ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টিকেট অব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ দর্শক হয়নি!

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

টিকেট অব্যবস্থাপনায় আশানুরূপ দর্শক হয়নি!

স্পোর্টস রিপোর্টার, যশোর থেকে ॥ ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবরের ঘটনা। যশোরের শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতিম্যাচ, যাতে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা যুব দল। ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল ম্যাচটি। সে ম্যাচে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিল উপচেপড়া দর্শক। স্যংখটা ছিল ১২ হাজার। শুধু তাই নয়, টিকেট না পেয়ে স্টেডিয়ামের বাইরে দাঁড়িয়ে ছিল সমপরিমাণ দর্শক। এছাড়া স্টেডিয়ামের আশপাশের বাড়িঘর, গাছ, টাওয়ারে উঠেও খেলা উপভোগ করেছিল ফুটবল অনুরাগীরা। সেবার টিকেট তো কালোবাজারি হয়েছিলই, জাল টিকেটেরও সন্ধান মিলেছিল! অথচ এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে কিন্তু তেমনটা দেখা যায়নি। তাই বলে দর্শকখরা ছিলÑ এমনটা বলা যাবে না। বলা যায় নব্বই শতাংশ আসন পূর্ণ ছিল। ১৫ মাস পর যশোরে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবল অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার ওপর স্বাগতিক বাংলাদেশের খেলাÑ এটাই তো গ্যালারি ভরে যাওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। কিন্তু আদতে তা হয়নি। কেন এমনটা হলো? অনেকেই বলেছেন অনেক কথা। কেউ বলেছেন, শুক্রবার জুমার দিন, তাই বেশি দর্শক স্টেডিয়ামমুখো হননি। কারও মতে প্রচারণা সেভাবে হয়নি। আবার কেউ অভিমত ব্যক্ত করেছেন টিকেট কালোবাজারি হয়েছে অগ্নিমূল্যে, তাই অনেক দর্শকই টিকেট কিনতে উৎসাহ দেখাননি। কিন্তু আসল ব্যাপার ছিল ভিন্ন। এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে টিকেট কিনেও মাঠে ঢুকে খেলা দেখতে পারেননি অনেক দর্শক। কেননা এ স্টেডিয়ামে দর্শকধারণ ক্ষমতার বেশি টিকেট ছাপানো হয়েছিল! তবে সেবার টিকেটের দায়িত্বে ছিল যশোর জেলা ফুটবল সংস্থা (ডিএফএ)। এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে দর্শকরা যাতে এ ধরনের ভোগান্তির শিকার না হন সেটি মাথায় রেখে টিকিট ছাপানোর দায়িত্বে প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেয় বাফুফে, আর টিকেট বিতরণের দায়িত্ব নেয় জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যশোরের দশটি নির্দিষ্ট স্থানে টিকেট বিক্রি শুরুর কথা ছিল। পত্রিকায় টিকেটপ্রাপ্তির যে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়, দর্শকরা সেসব স্থানে গিয়ে দেখতে পান টিকেট কাউন্টারগুলোর কয়েকটি বন্ধ ছিল। বিকেল হয়ে যাওয়ার পরও দেখা গেছে একই অবস্থা। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি স্থান হলো দড়াটনা শিল্পাঙ্গন। এছাড়া অন্যান্য স্থানে টিকেট পাওয়া গেলেও সেখানে খুব অল্পসংখ্যক টিকেট বিক্রি হয়েছে, টিকেট বিক্রিতে স্বজনপ্রীতি হয়েছে। এছাড়া কিছু লোক টিকেট কিনে সেগুলো জমা রাখে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে। এর ফলে পরবর্তীতে প্রকৃত ফুটবলপ্রেমীদের অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও টিকেট কিনতে পারেননি। তবে আজকের মালয়েশিয়া-নেপাল ম্যাচে যেন এমন অব্যবস্থাপনা না হয়, সেটাই প্রত্যাশা করছেন এখানকার ফুটবল অনুরাগীরা।
×