ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির নিরীক্ষাধর্মী নাটক ॥ ‘প্রকৃতি, চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা’

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

ঢাবির নিরীক্ষাধর্মী নাটক ॥ ‘প্রকৃতি, চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের প্রযোজনায় মঞ্চে এসেছে নিরীক্ষাধর্মী নতুন নাটক ‘প্রকৃতি, চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘চ-ালিকা’, ‘চিত্রাঙ্গদা’ ও ‘ডাকঘর’ তিনটি নাটকের সমন্বয়ে বিনির্মাণমূলক সৃজন প্রক্রিয়ায় পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে ‘প্রকৃতি চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা’। বিভাগের শিক্ষক শাহমান মৈশানের ভাবনা ও নির্দেশনায় নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। নতুন নাটকের বিশেষ প্রদর্শনী শুক্রবার এবং শনিবার সন্ধ্যায় নাট-ম-লে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আজ রবিবার সন্ধ্যা ৬-৩০ বিভাগীয় মিলনায়তন নাট-ম-লে নাটকের আরও একটি মঞ্চায়ন হবে। এরপর দেশের বাইরে নাটকের আরও দুটি প্রদর্শনী হবে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ‘হ্যাপেনিংস কোলকাতা’ আয়োজিত রবীন্দ্র উৎসব ২০১৬ উপলক্ষে ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার আইসিসিআর মিলনায়তনে ও ১৫ জানুয়ারি শুক্রবার শান্তিনিকেতনে নাটকটি মঞ্চস্থ হবে। প্রকৃতি, চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামা নাটকটি প্রসঙ্গে নির্দেশক শাহমান মৈশান বলেন, প্রকৃতি, চিত্রা ও অমলের চাড়ালনামায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চ-ালিকা, চিত্রাঙ্গদা ও ডাকঘর নাটক তিনটি বিনির্মিাণমূলক সৃজনপ্রক্রিয়ায় পুনর্নির্মিত হয়েছে। চ-ালিকা নাটকটিকে আমরা পাঠ করেছি সমাজতাত্ত্বিক পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের মুক্তির সম্ভাবনা নিরীক্ষার সূত্রে। চিত্রাঙ্গদা নাটকটি গ্রহণ করেছি দক্ষিণ এশীয় পৌরাণিক পরিপ্রেক্ষিতে। পাশ্চাত্যের জেন্ডার সম্পর্কের বিপরীতে নারী-পুরুষের সম্পর্কের ভেতরকার সত্যিকার সত্তার অন্বেষণের এ্যাবসার্ডিটি নিরীক্ষিত হয়েছে পৌরাণিক চরিত্রগুলোর সমকালীনতার বিচিত্র শর্তে। সত্তার স্বরূপতাত্ত্বিক পরিপ্রেক্ষিতে, কাঠামোগত অভ্যাসের অনুশাসনমূলক কারাগার থেকে মানব সত্তার মুক্তির প্রয়োজনে ‘খোলা পথের ডাক’ হিসেবে পাঠ করেছি ডাকঘর নাটক। এই তিনটি নাটকের ভিত্তিতে ইম্প্রোভাইজেশন প্রক্রিয়ায় আটটি দৃশ্যের পাশাপাশি মনোলগ রূপে একটি মধ্যবর্তী দৃশ্য পরিকল্পিত হয়েছে। এই পারফরম্যান্স প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিকভাবে হলেও এভাবে একটি উপসংহার লেখা যায়-ফরাসী দার্শনিক দল্যুজের ভাবনা হলো, সংখ্যালঘুরাই নতুন চিন্তা করে। আর সৃজন সেটাই যা সবসময় জনপ্রিয় নয় কিন্তু নতুন, কিংবা নতুন হতে চায়।
×