনী ব্যবস্থা তেমন কার্যকর বলে মনে হয় না। সরকার আইসিটি এ্যাক্ট-২০০৬ (২০০৯ সালে সংশোধিত) নামক একটি আইন তৈরি করেছে। সেই আইনে এসব অপরাধের বিরুদ্ধে আইনী সহায়তা নেয়া যায়। জানা গেছে, এরই মাঝে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। একজন বিচারকও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্স নির্বাহী পরিষদের চতুর্থ সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলেও তখন সরকারের আমলারা বিষয়টিতে নজর না দেয়ার মতো অবস্থা বিরাজ করছিল বলে মন্তব্য করেন। এই নিবন্ধ লেখা অবধি ৫ম সভা অনুষ্ঠিতই হয়নি। ৫ম সভাটি আহ্বান করে সেটি বাতিল করা হয়। ২০১৩ সালেই আইসিটি এ্যাক্টের সংশোধন করা হয়েছে এবং আইনে আমলযোগ্য ও অজানিযোগ্য বিধান ও ন্যূনতম সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনটির অপপ্রয়োগের অভিযোগও রয়েছে। এরপর ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং সেখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন প্রস্তুত করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনলাইন সাংবাদিক প্রবীর শিকদারের গ্রেফতার-রিমান্ড ও জামিন নিয়ে রীতিমতো তুলকালাম হয়েছে। তারও আগে কক্সবাজারের রামুতে বৌদ্ধ মন্দিরের হামলার পেছনে ফেসবুকের একটি ছবিকে দায়ী করা হয়ে থাকে। সেই ছবিতেও ইসলামকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। পরে দেখা যায় যে, ছবিটি কোন একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে একজন বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর নামে প্রচার করে এই হামলার ভিত্তি প্রস্তুত করেছিল। পুলিশ পরে তাকে গ্রেফতারও করে। অন্যদিকে সরকার অনলাইন মিডিয়ার একটি খসড়া প্রকাশ করেছিল। সেটি পুরো দেশের মানুষ প্রত্যাহার করার পর সেটি বাতিল করে একটি কমিটি করে একটি নীতিমালা তৈরির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নীতিমালার খসড়াটি এখন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এই সুযোগে লাগামহীনভাবে অনলাইন মিডিয়া নিজেদের কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অনুমোদিত হয়েছে ও সম্প্রচার কমিশন আইনের খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে শাহবাগের গণজাগরণ ও তার প্রতিক্রিয়ায় সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। জামায়াত-শিবির ও তার সহযোগীরা যখন লাগামহীনভাবে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের নাস্তিক বলে প্রচার করছে তখন সরকারকে একটি কমিটি গঠন করতে হয়েছে। এই কমিটির দায়িত্ব ছিল, অনলাইনে ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হয়েছে কিনা সেইসব খতিয়ে দেখা। কমিটিটি ছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। সেই কমিটি নিজেরা ও অন্যদের সঙ্গে একাধিক সভা করেছে এবং একটি অভিযোগ কেন্দ্র খুলেছে। সরকারের এই কমিটির সঙ্গে ওলেমা মাশায়েখদের আলোচনা হয়েছে এবং তাদের পরামর্শও নেয়া হয়েছে। এই কমিটিতে দুজন আলেমকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যদিও কমিটিতে কোন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ নেই। কিন্তু মনে রাখা দরকার যে, এরই মাঝে ব্লগ, ব্লগার ও অনলাইন কাজকর্ম নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মতো অবস্থা তৈরি হয়ে গেছে। সকল ব্লগারই নাস্তিক এবং ব্লগ মানেই ইসলামের বিপক্ষে; তেমন একটি ধারণা ইসলামী প-িতদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে কেউ কেউ ব্লগারদেরই নিষিদ্ধ করার দাবি তুলছেন। অথচ কেউ নির্দিষ্ট করে বলতেই পারছেন না যে, কোন কোন ব্লগার তাদের কোন কোন ব্লগে ইসলামকে অবমাননা করেছে। ব্লগার রাজিবের বিষয় নিয়ে যা করা হয়েছে সেটি অবশ্যই তদন্তযোগ্য একটি কাজ। সেইসব ব্লগ কারা তৈরি করেছে, কবে তৈরি করেছে তার চাইতেও জরুরি হচ্ছে সেগুলো পত্রিকার পাতায় ছেপে দৈনিক আমার দেশ, ইনকিলাব ও অন্যান্য পত্রিকা কি পরিমাণ ক্ষতি করেছে সেটি পরিমাপ করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
×