ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার মিশ্র প্রভাব

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

বিশ্বে জ্বালানি তেলের দাম কমার মিশ্র প্রভাব

গত ১৮ মাস ধরে জ্বালানি তেলের ভয়াবহ দরপতনের কারণে খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতা পর্যায় থেকে তেল রফতানিকারক কিংবা ব্যবসায়ী, সবার ওপরই এর কম-বেশি নেতিবাচক প্রভাব বরাবরই খবরের শিরোনাম। আবার জ্বালানি তেলের দরপতনের সুফলও ভোগ করেছে অনেক দেশ। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনীতিতে জ্বালানি তেলের দাম কমার মিশ্র প্রভাব পড়েছে। সাধারণ মানুষের কাছে জ্বালানি তেলের দরপতন মানেই কর দেয়ার পরিমাণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেশি বেশি খরচ করার সুযোগ পাওয়া। আর খরচ বেড়ে যাওয়া মানে ব্যবসায়ীদের সুদিন। জ্বালানি তেলের দাম কমার সুফল তাই গত বছরের জুন থেকে বেশ ভালভাবেই পৌঁছেছে ভোক্তাপর্যায়ে। আর্থিক মন্দার মধ্যেও গত দেড় বছরে তাই ভোক্তা খরচ বেড়েছে ইউরোপে। জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশ হয়েও শুধু ভোক্তা খরচ বাড়ায় ব্রিটেনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। জ্বালানি তেলের দরপতনে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হলেও সে লোকসান পুষিয়ে দিয়েছে দেশটির ভোক্তা খরচ এবং তেলবহির্ভূত খাত থেকে পাওয়া মুনাফা। আমদানিনির্ভর না হলেও অভ্যন্তরীণ বাজার এবং রফতানিতে অস্থিরতা থাকায় জ্বালানি তেলের দরপতনের সুফল পায়নি চীন। এদিকে, আমদানি করা জ্বালানি তেলের ওপরই নির্ভরশীল জাপান। এরপরও মন্দার বছরে জ্বালানি তেলের দরপতন প্রবৃদ্ধির ধারায় খুব একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি দেশটির অর্থনীতিতে। অন্যদিকে, জ্বালানি তেলের দাম কমার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এ পণ্যে ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে ভারত, মিসর, ইন্দোনেশিয়াসহ মধ্য আয়ের অনেক দেশ। তাই গ্রাহক পর্যায়ে কমেনি তেলের দাম। তবে জ্বালানি তেলের মতো নিত্যপণ্যের দরপতনে মূল্য সঙ্কোচন ঝুঁকিতে পড়েছে উন্নত এবং উন্নয়নশীল অনেক দেশ। এসব দেশের মধ্যে ব্রিটেন, জাপান, ইউরোজোন আর যুক্তরাষ্ট্র বার বারই লক্ষ্যমাত্রানুযায়ী মূল্যস্ফীতি অর্জনে ব্যর্থ হচ্ছে। এ কারণে মূল্যস্ফীতি অর্জনের বিষয়ে বেশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো। এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম কমলেও উত্তোলন কমায়নি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক। এ ক্ষতিকে অপূরণীয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। অর্থনীতি ডেস্ক
×