ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের দৃষ্টি বিশ্বকাপে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের দৃষ্টি বিশ্বকাপে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ সবার আগে বাংলাদেশে এসে পড়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট দল। লক্ষ্য, বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলা। এ সিরিজ খেলার আসল লক্ষ্য আছে। সেটি হচ্ছে- অনর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে খেলতে নামার আগে বাংলাদেশের উইকেট ও কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। সেই লক্ষ্যের কথাই জানায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দলের অধিনায়ক সিমরন হেটমায়ার। জানায়, ‘বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভাল আছে। বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভাল খেলতে সবাই আত্মবিশ্বাসী।’ সঙ্গে সিমরন যোগ করেন ‘কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিতে হবে।’ বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দল। প্রতিপক্ষ তিনটি দল হচ্ছে- ইংল্যান্ড, ফিজি ও জিম্বাবুইয়ে। ২৯ জানুয়ারি ইংল্যান্ড অনুর্ধ-১৯ দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই যুব বিশ্বকাপের মিশন শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব দল। এরপর গ্রুপ পর্বে ৩১ জানুয়ারি ফিজি ও ২ ফেব্রুয়ারি জিম্বাবুইয়ের বিপক্ষে খেলবে ক্যারিবীয় দলটি। বিশ্বকাপের মিশনে নামার আগে ২২ জানুয়ারি স্কটল্যান্ড ও ২৪ জানুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে সিমরনের দল। এরও আগে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ১১, ১৪ ও ১৬ জানুয়ারি যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় একদিনের ম্যাচের সিরিজ খেলবে দলটি। এ সিরিজকে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি সিরিজ হিসেবেই নিচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুক্রবার বাংলাদেশে এসেও পড়েছে। একেবারে বিশ্বকাপে নিজেদের খেলা শেষেই বাংলাদেশ ছাড়বে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ নিয়ে সিমরন অনেক বেশি প্রস্তুত বলেই জানায়। বলে, ‘আমরা সিরিজের জন্য অনেক প্রস্তুত হয়ে এসেছি। আমরা যতটা পারা যায় সিরিজে ভাল খেলতে চাই।’ উইকেট নিয়ে বলতে গিয়ে সিমরন জানায়, ‘উইকেট খুব বেশি পার্থক্য নয়। আমাদের এখানেও স্পিন উইকেটই। উইকেট পেস আক্রমণের জন্যও ভাল। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ভাবনাই করছি।’ বাংলাদেশ দলটি কেমন? তা ঠিক জানে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। বেশিরভাগ ক্রিকেটারই যে একেবারে নতুন। বাংলাদেশের কন্ডিশনে খেলেইনি। শুধু কী তাই, এ দলের মাত্র দুইজন ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। অধিনায়ক সিমরন ও পেসার আলজারি জোসেফ ছাড়া আর কোন ক্রিকেটার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটই খেলেনি। ওপেনার সিমরনও মাত্র ৬টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছে। আর একদিনের ম্যাচ খেলেছে ৩টি। জোসেফের অভিজ্ঞতার ভা-ার আরও ছোট। ৫টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলার সঙ্গে ১টি মাত্র একদিনের ম্যাচ খেলেছে। বাকিরা এখনও দীর্ঘ পরিসরের কোন ম্যাচই খেলেনি। সিমরন ২০১৪ সালের পর দ্বিতীয়বারের মত অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ খেলবেন। বাকিরা সবাই প্রথমবার খেলবে। তাইতো নির্বাচক কমিটির প্রধান ক্লাইভ লয়েড বলেছেন, ‘আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভবিষ্যতের জন্য একটা গ্রুপ তৈরি করছি। আসা করছি এই গ্রুপটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য ভাল কিছু করবে। আমরা ভবিষ্যতের টেস্ট ক্রিকেটার বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বাংলাদেশ সফর এবং বিশ্বকাপ তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সুযোগ। নিজেকে প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।’ সেই প্রস্তুত হতে ১৫ সদস্যের দলটিকে আগেভাগেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। যেখানে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনুর্ধ-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি কিংবা শঙ্কা দেখেনি সিমরন। বলেছে, ‘আমি সব দলকেই বলতে চাই, এখানে আমরা নিরাপদ। আমার মনে হয়, অনেক নিরাপদ স্থান এটা (বাংলাদেশ)।’ সেই নিরাপদ স্থানে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে একাডেমি মাঠে শনিবার অনুশীলনও করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনর্ধ-১৯ দল।
×