ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে আট লাখ টাকার বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগপত্র

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

সিরাজগঞ্জে আট লাখ টাকার বিনিময়ে ভুয়া নিয়োগপত্র

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে একদল প্রতারক গ্রামের সহজ সরল বেকার যুবকদের চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণা করছে। প্রতারক দল ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে গ্রামের বেকার যুবকদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিশাল অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে। ভুয়া নিয়োগপত্র নিয়ে সরল বিশ্বাসে কথিত কর্মস্থলে যোগ দিতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে চাকরি প্রার্থী। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের সোহেল রানা নামে এক বেকার যুবক আট লাখ টাকার বিনিময়ে চাকরির নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে মহা খুশির পর এখন বিষাদে ভেঙ্গে পড়েছে। পুলিশ খুঁজছে এই প্রতারণার মূল হোতা কে? গত ৫ দিনেও পুলিশ মূল হোতার সন্ধ্যান পায়নি। চাকরি প্রার্থী বেকার যুবক সোহেল রানার বড় ভাই হেলাল কামারখন্দ উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান ভোলার সঙ্গে ছোট ভাই সোহেল রানার জন্য ৮ লাখ টাকায় চাকরির রফা করেন। তিনি চাকরি করেন জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার মিল্কভিটা কারখানায়। সোহেল রানাকে ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ইস্যু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (হাসপাতাল) জাকিয়া সুলতানার নামে সই করা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ‘এমএলএসএস’ পদের একটি নিয়োগপত্র হাতে ধরিয়ে দেয়া হয়। এই নিয়োগপত্র পেয়ে মহা খুশি হয়ে অষ্টম শ্রেণী পাস সোহেল রানা গত ৪ জানুয়ারি সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে আসেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট নিতে। এখানেই ধরা পড়ে ভুয়া নিয়োগপত্র ও জাল জালিয়াতির ঘটনা। নিয়োগপত্র লেখার ধরন এবং ঠিকানা দেখে সিভিল সার্জন অফিসের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা ২০১৫ সালের ৯ ডিসেম্বর তারিখে ইস্যু করা এই নিয়োগপত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরীক্ষা কর দেখেন তা ভুয়া। এ খবরে সোহেল রানার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার মতো অবস্থা হলে দ্রুত সটকে পড়ে। এর পর নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিববের অফিস। বিষয়টি অবহিত করা হয় পুলিশ সুপারকে। এরপর পুলিশ খুঁজতে থাকে সোহেল রানাকে। কিন্তু তাকে পাওয়া না গেলেও তার বড় ভাই হেলাল কামারকন্দ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল সরদারের কাছে সহজ সরলভাবে স্বীকার করে ঘটনার ইতিবৃত্ত। কিন্তু পুলিশ এখনও মূল হোতাকে খুুঁজে পায়নি। তবে পুলিশ ধারণা করছে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট চক্র এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।
×