ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চ্যাম্পিয়ন মালয় বাহিনীর মুখোমুখি আজ নেপাল

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৬

চ্যাম্পিয়ন মালয় বাহিনীর মুখোমুখি আজ নেপাল

স্পোর্টস রিপোর্টার, যশোর থেকে ॥ চারবারের মধ্যে দু’বারই তাদের হাতে গেছে শিরোপা। এ আসরের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন তারাই। স্বভাবতই ফেবারিট হিসেবে তাদের নামটিই চলে আসে সবার আগে। আজ সেই মালয়েশিয়া ফুটবল দলের শিরোপা ধরে রাখার পথে প্রথম বাধা হচ্ছে নেপাল। ১৭১ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী ‘হারিমাও মালায়া’ খ্যাত মালয়েশিয়া অবশ্য মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে প্রায় শতভাগ ব্যবধানে এগিয়ে ১৯৬ ফিফা র‌্যাঙ্কিংধারী ‘গুর্খালিস’ খ্যাত নেপালের চেয়ে। ৬ ম্যাচের ৫টিতেই জিতেছে মালয়বাহিনী। নেপালের একটিও জয় নেই। বাকি একটি ম্যাচে কেউ জেতেনি। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে এই ৬ ম্যাচে মালয়েশিয়ার ২১ গোলের বিপরীতে নেপালের ন্যূনতম ও সবেধন নীলমণি একটি গোলও নেই! উভয় দলই অবশ্য সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে হারের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের খেলায় গত বছরের ১৭ নবেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে ১-২ গোলে হারে মালয়েশিয়া। আর সাফ সুজুকি কাপে গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর গ্রুপপর্বে ভারতের কাছে ১-৪ গোলে পরাভূত হয় নেপাল। শুক্রবার মালয়েশিয়া দল পুলিশ লাইন মাঠে এবং নেপাল দল বিজিবি গ্রাউন্ডে অনুশীলনে ঘাম ঝরায়। একদিন আগেই উভয় দলই বিমানযোগে বাংলাদেশ পা রাখে। বঙ্গবন্ধু কাপে ১৯৯৭ সালে যে মালয়েশিয়া দলটি শিরোপা জিতেছিল, সে দলের কোচ হাজী ইরফান বাক্তি এবারের দলেও আছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা এ আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। আশা করি শিরোপা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে এবারও জয়ী হব। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে বাংলাদেশের দুটি দল।’ নেপাল দলের কোচ বাল গোপাল মহার্জন বলেন, ‘মালয়েশিয়া চ্যাম্পিয়ন ও বাংলাদেশ রানার্সআপ দল। তবে আমরাও চেষ্টা করব এবার ভাল খেলতে এবং অঘটন ঘটাতে।’ নেপালের এই দলে জাতীয় দলের চার ফুটবলার আছে। সদ্যসমাপ্ত সাফ সুজুকি কাপে খেলেছে এমন খেলোয়াড় আছে ১০ জনেরও বেশি। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের গত আসরে স্বাগতিক বাংলাদেশ জাতীয় দলকে ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মালয়েশিয়া। অবশ্য সেটি ছিল মালয়েশিয়ার যুব দল (অনুর্ধ-২৩)। এবার অবশ্য তারা জাতীয় দল হিসেবে খেলছে না। খেলছে মালয়শিয়া ফুটবল দল হিসেবে। অনেকেই আবার দলটাকে অভিহিত করছেন ‘মালয়েশিয়া একাদশ’ নামে। দলটির সিংহভাগই খেলেন ফেলদা ইউনাইটেড ক্লাবের হয়ে। এই দলে জাতীয় দলের দুই ফুটবলার আছেন। এছাড়া আছেন একাধিক সাবেক জাতীয় ফুটবলারও। গত আসরে চ্যাম্পিয়ন মালয়বাহিনীর বেশকিছু ফুটবলার আছেন বর্তমান দলটিতেও। দলটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে খেলোয়াড়রা কিছুটা খর্বাকৃতির হলেও অসম্ভব দ্রুতগতিসম্পন্ন তারা। তাছাড়া নিমিষেই কাউন্টার এ্যাটাকে গিয়ে গোল করতে পারঙ্গমও বটে। মালয়েশিয়া দল যেমন শিরোপা ধরে রাখতে বদ্ধপরিকর, তেমনি নেপাল দলের লক্ষ্য হচ্ছে এ আসরে কমপক্ষে সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলা। গত আসরে মালয়েশিয়া গ্রুপপর্বে বাংলাদেশকে ১-০, শ্রীলঙ্কাকে ২-০; সেমিফাইনালে সিঙ্গাপুরকে ১-০ এবং ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-২ গোলে হারিয়েছিল। কথায় আছেÑ ‘মুকুট পরার চেয়ে তা ধরে রাখা কঠিন।’ মালয়েশিয়া ফুটবল দলকে এখন প্রমাণ করতে হবে মুকুট পরলে সেটা ধরেও রাখা যায়। আর নেপাল চাইবে চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে অঘটন ঘটানোর পাশাপাশি তাদের জালে প্রথমবারের মতো বল পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে উঠতে? সেটা কি আজ করে দেখাতে পারবে তারা?
×