ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মালয়েশিয়া ০-০ নেপাল

মালয়েশিয়াকে রুখে দিল নেপাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

মালয়েশিয়াকে রুখে দিল নেপাল

স্পোর্টস রিপোর্টার, যশোর থেকে ॥ চারবারের মধ্যে যারা দু’বারই শিরোপা জিতেছে, এ আসরের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন যারা, তাদের আটকে দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেই বিশেষ দল মালয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে কৃতিত্বের পরিচয় দিল নেপাল। ১৭১ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী ‘হারিমাও মালায়া’ খ্যাত মালয়েশিয়া অবশ্য মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে ১৯৬ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী ‘গুর্খালিস’ খ্যাত নেপালের চেয়ে। ৭ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছে মালয়বাহিনী। নেপালের একটিও জয় নেই। বাকি দুটি ম্যাচে কেউ জেতেনি। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে- এই ৭ ম্যাচে মালয়েশিয়ার ২১ গোলের বিপরীতে নেপালের ন্যূনতম ও সবেধন নীলমণি একটি গোলও নেই! শনিবারের ম্যাচেও অবশ্য গোলের খাতা খুলতে পারলো না নেপাল দল। তাতে অবশ্য কোন আক্ষেপ নেই তাদের। বরং শক্তিশালী দলকে রুখে দেয়ার আনন্দই প্রকাশ করেছে তারা। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গত আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ জাতীয় দলকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মালয়েশিয়া। অবশ্য সেটি ছিল মালয়েশিয়ার যুব দল (অনুর্ধ-২৩)। এবার অবশ্য তারা জাতীয় দল হিসেবে খেলছে না। খেলছে মালয়েশিয়া ফুটবল দল হিসেবে। অনেকেই আবার দলটাকে অভিহিত করছেন ‘মালয়েশিয়া একাদশ’ নামে। দলটির সিংহভাগই খেলেন ফেলদা ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে। এই দলে জাতীয় দলের দুই ফুটবলার আছেন। এ ছাড়া আছেন একাধিক সাবেক জাতীয় ফুটবলারও। তারপরও এমন দল নিয়েও তারা দুর্বল নেপালে আটকে যায়! ৯ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মালয়েশিয়া। আবদুল শুকুরের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ধরে ফেলেন নেপাল গোলরক্ষক বিকেশ কুথু। ১৭ মিনিটে বক্সের খুব কাছেই জগজিৎ শ্রেষ্ঠকে ফাউল করেন মালয়েশিয়ার এক ডিফেন্ডার। কিন্তু ফ্রি কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন অনন্ত থামাং। ১৯ মিনিটে ডানপ্রান্ত থেকে ফেরিস ড্যানিয়েলের বাড়িয়ে দেয়া বলে হেড করেন ববি। কিন্তু বল চলে যায় পোস্টের ওপর দিয়ে। ২৬ মিনিটে আহমেদ সিয়ামিমের ফ্রি কিক আবারও দক্ষতার সঙ্গে ধরে ফেলেন বিকেশ। ৪৫ মিনিটে নেপালের তিন দফা আক্রমণ ব্যর্থ হয়। এ সময় বক্সে বল পেয়েও আক্রমণ শাণাতে ব্যর্থ হন মিডফিল্ডার বিক্রম লামা। পরের আক্রমণটি করান ফরোয়ার্ড নাওয়াইয়াগ। কিন্তু মালয়েশিয়ান গোলরক্ষক মোহদ ফারিজাল বল নিজ আয়ত্বে নিয়ে নেন। তবে বল সামলাতে গিয়ে আহত হন তিনি। প্রথমার্ধে বল জালে পাঠাতে ব্যর্থ হয় দু’দলই। দ্বিতীয়ার্ধে শুরুর দিকেও একাধিক আক্রমণ করে নেপাল। কিন্তু মালয়েশিয়ার রক্ষণভাগের দৃঢ়তার কারণে গোল পায়নি তারা। ৫৫ মিনিটে বিমল গাত্রির শট আটকে দেন গোলরক্ষক। ৬৩ মিনিটে বক্সের লাইন থেকে মিডফিল্ডার জগজিৎ শ্রেষ্ঠর শটটি ছিল নিশ্চিত গোল। কিন্তু ডান পোস্টে লেগে বলের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে যায়। ৬৫ মিনিটে ফরোয়ার্ড নাইওয়াগের বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে রিসিভ করে পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেন অঞ্জন বিস্টা। কিন্তু গোলরক্ষকের কারণের এবারও বেঁচে যায়। ৬৮ মিনিটে জটলা থেকে মালয় ফরোয়ার্ড ববির শট ভাঙ্গতে পারেনি নেপালের রক্ষণদুর্গ। ৭৯ মিনিটে বিমল গাত্রির পাসে বিশালের শট ফিরিয়ে দেন মালয় গোলরক্ষক। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোন দল গোল না করায় ম্যাচটি পর্যবসিত হয় ড্রয়ে। ম্যাচসেরার পুরস্কার লাভ করেন মালয়েশিয়ার গোলরক্ষক ফারিজাল হারুন।
×