ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এলাম বান্দরবান ও কক্সবাজার

প্রকাশিত: ০৬:১১, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে এলাম বান্দরবান ও কক্সবাজার

ফটোসেশন শেষ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস-ট্রাভেলিং টু বান্দরবন এ্যান্ড কক্সবাজার ফ্রম জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি। এরপর নতুন কলা ও মানবিকী ভবনের সামনে থেকে বাস ছাড়তেই হুল্লোড় করে উঠল আমাদের জার্নালিজম এ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিস পরিবার। বাস ছুটে চলল বান্দরবনের উদ্দেশে। পরদিন সকালে বান্দরবান শহরে পৌঁছে রওনা হলাম মেঘলা পর্যটন স্পটের উদ্দেশে। বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৭ কি.মি. পূর্বকয়েকটি সুন্দর উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে এই পর্যটন স্পটটি। ঝুলন্ত ব্রিজ আর কেবল কারে চড়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড় ও হাঁসের প্যাডেল বোটে করে লেকের স্বচ্ছ পানিতে ঘোরাঘুরি। সব মিলিয়ে শিক্ষা সফরের শুরুটা হলো বেশ চমৎকার। মেঘলা থেকে বেরিয়ে আমাদের বাস ছুটে চলল স্বর্ণ মন্দিরের উদ্দেশে। বান্দরবান শহর থেকে ৭ কি.মি. উত্তরে বালাঘাট এলাকার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ‘বৌদ্ধ ধাতু জাদী’ এই স্বর্ণ মন্দিরটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের একটি উপাসনালয়। দুপুরে লাঞ্চ সেরে নীলাচলের উদ্দেশে চড়ে বসলাম বান্দরবানের বিখ্যাত হুডখোলা জীপ গাড়িতে। যার স্থানীয় নাম চাঁন্দের গাড়ি। পরদিন সূয্যিমামার ঘুম ভাঙ্গার তখনো অনেক সময় বাকি। শীতে কাঁপতে কাঁপতে চড়ে বসলাম চাঁন্দের গাড়িতে। উদ্দেশ্য নীলগিরি। কনকনে ঠাণ্ডা বাতাসে শরীর অনুভূতি শূন্য হয়ে গেলেও ভোরের মৃদু আলোয় যখন নিজেদের মেঘের অনেক উপরে আবিষ্কার করলাম তখন অদ্ভুত এক ভাললাগার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ল মন। নীলগিরি থেকে ফেরার সময় মনের কোণে শুধু বাজছিল সবুজ এ পাহাড়ী পথটা যদি কখনও শেষ না হতো। যদি বাকিটা জীবন এভাবেই হুডখোলা চাঁন্দের গাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে গলা ছেড়ে গান গাইতে পারতাম তাহলে কতই না মজা হতো। অতঃপর বানরশূন্য বান্দরবানকে বিদায় জানিয়ে আমরা রওনা হলাম পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের দিকে। রাত আটটার সময় আমরা পৌঁছে গেলাম লাবণী সী বীচে। উত্তাল ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে সঁপে দিলাম নিজেদের। লাফালাফি আর ঝাঁপাঝাঁপিতে দাপিয়ে বেড়ালাম পুরো সমদ্র সৈকত। বড় ভাই আর বন্ধুদের সঙ্গে জমে উঠল উল্টাপাল্টা শটের ফুটবল খেলা। সন্ধ্যা রাতে বার-বি-কিউ পার্টি শেষ হতেই ভরা পূর্ণিমার চাঁদের আলোয় আবারও আলোকিত হয়ে উঠল সমুদ্র সৈকত। এবার ঘরে ফেরার পালা। সময় হয়েছে এ স্বপ্নযাত্রার ইতি টানার। ফিরে চললাম প্রিয় ক্যাম্পাস জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সমুদ্র সৈকতে রেখে এলাম আমাদের পদচিহ্ন। শরিফুল ইসলাম
×