ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পথে ভেনিজুয়েলা

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৬

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার পথে ভেনিজুয়েলা

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কবলে পড়তে চলেছে ভেনিজুয়েলা। দেশটির আইনসভার নিয়ন্ত্রণ বিরোধীদের চলে যাওয়ার পর এই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিরোধী দল সংস্কার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করতে চায়। কিন্তু সরকার এতে রাজি নয়। সংস্কারের যেকোন উদ্যোগ আটকে দেয়া হবে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে দৃঢ়তার সঙ্গে বলা হয়েছে। খবর এএফপির। টানা ১৭ বছর সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার পর সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন সোস্যালিস্ট পিএসইউভি পার্টি ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েছে। পার্লামেন্টের নেতৃত্ব এখন মধ্য ডানপন্থী জোট ডেমোক্রেটিক ইউনিটি রাউন্ডটেবলের (এমইউডি) হাতে। ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে দলটি পার্লামেন্টের দুই তৃতীয়াংশ আসন পেয়েছে। এই জোট মাদুরোর শাসনের অবসান চায়। অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচী তাদের আরেকটি বড় এজেন্ডা। অন্যদিকে সরকার বিরোধী দলের সঙ্গে কোন সমঝোতার দিকে না যেয়ে সরাসরি সংঘাতের পথ বেছে নিয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রীমকোর্ট মাদৃুরোর পক্ষেই রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল গানসন বলছেন, ‘যেহেতু সরকার বিরোধীদের সঙ্গে কোন আপোসে না যেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পথ বেছে নিয়েছে তাই দেশটির রাজনৈতিক পরস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে।’ শোনা যাচ্ছে, চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভায় রদবদল এবং এতে অর্থনৈতিক কট্টরপন্থীদের স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সার্বিকভাবে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাওয়ারই আশঙ্কা। সরকার যদি বিরোধীদের প্রতি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে জড়িয়েই তবে পড়ে তবে সেনাবাহিনী মাদুরোর পাশে থাকবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীগুলোর প্রধান ভøাদিমির পাদ্রিনো সম্প্রতি মাদুরো সরকারের প্রতি নিঃশর্ত ও সর্বাত্মক সমর্থকের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লন্ডন ভিত্তিক ভেনিজুয়েলা বিশ্লেষক দিয়াগো ময়া ওকামপস বলেন, ‘ভেনিজুয়েলার সেনাবাহিনীর একটি জটিল প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব তীব্রতর হয়ে উঠলে তারা কি ভূমিকা নেবে সেটি অবশ্য আগের থেকে অনুমান করা কঠিন।’ অতীতে দেখা গেছে সরকার ও বিরোধী পক্ষের মধ্যে যখন সংঘাত দেখা দিয়েছে সেনাবাহিনী পর্দার আড়ালে থেকে কলকাঠি নেড়েছে। ওকামপাস বলেন, যে কোন ধরনের রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেশটির অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর হবে। সাধারণ মানুষকে এর জন্য ভোগান্তির শিকার হতে হবে।
×