ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

অবহেলার শিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

অবহেলার শিকার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

তৌহিদ আক্তার পান্না, ঈশ^রদী ॥ রেলওয়ের উন্নয়ন কাজ অব্যাহত থাকলেও রেলওয়ে সম্পদ, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও যাত্রীদের নিরাপত্তা প্রদানকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সুযোগ সুবিধা নিয়ে অবহেলা করা হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর দক্ষতা, যোগ্যতাসহ মানসিকভাবে উপযুক্ত করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের চেষ্টা বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ৪ বছরে রেলওয়ে সচিব ও জিএম’র সুপারিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তারা ৭ দফা আবেদন করেও পাকশীর নিরাপত্তা বাহিনীর প্যারেড গ্রাউন্ড পাকাকরণ, সেশন, ডাইনিং হল, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও স্টোর রুম নির্মাণ করা হয়নি। ক্লাস রুম না থাকায় গাছের নিচে ক্লাস করতে হয় ট্রেনিদের । বর্ষার সময় ক্লাস বন্ধ রাখতে হয় । রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। অব্যাহত উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এই বাহিনীর কর্মপরিধিও দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ এই বাহিনীকে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একমাত্র পাকশী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি দীর্ঘদিন থেকে নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মারাত্মক ব্যাহত হচ্ছে। প্যারেড গ্রাউন্ড পাকাকরণ, সেশন, ডাইনিং হল, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও স্টোর রুম নির্মাণ করার জন্য তৎকালীন পাকশীর কমান্ড্যান্ট দফতর হতে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই ও ২০১৪ সালের ২৩ নবেম্বর বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ পাকশীর পৃথক আবেদন করলেও কোন কাজ করা হয়নি। ফলে একই কাজ জরুরীভিত্তিতে করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর তৎকালীন চীফ কমান্ড্যান্ট দফতর হতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলীর কাছে চার দফা পৃথকভাবে অনুরোধ করে পত্র দেয়া হয়। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয়নি। বার বার পত্র প্রেরণ করেও কোন কাজ না হওয়ায় চীফ কমান্ড্যান্ট দফতর হতে সর্বশেষ ২৭/০৪/২০১৫ তারিখে আবারও উল্লেখিত কাজ বাস্তবায়ন করার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর নিকট পত্র মাধ্যমে জোর অনুরোধ করেও কোন ফল পাওয়া যায়নি। এমনকি রেলওয়ের তৎকালীন জিএম গত ১৯/০৭/২০১২ ও রেলওয়ের সচিব মহবুবউর রহমান ২৯/১২/২০১২ তারিখে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা জিএম ও প্রধান প্রকৌশলীকে মৌখিকভাবে প্যারেড গ্রাউন্ড পাকা, ডাইনিং হল, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা ও স্টোর রুম নির্মাণ করার নির্দেশ দেন। এমনকি পরিদর্শন বইতেও তারা সমস্যাগুলো উল্লেখ করেন এবং জরুরীভিত্তিতে বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করেন।
×