ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খুলনায় বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

খুলনায় বাংলাদেশ দল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরেকবার ঘরের মাঠে জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে লড়াই। গত বছর নবেম্বর-ডিসেম্বর মাসেও জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ দল। সেবার হয়েছে ওয়ানডে ও টি২০ ম্যাচ। এবার ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরমেটের টি২০ সিরিজ। অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের জন্য স্টেডিয়ামগুলো ব্যস্ত থাকবে, এ কারণে চার ম্যাচের টি২০ সিরিজ হবে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে। ১৫ জানুয়ারি প্রথম টি২০। আগেভাগেই খুলনা গেছে বাংলাদেশ দল। শুক্রবার সকালেই বিমানযোগে যশোর পৌঁছে টাইগাররা। তবে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সৌম্য সরকার দলের সঙ্গে যাননি। তারা পরে যোগ দেবেন। জিম্বাবুইয়ে দল বাংলাদেশে আসবে আগামী ১২ জানুয়ারি। গত বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল নির্ধারিত টেস্ট সফর বাতিল করে হুট করেই নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানিয়ে। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আমন্ত্রণ জানিয়েছিল জিম্বাবুইয়েকে। তিন ম্যাচ টি২০ ও দুই ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ওই সফরে তারা। সেটা পূর্বনির্ধারিত কোন সিরিজ ছিল না। কিন্তু এবার আইসিসির এফটিপি অনুসারে নির্ধারিত সিরিজ। সে অনুসারে পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি২০ তিন ফরমেটের ক্রিকেটই খেলার কথা। কিন্তু চলতি মাস শেষেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা টি২০ ফরমেটের ব্যস্ততা। বাংলাদেশের জন্য আছে এশিয়া কাপ টি২০ আর সব দলের জন্য আছে মার্চে টি২০ বিশ্বকাপ। সে কারণে এ মুহূর্তে টেস্ট খেলা তেমন কার্যকর কোন ভূমিকা রাখবে না ক্রিকেটারদের। এ কারণে শুধুই টি২০ সিরিজ আয়োজন করা হচ্ছে। ১৫ জানুয়ারি প্রথম টি২০ ম্যাচের পর ১৭, ২০ ও ২২ জানুয়ারি বাকি তিনটি টি২০ অনুষ্ঠিত হবে। সব ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে রাখা হয়েছে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম। সূচীর আগে চিন্তা করা হয়েছিল সিলেটে সিরিজ আয়োজন। মূলত অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপের জন্য মিরপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার স্টেডিয়াম ফাঁকা না থাকার জন্যই খুলনায় সিরিজটি আয়োজনের সিদ্ধান্ত। আগামী ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছবে জিম্বাবুইয়ের টি২০ দল। কিন্তু আগেভাগেই বাংলাদেশ দল খুলনায় চলে গেছে। শুক্রবার সকালে যশোর বিমানবন্দরে পৌঁছে বিসিবির অফিসিয়াল বাসে করে দুপুরে খুলনায় পৌঁছে বাংলাদেশ দল। মাঝপথেই জুমার নামাজ আদায়ের জন্য বিরতি নেয়া হয়। এবার বাংলাদেশের টি২০ দলে সুযোগ পেয়েছেন দুই তরুণ উদীয়মান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কাজী নুরুল ইসলাম সোহান ও পেসার আবু হায়দার রনি। উভয় ক্রিকেটারের জন্য এবারই সুযোগ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়ানোর। ৩ জানুয়ারি থেকে মিরপুরে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান অবশ্য একদিন ছিলেন অনুশীলনে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছিলেন। আর ওপেনার ইমরুল কায়েস কিছুদিন আগে নাকে অস্ত্রোপচার করানোর জন্য যোগই দিতে পারেননি ক্যাম্পে। তিনি দলের সঙ্গে খুলনাও যাননি। পরবর্তীতে তিনি যোগ দেবেন। এছাড়া অধিনায়ক মাশরাফি ও ওপেনার সৌম্য সাতক্ষীরায় একটি জনসচেতনতামূলক প্রোগ্রামে বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকায় তারাও দলের সঙ্গে খুলনা যাননি। তবে দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে গেছেন পাইপলাইনে থাকা এনামুল হক বিজয় ও মিঠুন। তৃতীয় ও চতুর্থ টি২০ ম্যাচের জন্য দলে বিবেচিত হতে পারেন তারা। এছাড়াও খুলনায় দলের সঙ্গে একই ফ্লাইটে গেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ, স্পিনার সাকলাইন সজীব, মোহাম্মদ শহীদ ও সোহাগ গাজীরা। তারাও বিসিবির বিবেচনায় আছেন। জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে সিরিজের জন্য যে দলটি ঘোষণা করা হয়েছে সেটা মূলত প্রথম দুই টি২০ ম্যাচের জন্য। এ কারণেই পাইপলাইনে থাকা এ কয়েকজন ক্রিকেটারও থাকবেন সিরিজ চলার সময়। সিরিজ শেষ হবে ২২ জানুয়ারি। তবে খুলনাতেই থাকার কথা রয়েছে জাতীয় দলের। সেখানেই চলবে ক্যাম্প। কারণ মাঠ ফাঁকা থাকবে না অনুশীলনের জন্য। খুলনায় ক্যাম্প চলার পর পরবর্তীতে জাতীয় দল চট্টগ্রামেও কিছুদিন ক্যাম্প চালিয়ে যেতে পারে। গত বছর দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজে জিম্বাবুইয়ের সঙ্গে ১-১ সমতায় শেষ করেছিল বাংলাদেশ দল। টি২০ ফরমেটে এখনও সেভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি টাইগাররা। এখন পর্যন্ত ৪৬ টি২০ খেলে মাত্র ১৩ জয়ের বিপরীতে আছে ৩৩ পরাজয়। ওয়ানডে ক্রিকেটে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো দলটি বর্তমানে আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে ৭ নম্বরে থাকলেও টি২০ র‌্যাঙ্কিংয়ে আছে ১০ নম্বরে। এমনকি সহযোগী সদস্য দেশ আফগানিস্তানও একধাপ ওপরে ৯ নম্বরে। সেখানে জিম্বাবুইয়ের অবস্থান ১৪ নম্বরে। তাই এ সিরিজটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ চ্যালেঞ্জের। আসন্ন টি২০ এশিয়া কাপ ও টি২০ বিশ্বকাপের জন্য দলের সঠিক সমন্বয়টাও এ সিরিজ থেকেই বের করা হবে।
×